শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০০ অপরাহ্ন

ভিয়েতনামের হা লং বে দ্বীপ ভ্রমণ

  • আপডেট সময় সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ঐতিহ্যের পাশাপাশি বৈচিত্র্যপূর্ণ ও রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা মেলে এশিয়া ভ্রমণে। ভ্রমণবান্ধব এই মহাদেশে ভিন্ন সংস্কৃতির জনপদ যেমন রয়েছে,ঠিক তেমনি রয়েছে ঝর্ণাস্নাত শান্ত পাহাড়,প্রাণবন্ত রেইনফরেস্ট ও আদিম সৈকত। তবে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার ভিয়েতনামে এমন কিছু প্রাকৃতিক নিদর্শন রয়েছে,যা দেখার জন্য কেবল এই দেশেই বারবার ফিরে আসতে হবে। তারমধ্যে অত্যাশ্চর্য দর্শনীয় স্থানটি হলো হা লং বে,আর বিশ্ব পরিব্রাজকদের এই জনপ্রিয় গন্তব্য নিয়েই আজকের ভ্রমণ কড়চা। চলুন,বিস্তারিত ভ্রমণ বৃত্তান্তের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক, ঠিক কোন বিষয়গুলো হা লং বে’কে অন্যান্য বিশ্ব পর্যটনকেন্দ্র থেকে আলাদা করেছে

হা লং বে দ্বীপপুঞ্জের ভৌগলিক অবস্থান

উত্তর-পূর্ব ভিয়েতনামের কোয়াং নিন প্রদেশে অবস্থিত হা লং বে। উপসাগরটি কোয়াং ইয়েন শহর থেকে শুরু হয়ে হা লং ও ক্যাম ফা শহর পেরিয়ে ভ্যান ডন জেলা পর্যন্ত বিস্তৃত। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে ল্যান হা বে,উত্তরে হা লং শহর এবং পশ্চিমে বাই তু লং বে-এর সঙ্গে এর সীমান্ত।

১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলরেখার এই উপসাগরের প্রায় ১,৫৫৩ বর্গ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে প্রায় ২ হাজার ছোট দ্বীপ রয়েছে।

হা লং বে-এর বিশেষত্ব

উপসাগরটির বিশেষত্ব হলো এর নানান আকার-আকৃতির চুনাপাথরের কার্স্ট এবং ছোট দ্বীপগুলো। একে ঘিরে বিশাল অঞ্চলগুলোর প্রত্যেকটিরই ভূতাত্ত্বিক ও জলবায়ু সংক্রান্ত বৈশিষ্ট্যগুলো একই রকম।

১৯৬২ সালে ভিয়েতনামের সংস্কৃতি,খেলাধুলা ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বে’টিকে একটি ‘বিখ্যাত জাতীয় ল্যান্ডস্কেপ স্মৃতিচিহ্ন’ হিসেবে আখ্যায়িত করে।

বিশ্ব জুড়ের শৈল্পিক মূল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ অঞ্চলটি ১৯৯৪ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়। এছাড়া ২০০০ সালে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি হা লং বেকে তার স্বতন্ত্র ভূতাত্ত্বিক মূল্যের জন্য স্বীকৃতি দেয়।

২০১২ সালে নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশন আনুষ্ঠানিকভাবে উপসাগরটিকে প্রকৃতির নতুন ৭ আশ্চর্যের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করে।

হা লং বে ভ্রমণে কি কি দেখবেন আশ্চর্য কয়েকটি গুহা

এখানকার রহস্যময় গুহাগুলোর বর্তমান আকৃতি পেতে লেগেছে লাখ লাখ বছর। দানবীয় আকার ছাড়াও,গুহাগুলোর প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে স্ট্যালাগ্মাইট এবং স্ট্যালাক্টাইট।

