বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৪:২৪ অপরাহ্ন
Uncategorized

ব্রাজিল পরিচিতি

  • আপডেট সময় শনিবার, ২০ মার্চ, ২০২১

(এক) পটভূমি:

ব্রাজিলে বাংলাদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থান সুযোগ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বহুদিন ধরে ভাবা হচ্ছিল কিন্তু তেমন কোন উদ্যোগ গৃহীত হয়নি। বাংলাদেশ থেকে কর্মীরা ১৬৫টি দেশে কর্মসংস্থানে নিয়োজিত হলেও মাত্র ১০টি দেশেই ৯২ শতাংশ কর্মী গমন করে থাকে। তাই সম্প্রতি ব্রাজিলে বাংলাদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে একটি সরকারি দল প্রেরণ করা হয়। প্রচলিত শ্রমবাজারের বাইরে নতুন কর্মসংস্থানক্ষেত্র অনুসন্ধান ও অভিবাসীর জন্য ভাল মজুরীর সন্ধান করাও এ উদ্যোগের উদ্দেশ্য ছিল। এতে মধ্যপ্রাচ্যের মত প্রথাগত বাজারের পাশাপাশি অন্যান্য গন্তব্যে ও পেশায় কর্মী প্রেরণের বৈচিত্র আনাও সম্ভব হতে পারে।

এ ভ্রমণের সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ছিল-

(১) সম্ভাব্য নিয়োগকর্তার সাথে আলোচনা করা, (২) বিদেশি কর্মীদের জন্য নিয়োগপদ্ধতি পর্যবেক্ষণ করা, (৩) দক্ষকর্মীর চাহিদা নিরূপণ করা, (৪) কাজের ধরণ ও মজুরীর স্তর পর্যবেক্ষণ করা, (৫) বাংলাদেশি কর্মী প্রেরণের সম্ভাব্যতা যাচাইকল্পে বাংলাদেশি কর্মীদের সাথে আলোচনা করা ও (৬) ব্রাজিলস্থ বাংলাদেশি কর্মীদের কল্যাণার্থে করণীয় বিষয়াদি পর্যবেক্ষণ করা।

(দুই) ব্রাজিল পরিচিতি:

ব্রাজিলের দাপ্তরিক নাম ফেডারেল রিপাবলিক অব ব্রাজিল। সরকার কাঠামো প্রজাতন্ত্র। রাজধানীর নাম ব্রাসিলিয়া, ভাষা পর্তুগিজ। আয়তন ৩,২৪৬৪৭০ বর্গমাইল; ব্রাজিল পৃথিবীর ৫ম বৃহত্তম দেশ। বাংলাদেশের চেয়ে প্রায় ৫৮ গুণ বড়। ব্রাজিলের সীমানায় রয়েছে প্যারাগুয়ে, আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে, পেরু, বলিভিয়া, কলম্বিয়া, ভেনিজুয়েলা, সুরিনাম, ফ্রেঞ্চ গায়না এবং গায়না। ব্রাজিলের মুদ্রার নাম রিয়াল; ১ ব্রাজিলিয়ান রিয়াল = ২৫ বাংলাদেশি টাকা। ব্রাজিলের অর্থনীতি বিষয়ক নির্দেশকগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, ব্রাজিলের জনসংখ্যা ২০৪.৫ মিলিয়ন, জিডিপির পরিমাণ ১৭৯৬.১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, মাথাপিছু জাতীয় আয় (পিপিপি) ১৫, ৪৩০.৩০ মার্কিন ডলার।

ব্রাজিল শব্দের অর্থ “লাল বৃক্ষ”। পর্তুগিজদের দখলে থাকার সময়ে তারা ব্রাজিলের বনে বনে এক ধরনের গাছের খুব আধিক্য দেখতে পায়। সে গাছটির কাঠ লাল রং এর। এ গাছ থেকে লাল রং তৈরী হতো। সেখান থেকে তারা এ অঞ্চলের নাম দেয় লালবৃক্ষের দেশ “ব্রাজিল”। দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের বৃহত্তম দেশ এটি। ব্রাজিলের সাধারণ মানুষ বেশ মিশুক এবং সহযোগিতার মনোভাবাপূর্ণ। শিক্ষিতের হার ৯২.৬%।

(তিন) ব্রাজিলে বাংলাদেশি কর্মী:

ব্রাজিলে বাংলাদেশি কর্মীদের অবস্থান এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এখানে প্রায় ৫০০০ বাংলাদেশি রয়েছে। মূলতঃ ভ্রমণ ভিসায় অন্য দেশের মাধ্যমে তারা গিয়েছিল। বেশিরভাগই ক্ষুদ্র ব্যবসায় জড়িত। তারা প্রতিমাসে প্রায় ১-১.৫ লক্ষ টাকা আয় করে থাকে। সার্বিকভাবে তাদের কোন সমস্যা নেই। বেশিরভাগ স্থায়ী আবাসিক অনুমতি পেয়ে গেছে।

ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় শহর “সাও পাওলো”; এরপর ’রিও ডি জেনিরো’। “সাও পাওলো”তে সবচেয়ে বেশী বাংলাদেশি কাজ করছে; যার সংখ্যা ৩০০০ এর মত হবে। অন্যান্য সব শহরে ছড়িয়ে রয়েছে বিভিন্নসংখ্যক কর্মী। তবে সবাই মোটামুটি ভালো আছে। ব্রাজিল থেকে বাংলাদেশি কর্মীরা দেশে টাকা পাঠায় মানিগ্রাম আর ওয়েষ্টার্ন ইউনিয়ন এর মাধ্যমে, তবে বেশী অংশ আসে হুন্ডির মাধ্যমে।

বর্তমানে ব্রাজিলে বাংলাদেশি কর্মীর মধ্যে বেশীর ভাগ নির্মাণ খাতে কাজ করছে। এ ছাড়া পোল্ট্রি, স্লটার হাউজ, কৃষি, রেস্টুরেন্ট, অটো মেকানিক্স, টাইল্স, প্যানেল ও গ্লাস সেটিং কাজে নিয়োজিত রয়েছে। ব্রাজিলে ন্যূনতম বেতন মাসিক ৯৮০ রিয়াল (২৫, ০০০ টাকা); তার সাথে থাকা, খাওয়া, চিকিৎসা ও বীমা ফ্রি। প্রতি বছর জুন মাসে ১০% বেতন বৃদ্ধি হয়ে যায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে। ব্রাজিলে প্রতি বছর চাকরির জন্য ১ মাস ছুটি পাওয়া যায়। ব্রাজিলের বেতনমান, ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা সন্তোষজনক। এখানে কর্মীদের বেতন ৪০, ০০০.০০ হতে ১ লক্ষ টাকা পাওয়া যায়। মেডিকেল, আবাসিক ব্যবস্থা ও বীমা অন্তর্ভুক্ত থাকে। ড্রাইভারদের মাসে ১ লক্ষ টাকা আয়ের সুযোগ রয়েছে। ব্রাজিলের শ্রম আইন শ্রমিকবান্ধব, কল্যাণমূলক এবং সবার জন্য সমান। শ্রম আদালত সব সময়ই শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষায় বেশী তৎপর থাকে। ক্ষুদ্র ব্যবসার সুযোগ ব্রাজিলে সবচেয়ে বেশী বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য; যার মধ্যে রয়েছে কাপড় ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর ছোট্ট দোকান পসরা। দেশি বিদেশি কর্মীরা সমান বেতন পান তবে অনেক ক্ষেত্রে দেশি কর্মীর বেতনের চেয়ে বিদেশি কর্মীর বেতন মান বেশী।

ঢাকাস্থ ব্রাজিল দূতাবাসের আচরণ সম্পর্কে সকলেই খুব অসন্তোষ প্রকাশ করলো। বিশেষতঃ সেখানে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের ব্যবহার ও অসহযোগিতার বিষয় উঠে এলো সকলের কথায়। ভিসাধারী লোকদেরও বিমান বন্দরে অনেক সমস্যা করা হয়। প্রচুর অর্থ লেনদেনের অভিযোগও শোনা যায়।

(চার) ব্রাজিলে অভিবাসন নীতিমালা:

ব্রাজিলের কর্মসংস্থান বাজার পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় যে, ব্রাজিলে উচ্চপর্যায়ের যোগ্যতাসম্পন্ন কর্মীর অভাব আছে। বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়ার, তৈল ও গ্যাস বিশেষজ্ঞ এবং সিস্টেম এনালিস্ট পেশায় জনবল প্রয়োজন।

তেল খাতে বেশ চাহিদা রয়েছে; যারমধ্যে ইঞ্জিনিয়ার, পরামর্শকারী, গাড়ি উৎপাদন এবং সরবরাহকারী ও কন্সট্রাক্শন কাজে দক্ষ জনবলের চাহিদা রয়েছে।

এখানে বিদেশি কর্মীর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কারণ বর্তমান অবস্থা দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্থ করছে।

দক্ষ জনশক্তির অভাব ব্রাজিলের শিল্প বিকাশের অগ্রগতিতে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ব্রাজিলে বাংলাদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থান লাভের অন্যতম নেতিবাচক দিক হলো:

উচ্চ অভিবাসন ব্যয়, (২) কর্মসংস্থান ভিসা ইস্যু কম করা (৩) বিমান ভাড়া খুব বেশি (কারণ বাংলাদেশ থেকে ২৩ ঘন্টার ভ্রমণ)

