বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
দুবাইতে প্রথম আকাশযান ভের্টিপোর্ট শাহজালাল বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল ১৫ বছর পরিচালনার দায়িত্ব পাচ্ছে জাপানের ৬ প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ কোরিয়ায় ১০ লাখ শ্রমিক প্রয়োজন লিথুয়ানিয়ায় উচ্চশিক্ষা: ৩৫০টির বেশি প্রোগ্রামে পড়াশোনা, স্কলারশিপের সুবিধা ফিটস এয়ারে বড় ছাড়, ২৮ হাজারে শ্রীলঙ্কার রিটার্ন ফ্লাইট সাধ্যের মধ্যে আন্দামান : যে কথা বলে না কেউ ক্রোয়েশিয়ায় কাজ করার জন্য ভ্রমণ বা স্থায়ী বসবাসের সুযোগ অনেকের কাছে আকর্ষণীয় আইইএলটিএস ছাড়াই স্কলারশিপে মাস্টার্স-পিএইচডি চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ে শাওনকে কিভাবে প্রেম নিবেদন করেছিলেন হুমায়ূন বিশ্বের ’সবচেয়ে দূর্বল পাসপোর্ট পেয়েও ১০০ টিরও বেশি দেশে ভ্রমণ

ভারতের বাণিজ্যিক বিমানের সর্বকনিষ্ঠ পাইলট সাক্ষী কোচার

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০২৩

ভারতের বাণিজ্যিক বিমানের সর্বকনিষ্ঠ পাইলট হয়ে রেকর্ড গড়লেন হিমাচল প্রদেশের মেয়ে সাক্ষী কোচার। মাত্রা ১৮ বছর বয়সে বাণিজ্যিক বিমান চালানোর লাইসেন্স অর্জন করেছেন তিনি।

এত কম বয়সে এই কৃতিত্ব অর্জন করতে পেরে খুব খুশি সাক্ষী কোচার। পাইলট হওয়ার পেছনের অভিজ্ঞতার কথাও তিনি শেয়ার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকে পাইলট হওয়ার স্বপ্ন ছিল তার চোখেমুখে। স্বপ্ন পূরণের সেই অনুভূতি ভাষায় বর্ণনা করা তার পক্ষে অসম্ভব।

বাণিজ্যিক পাইলট হিসেবে লাইসেন্স পাওয়ার দিনটি তার কাছে অনেক স্পেশাল বলে জানিয়েছেন সাক্ষী কোচার। নিজের জন্মদিনের দিনই পেলেন বাণিজ্যিক বিমান চালানোর লাইসেন্স। ভারত থেকে আমেরিকাগামী একটি বিমান নিরাপদে বিমানবন্দরের মাটি স্পর্শ করতেই নির্দিষ্ট লক্ষ্য স্পর্শ করছেন সবচেয়ে কম বয়সী এই নারী পাইলট। বিমানের পাইলট হওয়া ছাড়াও তার ভালোলাগার বিষয়গুলোও সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে শেয়ার করেছেন সাক্ষী কোচার।

তিনি বলেন, মাত্র ১০ বছর বয়সে ভর্তি হয়েছিলেন নাচের স্কুলে। সেই সময় তার একমাত্র ধ্যানজ্ঞান ছিল নাচ। একজন প্রতিষ্ঠিত নৃত্যশিল্পী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বেশ কয়েকটি জায়গায় নৃত্য অনুষ্ঠানে যোগও দিয়েছিলেন।

কিন্তু এরপর একটি ভিডিও সাক্ষীর জীবনের মোড় অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়। মাত্র ১৯ বছর বয়সে বাণিজ্যিক বিমান চালানোর লাইসেন্স পেয়েছিলেন মুম্বাইয়ের বাসিন্দা এডি মেনেকা। তিনিই ছিলেন সাক্ষীর আগে ভারতে সবচেয়ে কম বয়সী বাণিজ্যিক বিমানের চালক। এ জন্য প্রকাশিত ভিডিওটিতে মেনেকার প্রশংসা শোনা গিয়েছিল। এরপর কম বয়সে বাণিজ্যিক বিমানের পালট হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে সাক্ষী। পূরণ হলো সেই লক্ষ্য।

এদিকে সাক্ষী কোচারের সাফল্যে খুশি বাবা-মাও। বাবা লোকেশ কোচার জানিয়েছেন, শৈশবকাল থেকেই শুধু পড়াশোনা নয়, অন্যান্য কাজের প্রতি সাক্ষীর ছিল সমান মনোযোগ। মেয়ের পাইলট হওয়ার নিয়ে তার মধ্যে যে দ্বিধা ছিল, তা স্বীকার করেন সাক্ষীর বাবা। শেষ পর্যন্ত মেয়ের জেদের কাছে তাকে হার মানতে হয়েছিল বলে জানিয়েছেন বাবা লোকেশ কোচার। মেয়ের সাফল্যে আবেগপ্রবণ হতে দেখা যায় তাকে। মেয়ের সাফল্যে খুশি মা জ্যোতি কোচারও।

ছোটবেলা থেকে সন্তানদের যে কোনও কাজের প্রতি উৎসাহ যোগাতেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com