1. [email protected] : চলো যাই : cholojaai.net
ভিজিট ভিসায় আমিরাতে যাওয়া কতটুকু নিরাপদ?
শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ০১:৪০ পূর্বাহ্ন
Uncategorized

ভিজিট ভিসায় আমিরাতে যাওয়া কতটুকু নিরাপদ?

  • আপডেট সময় রবিবার, ৬ জুন, ২০২১

বাংলাদেশের জন্য দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। ১৯৭৬ সাল থেকে শ্রমিক নিয়োগ শুরু হয় দেশটিতে। কিন্তু ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগে বাংলাদেশিদের নেওয়া বন্ধ করে দেয় আরব আমিরাত। মহামারি করোনাভাইরাসের সময় আমিরাত সরকার চলতি বছরের এপ্রিল-মে মাসে প্রবাসীদের আভ্যন্তরীন ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ সৃষ্টি করে। সাথে ভিজিট ভিসায় আগত প্রবাসীরাও বিভিন্ন কোম্পানিতে কর্মী হিসেবে ভিসা লাগানোর সুযোগ পায়।

করোনা পূর্ববর্তী সময়ে ভিজিট ভিসায় যাওয়ার সুযোগ থাকলেও ভিসা পরিবর্তন করে কোনো কাজে যোগ দেওয়ার সুযোগ ছিল না। কিন্ত এখন ভিজিট ভিসায় এসে ভিসা লাগানোর সুযোগ আছে, সাথে আছে ইনভেস্টর বা পার্টনার হওয়ার সুযোগও। কিন্তু বাংলাদেশের বিমানবন্দরে ভিজিট ভিসাধারীদের নানাভাবে হয়রানি হওয়ার মতো খবর পাওয়া গেছে।

যদিও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে শ্রমিকদের ভিজিট ভিসায় আরব আমিরাত পাঠানোর একটা প্রক্রিয়া চালু করেছে। তাদের বিএমইটি স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হচ্ছে। এই বিষয়ে প্রবাসী প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমদ মনিরুছ সালেহীন বলেন,বিএমইটি ছাড়পত্র তারাই পাচ্ছে যারা ওই গ্রুপ ভিসার মাধ্যমে যাচ্ছে। ভিজিট ভিসায় ওয়ার্ক ভিসাতে ট্রান্সফার হচ্ছে।

অভিবাসন আইনে ভিজিট ভিসা বা পর্যটন ভিসায় গিয়ে কাজ করা অবৈধ। তাহলে বাংলাদেশ থেকে কীভাবে ছাড়পত্র দেয়া হচ্ছে বিদেশগামী কর্মীদের? সচিব বলেন, আমরা যাদেরকে বিএমইটি স্মার্ট কার্ড দিয়ে পাঠাচ্ছি, তাদের কিন্তু একটি গ্যারান্টি আছে। যদি কোনো কারণে নির্দিষ্ট সময়ে ভিসা না পান, তাহলে যে এমপ্লয়ার শ্রমিক নিয়ে যাচ্ছে তারাই তাকে আবার নিজের খরচে ফেরত পাঠাবে দেশে।
সচিব স্বীকারও করেন যে, ট্যুরিস্ট বা ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে যারা যাচ্ছেন তারা একটু বেশি সংকটে পড়েন, এখন পর্যন্ত তারা তেমন কোনো কর্মের সুযোগ পাচ্ছে না।

বিএমইটির হিসাব মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৮ মে পর্যন্ত ৪ হাজার ৫৭৮ জন কর্মী সরকারি ছাড়পত্র নিয়ে ভিজিট ভিসায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে গেছেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে ঝুঁকিতে পড়বেন কর্মীরা।

অভিবাসন বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনীর বলেন, একটা প্রশ্ন থেকে যায় যে, কীভাবে এই ব্যক্তিরা সরকারিভাবে অনুমতি পাচ্ছেন? সেটা যে কর্তৃপক্ষই অনুমতি দিয়ে থাকুক না কেন। সে যে কাজ করার বিষয়ে তার বৈধতা নেই। যারা স্পষ্টভাবে এই পার্থক্যগুলো বুঝেন না, সে যে কি বিপদে পড়তে পারে, এই বিষয়ে তার ধারণা নেই।

ইমিগ্রেশন নিউজ 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Developed By ThemesBazar.Com