সম্প্রতি ব্রাজিল সরকারের অভিবাসন নীতিমালায় বেশ পরিবর্তন আনা হয়েছে। কর্মী ভিসায় ব্রাজিলে গমণের আবেদন পদ্ধতি উল্লেখযোগ্যভাবে সহজীকরণ করা হয়েছে। ব্রাজিলের শ্রমবাজারে প্রচুর দক্ষকর্মীর চাহিদা পূরণের জন্য এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। পূর্বের অভিবাসন পদ্ধতি ছিল মাত্রাতিরিক্ত জটিল। তখন প্রায় ১৫টি কাগজ দরকার হতো। বর্তমানে ৩টি কাগজ প্রয়োজন হয় এবং ৩ মাসের পরিবর্তে ৩০ দিন সময় নেয়া হয়।

(পাঁচ) ব্রাজিলে কর্মসংস্থান সুযোগ:

ব্রাজিলের কর্মসংস্থানের সবচেয়ে ইতিবাচক দিকগুলোর মধ্যে রয়েছে এখানে, (১) নিয়োগকর্তার আচরণ ভালো, (২) শ্রম অধিকার সুরক্ষিত, (৩) বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণের সুযোগ সুবিধা সন্তোষজনক এবং (৪) নিয়োগকর্তারা স্বীকার করেন যে, “বাংলাদেশি কর্মীরা বিশ্বস্ত, পরিশ্রমী এবং সহজে প্রশিক্ষিত হয়। বাংলাদেশি কর্মীদের চাকুরীর সুযোগ রয়েছে বেশকিছু ক্ষেত্রে; যার মধ্যে আছে : (১) কন্সট্রাকশন খাত, (২) উৎপাদন খাত, (৩) সেবাখাত, (৪) হালাল মাংস উৎপাদন খাত, (৫) পোষাক খাত, (৬) কৃষি খাত, (৭) আইটি খাত ইত্যাদি। নির্দিষ্ট ট্রেডের চাহিদার মধ্যে রয়েছে: ওয়েল্ডার, ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, শিপইয়ার্ড কর্মী, টাইলস ফিক্সার, গ্লাস সেটিং, প্যানেল সেটিং ও অটোমেকানিক। এ ক্ষেত্রে বেতন মান ১৪০০ থেকে ৩০০০ ব্রাজিলিয়ান রিয়াল হবে।

অন্যান্য কাজের সুবিধাও রয়েছে সেখানে। এ ক্ষেত্রে নিজস্ব উদ্যোগে ব্যবসা শুরুর সুযোগ আছে যাতে সফলতা অর্জন করা সম্ভব। কৃষিভিত্তিক খামার বা হালাল গবাদি পশুর খামার ও পোলট্রি ফার্ম চালু করা খুবই লাভজনক হতে পারে। এতে সরকারি অনুমতি লাভে কোন সমস্যা হয় না। এখানে জমি খুব উর্বর। দুই একর জমি বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫০০০ টাকায় ১ বছরের জন্য লিজ নেয়া যায়। করলা ও সীম ধরনের সবজি খুবই ভাল ফলন হয়। এ সকল সবজির বাজারে প্রতি কেজি খুচরা মূল্য ১০০০ টাকা। ক্ষুদ্র ব্যবসায় ও ক্ষুদ্র শিল্প স্থাপনের সুযোগও কাজে লাগানো যেতে পারে। ব্রাজিলে কর্মসংস্থান বা আত্মকর্মসংস্থান ক্ষেত্রে আরও একটি বড় সুযোগ রয়েছে সিনেমা শিল্পে। নাটক ও চিত্র নির্মাণের বিভিন্ন শাখায় কলাকুশলী হিসেবে জনবলের চাহিদা রয়েছে এখানে। কল্যাণধর্মী কাজে বা ধর্মীয় কাজে অর্থাৎ মসজিদ বা গীর্জার কাজে কর্মসংস্থান লাভ করা যায়। উল্লেখ্য যে, ব্রাজিলে প্রায় ১০০টি মসজিদ আছে। ব্রাজিলে যাবার জন্য কর্মসংস্থান ভিসা পাবার সহজলভ্যতা কম। কিন্ত ছাত্র ভিসা, ধর্মীয় প্রচার ভিসা ও সমাজ কল্যাণ ভিসা প্রাপ্তিতে বেশ সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া নির্বাহী পদে, আইটি সেক্টরে, জ¦ালানী ও ঔষধ খাতে এবং পরিবেশ সেক্টরে চাকরি লাভের সুযোগ রয়েছে। হালাল মাংস উৎপাদনে এবং মসজিদ ও মাদ্রাসায় মুসলমানদের চাকরি লাভের ক্ষেত্র রয়েছে।

