নাগরিকত্বে কড়াকড়ির নতুন বার্তা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। ৫ বছরের জায়গায় ১০ বছর, কর্মসংস্থানে নিয়ন্ত্রণ, আর ভাষার কঠিন শর্ত সব মিলিয়ে অভিবাসীদের জন্য শুরু হয়েছে এক অনিশ্চিত লড়াই।
ক্ষমতায় আসার এক বছরও পূরণ হয়নি, এরইমধ্যে নাগরিকত্ব নীতিতে সবচেয়ে কঠোর শ্বেতপত্র প্রকাশ করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। স্টারমার জানালেন, এখন থেকে নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া হবে দীর্ঘমেয়াদি ও কঠিন। সোমবার (১২ মে) এ বিষয়ক একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হয়।
এ প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, ‘আজ আমরা অভিবাসন নিয়ে একটি হোয়াইট পেপার প্রকাশ করেছি। এই কৌশলগত পরিকল্পনা আমার পরিবর্তনের রূপরেখার কেন্দ্রে রয়েছে, যা আমাদের সীমান্তের ওপর নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করবে।’
British_National_Overseas_passport
নতুন নীতিতে ইংরেজি ভাষা জানার শর্ত আরও কঠিন করা হয়েছে। পাশাপাশি, ৫ বছর পর নাগরিকত্বের আবেদন করার নিয়ম বাড়িয়ে করা হয়েছে ১০ বছর। বিদেশি কর্মী নিয়োগেও আসছে বিধিনিষেধ, যার প্রভাব পড়বে কেয়ার হোমসহ বিভিন্ন খাতে।
আইনজীবীদের মতে, এই কড়াকড়ি শুধু অভিবাসীদের নয়, যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির জন্যও হুমকি। এতে কমবে দক্ষ জনশক্তি, বাড়বে সামাজিক চাপ।