একবার ঢাকায় বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিচ্ছিলাম। কালো ধোঁয়ার যান্ত্রিক জীবনের কোলাহল ছেড়ে কোথাও গিয়ে নির্মল বাতাসে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে সবাই ছটফট করছিলাম। এমনিতেই আমরা ঘুরবাজ মানুষ, একটু ফুসরত পেলেই
চিম্বুক পাহাড় ঘুরে পৌছালাম নীলগিরি রিসোর্টে মেঘদূত রুম ছাড়াও উপরে কয়েকটি রুম আমাদের বুকিং ছিল, ২০ জনের একটা টিম সেখানে গিয়েছিলাম। নিজেদের গাড়ি নিয়ে গিয়েছিলাম, যদিও ওখানকার রাস্তা খুব আকাঁবাঁকা।
শুরু হয়েছে সুন্দরবন ভ্রমণের মৌসুম। খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট জেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সুন্দরবন। ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ এ বনকে জীব ও উদ্ভিদ জাদুঘর বললেও কম বলা হবে। সুন্দরবনে বেড়ানোর উপযুক্ত
তুলার মতো মেঘমালা, চারদিকে সারি সারি সবুজ পাহাড়। সবুজের রাজ্যে এ যেন সাদা মেঘের হ্রদ! নিশ্চয়ই ভাবছেন স্বপ্নের মত সুন্দর এরকম দৃশ্য বাস্তবে দেখা যাবে কি? আর দেখা গেলেও হয়ত
পাহাড় আর জলবেষ্টিত যেকোনো জায়গা সবচেয়ে বেশি সুন্দর হয়ে ওঠে বর্ষা মৌসুমে। তাই এ মৌসুমে এসব অঞ্চলে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে যায় বহুগুণ। সিলেটে যেমন পাহাড় রয়েছে, তেমনই রয়েছে ঝর্ণা ও
নিঝুম দ্বীপ! নামটা শুনলেই মনটা কেমন যেন ছটপট করতে থাকে। অনেক প্রতিকূলতা অতিক্রম করে ‘ঘুরে বেড়াই বাংলাদেশ’ দলের বন্ধুরা রওনা দিই সেই না দেখা গন্তব্যের উদ্দেশে। বাস,ট্রলারে ঢেউ আর জলদস্যুর
ভ্রমণের জন্য দ্বীপের মতো চমৎকার জায়গা খুব কমই আছে। মূলভূমি থেকে দূরে চারদিক কেবলই পানিতে ঘেরা একেকটি দ্বীপ প্রাণ, প্রকৃতি ও জীবনযাত্রার স্বকীয়তায় অনন্য। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর শ্বাসরুদ্ধকর মনোরম দৃশ্যে
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলা পটুয়াখালীর একটি উপশহর, নৈসর্গিক দৃশ্যের অবারিত ক্ষেত্র কুয়াকাটা। রাজধানী ঢাকা থেকে যাতায়াতের সুব্যবস্থা রয়েছে। পদ্মা সেতু দিয়ে সড়কপথে ও নৌ-পথে আপনি উপভোগ করতে পারেন এই ভ্রমণানন্দ। তবে
সমুদ্রসৈকত বা দ্বীপ বরাবরের মতোই সবার প্রিয়। সমুদ্রের উত্তাল গর্জন আর শীতল বাতাস সবার হৃদয়ই শিহরিত করে। নিজের ভেতরে অন্যরকম রোমাঞ্চ তৈরি হয়। সমুদ্র আর নীল আকাশের অপূর্ব সমন্বয় লক্ষ্য
আমাদের একটি মেঘের আলয় আছে। যেখানে মেঘেদের অবাধ আনাগোনা। এখানে আসলে মেঘদূত এসে আপনার সংবাদটি পৌঁছে দিবে প্রেয়সীর কাছে। কিংবা আপনি মেঘের মহাসমুদ্রে ভেসে বেড়াবেন যতক্ষণ ইচ্ছে। সারাদিন মেঘ ও