এখন থেকে ভুটান যেতে বাংলাদেশ, ভারত ও মালদ্বীপের পর্যটকদের প্রতিদিন গুনতে হবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এক হাজারেরও বেশি টাকা। আজ বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম লাইভমিন্ট এ খবর জানিয়েছে।
গত নভেম্বরে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ভুটানের বিদেশমন্ত্রী তান্দি দর্জি দেশটির নতুন খসড়া পর্যটন নীতি নিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা বলেন।
বর্তমানে বাংলাদেশ, ভারত ও মালদ্বীপের নাগরিক ছাড়া ভুটানে সব বিদেশি পর্যটককেই ভরা মৌসুমে ২৫০ মার্কিন ডলার (প্রায় সাড়ে ২১ হাজার টাকা) ও অফ সিজনে ২০০ মার্কিন ডলার (প্রায় ১৭ হাজার টাকা) করে দিতে হয়। ভুটানে অফ সিজন হলো ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত শীতের সময় এবং জুন থেকে আগস্টের বর্ষার সময়।
এর মধ্যে থাকার খরচ, ভুটানের মধ্যে যাতায়াত খরচ, একজন ট্যুরিস্ট গাইডের খরচ ও নন-অ্যালকোহলিক ড্রিঙ্কসের খরচ ও প্রবেশমূল্য ধরা থাকে। যার মধ্যে স্থিতিশীল উন্নয়ন খাতে ৬৫ ডলার (সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা) দৈনিক চার্জ ধরা থাকে। ধরা থাকে পর্যটকের ভিসা খরচও।
এ ছাড়া কোনো পর্যটক একা ভ্রমণ করলে ৪০ মার্কিন ডলার (প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকা) এবং দুজন বা তার বেশি একসঙ্গে ভ্রমণ করলে মাথাপিছু ৩০ ডলার (আড়াই হাজার টাকা) করে অতিরিক্ত সারচার্জ দিতে হয়।
অর্থাৎ এর মধ্যে ভুটানে যাওয়া-আসা, সেখানে কেনাকাটা ও বখশিশ ছাড়া সব খরচই ধরা থাকে। তবে আঞ্চলিক দেশ হিসেবে ভারত, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের পর্যটকদের এই খরচ দিতে হয় না।
এই তিন দেশের নাগরিকদের ভুটান যাওয়ার জন্য ভিসার প্রয়োজন হয় না ও ন্যূনতম ২০০ বা ২৫০ ডলার খরচের আওতাতেও পড়ে না তারা। এর ফলে পর্যটকরা নিজেদের মতো করে পর্যটনের বাজেট স্থির করতে পারে, থাকা-খাওয়ার নিজস্ব বন্দোবস্ত করতে পারে।
লোনলি প্ল্যানেট নামক পর্যটন পোর্টাল অনুযায়ী, থিম্পুর বাজেট হোটেলে এক রাত থাকার খরচ ২০ থেকে ৪০ ডলারের মধ্যে, রেস্তোরাঁয় একজনের খাবার খরচ সাত থেকে ১৫ ডলারের মধ্যে। লোনলি প্ল্যানেটের হিসাব অনুযায়ী, উঁচু মানের হোটেলের খরচ ৫০০ থেকে এক হাজার ৭৫০