অন্যদিকে, আর্জেন্টিনাও–বা পিছিয়ে কিসে? ডিফেন্স নিয়ে বরাবর দুর্নাম কুড়ানো লা আলবিসেলেস্তেরা এবারের আসরে সাম্প্রতিক সময়ের সেরা ডিফেন্সিভ পারফরমেন্স দেখাচ্ছে। ওতামেন্দির সঙ্গে পেজ্জেলা কিংবা রোমেরো—দুজনেই প্রমাণ দিচ্ছেন সর্বোচ্চ সামর্থ্যের। আর গোলকিপার হিসেবে এমিলিয়ানো মার্তিনেজ দেখাচ্ছেন অসাধারণ নৈপুণ্য! সেমিফাইনালের টাইব্রেকারে তিনটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে আর্জেন্টিনার ফাইনাল নিশ্চিত করেছেন একাই। ৬ ম্যাচে মাত্র ৩ গোল খাওয়ার পরিসংখ্যানও আর্জেন্টিনার রক্ষণের গুণগান শোনায়। মাঝমাঠে পারদেস, লো সেলসো এবং দি পলও আছেন দুরন্ত ছন্দে! তবে ব্রাজিলের মতো আর্জেন্টিনারও বড় শক্তি তাদের আক্রমণভাগ, স্বয়ং লিওনেল মেসি যার নেতা। প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই তাঁর পায়ের জাদুতে নাকাল হয়েছে প্রতিপক্ষ। কখনো গোল করছেন, কখনো করাচ্ছেন। চিলি-কলম্বিয়ার মতো শারীরিক শক্তির প্রদর্শন করা দলগুলোও তাঁকে আটকাতে ব্যর্থ। ফাইনালেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ট্রফি ছুঁতে পারবেন মেসি।
দুই দলের বিশ্লেষণে কাউকেই আলাদাভাবে এগিয়ে রাখা যাচ্ছে না। যোগ্যতার বিচারে পিছিয়ে নেই কোনো দল। ১১ জুলাই বাংলাদেশ সময় সকাল ছয়টায় অনুষ্ঠিত হওয়া ম্যাচে ব্রাজিলের ডাগআউটে থাকবেন তিতে, আর্জেন্টিনার ডাগআউটে থাকবেন স্কলানি। কোচ হিসেবে তিতে অভিজ্ঞতার বিচারে পোড় খাওয়া, অন্যদিকে আর্জেন্টিনার স্কলানি অল্প দিন আগে দায়িত্ব নিয়েও দলের খেলায় আমূল পরিবর্তন এনে নিজের জাত চিনিয়েছেন। তাই তো আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের এই মহারণ নিয়ে দুদলের ভক্তদের আকাশছোঁয়া প্রত্যাশা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যেকোনো এক পক্ষের বুক ভাঙবে, এটা খেলার নিয়ম। তা মেনে নিয়েই যেন আমরা কোনো রকম দুর্ঘটনা ছাড়া রোমাঞ্চকর ফুটবলের কেবল সৌন্দর্যটুকু উপভোগ করি—এমন প্রত্যাশা সবার কাছে রইল।