স্ট্যালাক্টাইট বা উষ্ণ প্রস্রবণ হলো এক ধরনের খনিজ গঠন, যা গুহার ছাদ থেকে বরফের মতো জমাট বেঁধে ঝুলে থাকে। মূলত গুহার চুনাপাথরের ছাদ থেকে পানি ঝরার সময় চুনাপাথর দ্রবীভূত হয়ে এগুলো তৈরি হয়।

অপরদিকে,স্ট্যালাগ্মাইটও একই ধরণের খনিজ গঠন;পার্থক্য শুধু এই যে,এই শিলাকৃতির গঠনগুলো গুহার মেঝে থেকে উর্ধ্বমুখী হয়ে বৃদ্ধি পায়। অনেকটা সুন্দরী গাছের শ্বাসমূলের মতো;তবে দেখতে বরফাকৃতির।

শুধুমাত্র এই খনিজ গঠনগুলো কাছ থেকে দেখার জন্যই এখানে ভিড় করেন দেশ-বিদেশের লাখ লাখ পর্যটক।

তন্মধ্যে,রঙিন স্ট্যালাক্টাইট দেখা যায় থিয়েন কুং গুহায়। সবচেয়ে জনপ্রিয় অত্যাশ্চর্য নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে সুং সট এবং ডাউ গো গ্রোটো গুহা দুটি। কায়াকিংয়ের জন্য উৎকৃষ্ট হচ্ছে লুওন গুহা। গুহার একদম ভেতর থেকে সূর্যালোক দেখতে যেতে হবে ত্রিন নু গুহায়। মেজ কেভ সত্যিই দর্শনার্থীদের গোলক ধাঁধায় ফেলে দেয়। সেই সঙ্গে গুহার দেয়ালে আলোর প্রতিফলনের কারণে সৃষ্ট পরিবেশ পর্যটকদের মনস্তত্ত্বের সঙ্গে খেলা করে|

 হা লং বে গুহা

হা লং বের আশ্চর্য গুহা

অপূর্ব কয়েকটি সৈকত

সাদা বালুকাবেলা এবং স্ফটিক স্বচ্ছ পানি দুটোই মিলে যেতে পারে ইউরোপের কোনো অনন্য সৈকতের সঙ্গে। কিন্তু অদূরে ছোট্ট দ্বীপ, সৈকতে ছোট টিলা,সাগরের পানি,বালু ও আকাশ মিলিয়ে রঙের যে কারসাজি দেখা যায়,তার তুলনা পৃথিবীর কোথাও মিলবে না। এমন সৈকতের মধ্যে রয়েছে টি টপ,এনগক ভুং,বাই চে,এবং বা ট্রাই ডাও। এগুলোর যে কোনোটিতে সামুদ্রিক বাতাসে গা জুড়িয়ে,বালির ওপর শুয়ে বা পানিতে পা ভিজিয়ে নিমিষেই কাটিয়ে দেওয়া যায় গোধূলিসহ পুরো একটি বিকেল।

টিটোভ দ্বীপ

হা লং বে-এর আইলেটগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নজরকাড়া প্যানোরামিক দৃশ্যের জন্য সেরা হচ্ছে টিটোভ দ্বীপ। এই দ্বীপের খাড়া টিলার চূড়ায় ওঠার জন্য রয়েছে সিঁড়ি। চূড়া থেকে গোটা উপসাগরের পান্না জলের শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য দেখা যায়। সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখার জন্য এই দ্বীপটিই সবচেয়ে ভালো জায়গা। সারাদিন জুড়ে উপসাগরের রঙ বদলটা এখান থেকেই সবচেয়ে ভালো বোঝা যায়।

কুয়া ভ্যান ফিশিং ভিলেজ

এটি উপসাগরীয় অঞ্চলের ফিশিং ভিলেজগুলোর মধ্যে বৃহত্তম এবং সবচেয়ে জনপ্রিয়। ৩০০টিরও বেশি পরিবার এই গ্রামের ভাসমান ঘরে বসবাস করে। ঘরগুলো সামুদ্রিক দমকা বাতাস যেন উড়িয়ে দিতে না পারে,সে জন্য ঘরগুলো একটির সঙ্গে অন্যটি শক্তভাবে সংযুক্ত থাকে। প্রতিটি বাড়ির সামনে একটি করে ছোট নৌকা বা ভেলা থাকে।