মাল্টিপল বিজনেস ভিসাও প্রদান করছে ব্রাজিল দূতাবাস। এ সুযোগেও অনেকে জীবন গড়তে পারে সেখানে। রেস্টুরেন্ট, গার্মেন্ট ও খাদ্য সেক্টরে বেশ সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য। ব্রাজিলে কর্মসংস্থান বাজারে প্রবেশের জন্য বাংলাদেশ দক্ষতার সাথে এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারে। এ জন্য প্রয়োজন (১) ব্যাপক প্রচারণামূলক কার্যক্রম গ্রহণ, (২) নিয়োগ পদ্ধতি আধুনিকায়ণ এবং ডিজিটালাইজেশন (৩) অভিবাসীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, (৪) ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা(৫) দক্ষকর্মী প্রেরণের বিশেষ স্কীম গ্রহণ করা।

(ছয়) প্যারাগুয়ে পরিস্থিতি:

ল্যাটিন আমেরিকার আরেকটি সম্ভাবনাময় দেশ ‘প্যারাগুয়ে’। এখানেও বাংলাদেশি কর্মীদের বসবাস রয়েছে, রয়েছে সুন্দর সমাজ। প্রায় ৩০০ জনের মত বাংলাদেশি প্যারাগুয়েতে বসবাস করছে। প্যারাগুয়েতে রাষ্ট্রভাষা “স্প্যনিশ”। বাংলাদেশিরা স্পানিশ ভাষায় দারুণ অভ্যস্ত হয়েছে।

প্যারাগুয়েতে নিজেদের উদ্যোগে মসজিদ নির্মাণ করেছে সেখানে অবস্থিত বাংলাদেশিরা। এ মসজিদে তারা নিয়মিত নামাজ আদায় করে। মসজিদটির আয়তন বেশ বড়। সবাই অর্থ জোগাড় করে জমি কিনে এ মসজিদটি নির্মাণ করেছে। এটি শুধু ইবাদতের জন্য ব্যবহৃত হয় না; এখান থেকে বাংলাদেশিরা বিভিন্ন প্রকার সামাজিক উদ্যোগ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে। ব্রাজিলে বাস করে অনেকেই এ শহরে ব্যবসা করে থাকে। ব্রাজিল ও প্যারাগুয়ের মধ্যে এ সীমান্ত খুব একটা কড়াকড়ি নেই। ভিসা ছাড়াই এখানে অবাধে যাতায়াত করা যায়। এর বেশীর ভাগ রয়েছে ‘সিউদাদ দেল এস্টে’ শহরে। এ শহরটি ব্রাজিলের সীমান্ত শহর ফজদো ইগুয়াসুর পাশে অবস্থিত। একটা নদী তিনটা দেশকে বিভক্ত করেছে। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা আর প্যারাগুয়ে। নদীটির নাম ‘পারানা’। এখানকার বেশীর ভাগ বাংলাদেশিরা কাপড়ের ব্যবসা করে। এতে মাসে ১-১.৫০ লক্ষ টাকা আয় হয়ে থাকে। একটা বিষয় দেখে খুব ভাল লাগলো প্যারাগুয়েতে বাংলাদেশিরা একটা বড় জায়গা নিয়ে আবাসিক প্রকল্প স্থাপন করেছে। ১৫৫ টি প্লটের প্রত্যেকটি ৭.৫ কাঠা মাপের। সেখানে রাস্তা, পার্ক, স্কুল সবই আছে। নাম দিয়েছে সোনার বাংলা আবাসিক প্রকল্প।

এখানেও ব্রাজিলের মত বাংলাদেশিদের জন্য কর্মসংস্থানের অনেক সুযোগ রয়েছে। আর ক্ষুদ্র ব্যবসা করার বিশেষত: কাপড়ের দোকান বা কৃষি বা গবাদি পশুর খামার লাভজনক হতে পারে প্যারাগুয়েতে। বাংলাদেশি কর্মীরা এ বিষয়ে উদ্যোগ নিলে বিশেষভাবে লাভবান হতে পারেন।

এ ভ্রমণের মাধ্যমে সবচেয়ে বড় যে অর্জন হয়েছে তা হলো- (১) প্রচলিত বাজারের বাইরে বাংলাদেশি অভিবাসীদের জন্য শ্রমবাজার অন্বেষণ করা (২) অভিবাসন গন্তব্যে বৈচিত্র আনয়নের সুযোগ (৩) উচ্চতর বেতন শনাক্তকরণ (৪) শোভন কর্মক্ষেত্রে সুযোগ (৫) অভিবাসনে ল্যাটিন আমেরিকাকে নতুন গন্তব্য হিসেবে নির্দিষ্ট করা।

লেখক: ড. মো: নূরুল ইসলাম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com