শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:০৬ অপরাহ্ন
Uncategorized

বেসরকারি খাতের চাকরিতে নাগরিকদের আকৃষ্ট করছে ইউএই

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১

উচ্চবেতন, সুযোগ-সুবিধা ও কাজের সময়ের বিষয়গুলো আকর্ষণীয় করে তুলেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) সরকারি চাকরিকে।অনেক স্নাতক বেসরকারি সংস্থার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে অপেক্ষা করেন সরকারি চাকরির। বেসরকারি খাতের চাহিদা পূরণে দরকার পড়ে লাখ লাখ বিদেশী কর্মীর। উপসাগরীয় অঞ্চলজুড়েই এ প্রবণতা বিদ্যমান। এবার এ প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছে ইউএই। সরকারের লক্ষ্য বেসরকারি খাতের চাকরিকে নাগরিকের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলা। এক্ষেত্রে দেশটি পরিকল্পিত সুবিধা ও ভর্তুকি প্যাকেজে ২ হাজার ৪০০ কোটি দিরহাম (৬৫০ কোটি ডলার) ব্যয় করবে।

অ্যারাবিয়ান বিজনেসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি ও বেসরকারি খাতের মধ্যে বেতন ও সুযোগ-বিধার ব্যবধান দূর করতে পদক্ষেপ নিচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এর আওতায় সরকার আগামী পাঁচ বছরে ৭৫ হাজার নাগরিককে বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থানের লক্ষ্য নিয়েছে।

দেশটির প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান বলেন, নাগরিক, তাদের সন্তান এবং আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর জীবনযাপন নিশ্চিত করা আমাদের সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার। ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য বেসরকারি খাতের সঙ্গে কাজ করা হবে এবং সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে।নতুন ঘোষণার মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থী ও নতুন স্নাতকদের বেসরকারি খাতে চাকরি গ্রহণে অনুদান, ১০০ কোটি দিরহামের স্নাতক ব্যবসা উন্নয়ন তহবিল, সরকার সমর্থিত নতুন বেসরকারি খাতের শিশু ভাতা ও বেকারত্ব সুবিধা। পাশাপাশি ফেডারেল সরকারি কর্মচারীদের ব্যবসা শুরুর জন্য ক্যারিয়ারের বিরতি ও আগেভাগে অবসর গ্রহণের স্কিম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

নতুন উদ্যোগের বিষয়টি ঘোষণা করে ইউএইর ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ রশিদ আল মাকতুম বলেন, জাতি হিসেবে ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আমরা বিশ্বমানের জাতীয় অবকাঠামো নির্মাণ থেকে শুরু করে দক্ষ জনশক্তি তৈরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।আমাদের জনগণ আমাদের গর্ব। সফল ব্যবসা, বাণিজ্য ও জ্ঞান অর্থনীতিতে নতুন ভবিষ্যৎ তৈরির জন্য তরুণদের ধারণা ও আকাঙ্ক্ষা গড়ে তুলতে আমরা বিনিয়োগ করছি।

নবনির্মিত এমিরাতি ট্যালেন্ট কম্পিটিটিভনেস কাউন্সিল এ বিনিয়োগ প্রকল্প পরিচালনা করবে।এ কাউন্সিলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জায়েদ আল নাহিয়ান। উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে এমিরাতি বেতন সহায়তা প্রকল্প। এ প্রকল্পের আওতায় বেসরকারি খাতের সংস্থায় স্নাতকদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ উৎসাহিত করতে নাগরিকদের প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ৮ হাজার দিরহাম করে এক বছর বেতন সহায়তা দেয়া। পাশাপাশি সর্বোচ্চ ৫ হাজার দিরহাম করে পাঁচ বছর মাসিক সহায়তা প্রদান করা হবে।

এছাড়া মেরিট প্রোগ্রামের আওতায় নারীদের, হিসাবরক্ষক ও আর্থিক নিরীক্ষক, বাণিজ্যিক আইনজীবী, আর্থিক বিশ্লেষক ও কোডারসহ বিশেষ ক্ষেত্রে নাগরিকদের মাসিক ৫ হাজার দিরহাম সহায়তা দেয়া হবে।যেখানে পেনশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমিরাতি কর্মীদের জন্য পেনশন পরিকল্পনার ব্যয় দেয়া হবে।

১০০ কোটি ডলারের স্নাতক তহবিলের আওতায় ইউএইর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের এবং নতুন স্নাতকদের নতুন ব্যবসা শুরুর জন্য উৎসাহিত করা হবে।প্রাইভেট সেক্টর চাইল্ড অ্যালাউন্স স্কিমের আওতায় প্রথম সন্তানের কেয়ার ভাতা, বেসরকারি খাতে কর্মরত নাগরিকদের শিশুপ্রতি ৮০০ দিরহাম করে মাসিক সর্বোচ্চ ৩ হাজার ২০০ দিরহাম সহায়তা দেয়া হবে। ২১ বছরের কম বয়সী শিশুদের দেখভালের ব্যয় বাবদ এ অর্থসহায়তা দেবে দেশটি।

এছাড়া একটি নতুন স্কিম দেশটির বেসরকারি খাতে কর্মরত নাগরিকদের বেকারত্ব সুবিধা প্রদানে সহায়তা করবে।সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা এ খাত থেকে চাকরি হারানো নাগরিকদের অন্য কোথাও চাকরি পাওয়ার আগ পর্যন্ত ছয় মাস সহায়তা দেয়া হবে।

বণিক বার্তা

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com