ম্যাট রং দ্বীপ

যারা কায়াকিং-এর প্রতি অদম্য নেশা রয়েছে তাদের উচিত এই দ্বীপটি ভ্রমণ করা। অগভীর জলের এই দ্বীপটি হা লং বে থেকে দক্ষিণে বেশ কাছাকাছি দূরত্বেই অবস্থিত।

ভিয়েত হাই গ্রাম

ক্যাট বা ন্যাশনাল পার্কের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত অপূর্ব সুন্দর এই গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য রয়েছে ৮ কিলোমিটার ট্র্যাকিং পথ। তবে নৌকা করেও পৌঁছানো যায় উঁচু পাহাড় ও ঘন জঙ্গলে ঘেরা এই দর্শনীয় গ্রামে।

বা হাম লেক

ডাউ বি দ্বীপের মধ্যে অবস্থিত এই লেকটির আরেক নাম গুপ্ত লেগুন। কারণ এই পুরো জলাধারটি চুনাপাথরের দেয়াল দিয়ে ঘেরা তিনটি ছোট ছোট অংশে বিভক্ত। এক অংশ থেকে আরেক অংশে যাওয়ার জন্য রয়েছে একটি সংকীর্ণ টানেল বা গুহা। ফলে,পর্যটকদের নৌভ্রমণে যুক্ত হয় অতিরিক্ত রোমাঞ্চকর অনুভূতি। নির্জন পরিবেশে পান্না জলে সাঁতার এবং কায়াকিংয়ের জন্য উপযুক্ত একটি জায়গা হলো এই বা হাম লেক।

 হা লং বে, ভিয়েতনাম

হা লং বে, ভিয়েতনাম

হা লং বে কখন ঘুরতে যাবেন

মার্চ থেকে জুন এবং অক্টোবর-নভেম্বর মাসগুলো এখানকার পিক সিজন। তবে ভিড় এড়িয়ে ঘুরতে চাইলে যেতে হবে জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারিতেও পর্যটকদের আনাগোনা আবার হালকা হয়ে যায়। তবে এই মৌসুমে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঠান্ডা এবং মেঘ-বৃষ্টির বিড়ম্বনা থাকতে পারে। এতে কুয়াশা বা বৃষ্টিতে আশেপাশের দ্বীপগুলো এবং উপসাগরের দূরের দৃশ্যগুলো ঝাপসা হয়ে যায়।

বাংলাদেশ থেকে ভিয়েতনামের হা লং বে দ্বীপপুঞ্জ যাওয়ার উপায়

ভিয়েতনামের হানয়ের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে পর্যাপ্ত ফ্লাইট রয়েছে। তবে সরাসরি না গিয়ে প্লেনগুলো এশিয়ার বিভিন্ন দেশের ট্রাঞ্জিট নিয়ে যায়। দেশগুলো হলো সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং চীন। তন্মধ্যে সবচেয়ে কম সময় লাগে থাইল্যান্ড হয়ে গেলে।

হানয়ে অবতরণের পর বাসে বা ট্রেনে করে সাশ্রয়ী খরচে হা লং শহরে যাওয়া যায়। এছাড়া সরাসরি নৌকা বা জাহাজের ব্যবস্থাও রয়েছে। তবে সময় বাঁচাতে হলে বাসে করে হা লং শহরে গিয়ে তারপর হা লং বে’র জেটিতে যাওয়া ভালো।

এছাড়া প্রাইভেট কার রিজার্ভ করে সরাসরি হানয় থেকে হা লং বে’তে যাওয়া যায়।

হা লং বে ভ্রমণে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা

স্থানীয় খাবারের মধ্যে সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী এবং জনপ্রিয় হলো হা লং স্কুইড কেক। স্বাভাবিকভাবেই এর মূল উপকরণ হলো স্কুইড, যেটি চালের তৈরি পিঠার সঙ্গে পরিবেশন করা হয়।

