মেয়াদ শেষের আগে ফিরতে ব্যর্থ হওয়া ভিসাধারী বিদেশি কর্মীদের ওপর আরোপিত তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব। বহির্গমন অথবা পুনঃপ্রবেশে ভিসাধারী বিদেশি কর্মীদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্ত গত মঙ্গলবার থেকে কার্যকর করেছে দেশটি।
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে সৌদি আরবের পাসপোর্ট অধিদপ্তর দেশটির বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা, এন্ট্রি পয়েন্ট, এয়ারলাইন্স এবং ট্রানজিট টার্মিনালকে এই ধরনের বিদেশি কর্মীদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি অবহিত করেছে।
দেশটির কর্তৃপক্ষ বলছে, যেসব প্রবাসী কর্মী সৌদি আরব ত্যাগ এবং পুনরায় প্রবেশের ভিসা নিয়ে নিজ দেশে গিয়েছিলেন, কিন্তু তিন বছর পেরিয়ে যাওয়ার আগে বৈধ সময়ের মধ্যে সৌদিতে ফিরতে পারেননি, তাদের ওপর আরোপ করা প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া বিদেশি কর্মীরা সৌদি আরবে ফিরতে পারবেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছে, সৌদি আরব কর্তৃপক্ষের শ্রম ও বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নয়নে নেওয়া পদক্ষেপের অংশ হিসেবে নতুন এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
তবে নতুন করে সৌদি আরব ত্যাগ/পুনঃপ্রবেশের ভিসা প্রাপ্তির জন্য কয়েকটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বিদেশি কর্মীর ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের সাথে সংশ্লিষ্ট সব ধরনের জরিমানা পরিশোধ এবং কমপক্ষে ৯০ দিনের জন্য পাসপোর্টের মেয়াদ থাকতে হবে। এ ছাড়া যাকে ভিসা দেওয়া হবে সৌদি আরবে তার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
সৌদি আরবের শ্রম ব্যবস্থাপনার আওতায় চুক্তি অনুযায়ী, নিয়োগকর্তা বিদেশি কর্মী নিয়োগ, আবাসন, কাজের লাইসেন্স ও এর নবায়ন ফির পাশাপাশি পেশা পরিবর্তনের ফি, প্রস্থান/পুনঃপ্রবেশ এবং কর্মচারীর দেশে ফেরার খরচ বহন করেন।
তবে কোনও কর্মী যদি কাজের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হন অথবা কোনও বৈধ কারণ ছাড়াই ফিরে যেতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে দেশে ফেরার খরচ নিজেকে বহন করতে হয়।
সৌদির সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটির মোট ৩ কোটি ২২ লাখ জনসংখ্যার প্রায় এক কোটি ৩৪ লাখ বা ৪১.৫ শতাংশ বিদেশী। দেশটির কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি প্রবাসীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা চালু করেছে।
গত আগস্টে সৌদি আরবের পাসপোর্ট অধিদপ্তর জানায়, বহির্গমন/পুনরায় প্রবেশের ভিসাধারীরা সৌদি আরবের বাইরে থাকাকালীন আবশার প্ল্যাটফর্ম বা মুকিম পোর্টালের মাধ্যমে ফি পরিশোধের পর অনলাইনে তাদের ভিসার মেয়াদ বাড়াতে পারবেন।