শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৩ অপরাহ্ন
Uncategorized

ভালোবাসার বসন্তে তাহিরপুর শিমুল বাগানে পর্যটকদের ভিড়

  • আপডেট সময় রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

ঘন সবুজে পাহাড়, স্বচ্ছতোয়া জলের ঝলমলে নদী যাদুকাটা, মরুময় বিস্তীর্ণ বালুপ্রান্তর ঘেরা প্রকৃতিসুন্দর তাহিরপুরের অনন্য এমন স্থানে অবস্থিত সুনামগঞ্জের জয়নাল আবেদিন শিমুল বাগান। তাহিরপুরের সীমান্তগ্রাম মানিগাঁওয়ে দুই দশক আগে ২ হাজার বৃক্ষ সম্বলিত শিমুল বাগানটি এখন দেশ বিদেশের সৌন্দর্য্যপিয়াসী মানুষের বিশেষ পছন্দ, আকর্ষণের অন্যতম স্থান। কর্তৃপক্ষের মতে দেশের সর্ববৃহৎ শিমুল বাগান এটি।  প্রতিবছর ফুল ফোটার এমন সময়ে বিশেষ করে ভালোবাসার এই দিনে দলে দলে এসে লাল শিমুলের রঙে মন রাঙান প্রকৃতি প্রেমিকেরা। ভালোবাসার বসন্ত দিনে পুরো শিমুল বাগানই ছিল ভালোবাসাময়।

মেঘালয়ের শীতের হিমেল বাতাসকে বিদায় দিয়ে আসছে বসন্ত। পাতা ঝরে পড়ে গাছ গাছে সুবজ পাতার কুঁড়ি বিকশিত হচ্ছে। এরই মধ্যে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর শিমুল বাগানে ফুটতে শুরু করেছে ফুল।

তাহিরপুরের মানিগাঁও গ্রামে যাদুকাটা নদীর তীর ঘেঁষে ১০০ বিঘা জমির ওপর তিন হাজার শিমুল গাছ নিয়ে গড়ে ওঠেছে এই শিমুল বাগান। সুহালা গ্রামের প্রয়াত শিক্ষানুরাগী ও ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন বাগানটির প্রতিষ্ঠা করেন বাণিজ্যিকভাবে তুলা উৎপাদনের জন্য। কিন্তু এখন সুবিশাল শিমুল বাগান পর্যটকদের অন্যতম ভ্রমণ তীর্থ হয়ে ওঠেছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দল বেঁধে পর্যটকরা শিমুল বাগানের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে আসেন। বসন্তের শুরুতেই কিছু কিছু গাছে সীমিত আকারে শিমুল ফুল ফুটেছে আগামী সপ্তাহ ১০ দিনের মধ্যে পুরো বাগানে ফুল ফোটে উঠবে। ফুল ফুটুক বা না ফুটুক প্রকৃতি প্রেমীরা ছুটির দিনসহ বিশেষ দিনগুলোতে বেড়াতে আসেন। তারা উপভোগ করেন শিমুল বাগানের অপার সৌন্দর্য্য ও যাদুকাটা নদী।

ঢাকার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে সুনামগঞ্জ আব্দুজ জহুর সেতুর মোড়ে নেমে মোটরসাইকেল বা সিএনজি অটোরিবশায় চড়ে শিমুল বাগান থেকে দেড় ঘণ্টা সময় লাগবে। বাস ও সিএনজি ভাড়া আসা যাওয়া বাবদ খরচ হবে তিন হাজার টাকা।

বাগান মালিক ও বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রাখাব উদ্দিন বলেন, বাগানে শিমুল ফুল ফুটতে শুরু করেছে। আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে পুরো বাগানে ফুল ফুটবে। তারপরও পর্যটকদের আনাগুনা থেমে নেই। করোনাকালেও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা শিমুল বাগান দেখতে আসেন। এছাড়া শীত গ্রীষ্ম বর্ষা সব সময় পর্যটকরা এখানে ঘুরতে আসে। তবে শীতে পর্যটকের সংখ্যা অনেকগুণ বেড়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, ছুটির দিনে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় হয়। তবে শিমুল গাছে ফুল ফুটার পর থেকে ঝরে পড়ার পূর্ব পর্যন্ত শতশত পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত থাকে বাগান। এখানে এসে অনেকেই বনভোজন করেন। পর্যটকদের বাড়তি বিনোদনের জন্য স্থানীয়ভাবে সুসজ্জিত ঘোড়ার ওপর ওঠে ছবি তোলার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া তাদের সুবিধার জন্য বিশুদ্ধ পানীয় জল ও স্যানিটেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com