আরেকটি খাবার হচ্ছে হাউ নুওং বা গ্রিল করা ঝিনুক। এটি স্থানীয়দের কাছে বেশ পুষ্টিকর খাবার হিসেবে সুপরিচিত। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি লবণ, মরিচ এবং লেবু দিয়ে তৈরি এক ধরণের বিশেষ সস দিয়ে ঝিনুক মাখানো হয়। এরপর তা কাঠকয়লার ওপর গ্রিল করা হয়।
সামুদ্রিক খাবারের মধ্যে শহরের বিখ্যাত হচ্ছে হর্সশু কাঁকড়া। এটি দিয়ে নানান ধরণের সুস্বাদু খাবার তৈরি করা হয়,যেমন কেক,সালাদ,ভাজা হর্সশু কাঁকড়া,এবং নুডলস।

এই খাবারগুলো উপভোগ করার জন্য যেতে হবে হোয়াং কুওকের ভিয়েত স্ট্রিট এবং বাই চে ওয়ার্ডের হা লং স্ট্রিট। তুয়ান চাউ দ্বীপের রেস্তোরাঁগুলোর রান্নার পদ্ধতিও বেশ ভালো মানের।

ট্র্যান কুওক এনঘিয়েন-এর বেন দোআন হা লং-এর বেশ জনাকীর্ণ এলাকা। বেন দোআন মূলত খাবারের রাস্তা হিসেবে পরিচিত,যেটি ১০ হাজার বর্গমিটারেও বেশি জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। বাজারের কাছাকাছি হওয়ায় এখানে তাজা সামুদ্রিক খাবার পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হলো মরিচ ও ঝিনুকের সস দিয়ে গ্রিল্ড স্ক্যালপস।

অনেক বছর ধরেই বিশ্বব্যাপী সমাদৃত একটি দর্শনীয় স্থান হওয়ায় এখানে প্রচুর আবাসিক হোটেল রয়েছে। হা লং-এর বাই চে সৈকতের কাছেই রয়েছে বেশ কিছু সাশ্রয়ী খরচের হোটেল। ভুন দাও স্ট্রিট এবং হাই কোয়ান স্ট্রিটেও রয়েছে মানসম্পন্ন কিছু হোটেল। এছাড়া আইলেটগুলোর মধ্যে ক্যাটবা,সোই সিম,টিটোভ এবং কো টু দ্বীপগুলোর আবাসন ব্যবস্থাও বেশ ভালো।তবে উপসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জগুলো ভ্রমণের সর্বাধিক আকর্ষণীয় মাধ্যম হলো ক্রুজ শিপ। এ ক্ষেত্রে খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে ভ্রমণ সব একবারেই হয়ে যায়। সেই সঙ্গে অভিজ্ঞতাটাও হয় বেশ বিলাসবহুল এবং অবিস্মরণীয়।

হা লং বে ভ্রমণের যাবতীয় খরচ

হোটেলে থাকার ক্ষেত্রে বাজেট রাখতে হবে ৩ লাখ ৮ হাজার ৯৩৮ থেকে ৭ লাখ ৩ হাজার ৬৯ ডং। এই পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৪৫৫ থেকে ৩ হাজার ৩১১ টাকার সমতূল্য (১ ভিয়েতনামিজ ডং = ০ দশমিক ০০৪৭ বাংলাদেশি টাকা)।

হানয় এবং হা লং শহরের অভ্যন্তরে বিভিন্ন পরিবহণে যাতায়াত বাবদ খরচ হতে পারে ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৪৮ থেকে ৩ লাখ ৫২ হাজার ৪৮৯ ডং। খরচটি প্রায় ৬৩২ থেকে ১ হাজার ৬৬০ টাকার সমান।

খাবারের জন্য ব্যয় করতে হবে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৭৬০ থেকে ৬ লাখ ৯৪ হাজার ৭৬৩ ডং বা প্রায় ১ হাজার ২১৮ থেকে ৩ হাজার ২৭১ টাকা।

অবকাশ যাপন বা বিনোদন খাতে খরচ হতে পারে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৪৭৫ থেকে ৪ লাখ ১০ হাজার ৮৭৩ ডং (৮৩১ থেকে ১ হাজার ৯৩৫ টাকা)।

ক্রুজ শীপে ভ্রমণে প্রধানত সময় (ন্যূনতম ৭ ঘন্টা) বা দিনের ভিত্তিতে ভাড়া নেওয়া হয়। এর সঙ্গে যুক্ত হয় বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার খরচ। ২ দিন ১ রাতের জন্য ৩ স্টার মানের একটি ক্রুজে ভাড়া শুরু হয় প্রায় ১৭ লাখ ৫০ হাজার ডং (৮ হাজার ২৪০ টাকা) থেকে।

মিড রেঞ্জের শীপগুলোতে একই প্যাকেজের জন্য ভাড়া শুরু হয় প্রায় ২৩ লাখ ৫০ হাজার ডং (১১ হাজার ৬৬ টাকা) থেকে।

ভ্রমণকালীন কিছু সতর্কতা

·       হাইক বা ট্রেকিংয়ের পরিকল্পনা থাকলে অবশ্যই ভালো গ্রিপের জুতা নেওয়া উচিত

·       এখানে গরমের দিনগুলোতেও রাতে বেশ ঠান্ডা থাকে। তাই রাত্রি যাপনের জন্য দুয়েকটা গরম কাপড় সঙ্গে রাখা ভালো

·       সাঁতার কাটা বা গোসলের পরিকল্পনা থাকলে সুইমিং কস্টিউম আগে থেকেই সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। সাঁতারের সময় স্থানীয় নীতিমালা মেনে চলা আবশ্যক।

·       ক্রুজে ভ্রমণ করা হলে আলাদা করে হোটেলে ফেরার তাড়া থাকে না। তাই এই সুবিধাজনক উপায়টি যেকোনো হোটেল বা রিসোর্টের সেরা বিকল্প।

·       ক্রুজ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যথেষ্ট খোঁজ-খবর নিয়ে ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। অন্যথায় প্রায় ক্ষেত্রেই প্রতারনার শিকার হতে হয়, যা আর্থিক সংকটের কারণ হয়ে দাড়ায়।

·       কোন কোন জায়গায় ঘোরানো হবে,খাবারের ব্যবস্থা কি,রাইডের সঙ্গে কোনো হিডেন চার্জ আছে কিনা- তা আগেই ক্রুজ কোম্পানির সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে।

 হা লং বে, ভিয়েতনাম

হা লং বে, ভিয়েতনাম

পরিশিষ্ট

ভিয়েতনামের হা লং বে ভ্রমণ প্রকৃতির আশ্চর্য কিছু নিদর্শনকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ করে দেয়। বিশেষ করে স্ট্যালাগ্মাইট ও স্ট্যালাক্টাইটে সমৃদ্ধ এর গুহাগুলো বিস্ময়ের অনুভূতি জাগায়। পাখির চোখে ছোট ছোট দ্বীপপুঞ্জের এক ঝলক অথবা যেকোনো একটি দ্বীপের সৈকত থেকে সমুদ্র দর্শন জীবনকে স্বার্থক করার জন্য যথেষ্ট। সদ্য শিকার করা সামুদ্রিক খাবার দিয়ে ভোজের সঙ্গে সমুদ্র ভ্রমণে ক্রুজ শীপের মতো প্রমোদতরীগুলোর কোনো বিকল্প হয় না। স্বাভাবিকভাবেই এখানে সামলাতে হবে খরচের পাহাড়সম বোঝা। তাই বাজেট-বান্ধব অ্যাডভেঞ্চারের জন্য আগস্ট বা জানুয়ারির মতো অফ পিক সিজনকে বেছে নিতে হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com