মহাখালীর ওয়ারলেস এলাকায় ‘ঢাকাইয়া কাচ্চি’ ঘরে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল বহুদিনের। অবশেষে এক বৃষ্টিস্নাত দুপুরে বন্ধু আজাদ, রায়হান ভাই ও সাকিব ভাইকে নিয়ে আমরা সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।
রবিবার সকাল থেকে তিতুমীর কলেজের বৃষ্টিস্নাত ক্যাম্পাসে গল্প-গুজব, আড্ডা দিয়ে সময় কাটিয়েছি। বৃষ্টির ছোঁয়ায় ক্যাম্পাসের পরিবেশ যেমন ছিল মায়াবী, তেমনি আমাদের মনেও ছিল এক অন্যরকম উচ্ছ্বাস।
বৃষ্টিস্নাত দুপুরে খিচুড়ির স্বাদ নেওয়ার ইচ্ছে হলো সবার। মহাখালীর আশপাশে সুলভ মূল্যে ভালো মানের খিচুড়ি কোথায় পাওয়া যাবে, তা ভাবতে ভাবতে সন্ধান মিললো ‘ঢাকাইয়া কাচ্চি’র।
সবশেষে আমরা মহাখালীর ওয়ারলেস এলাকার ‘ঢাকাইয়া কাচ্চি’ ঘরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। দোকানটি প্রস্থে ছোট হলেও দৈর্ঘ্যে কিছুটা লম্বা। খাবারের মান নিয়ে মহল্লার লোকজনের প্রশংসা থাকায় কিছুটা ভিড় লেগেই থাকে।
ঢাকার ব্যস্ততার মাঝে বৃষ্টির ঝুম ধারা এক বিশেষ প্রশান্তি নিয়ে আসে। রেস্টুরেন্টে ঢুকতেই মন আরও প্রশান্ত হলো। ‘ঢাকাইয়া কাচ্চি’র বিশেষ আইটেমগুলোর মধ্যে অন্যতম হল ডিম খিচুড়ি।
নাম শুনলেই বোঝা যায়, এই খিচুড়ির সঙ্গে ডিমের মজাদার সংমিশ্রণ আছে। আমরা প্রতিটি প্লেটে সেই বিখ্যাত ডিম খিচুড়ি অর্ডার করলাম।
বৃষ্টির সঙ্গে খিচুড়ির মিশ্রণে এক বিশেষ অনুভূতি কাজ করছিল। মাটির গন্ধ মাখা হাওয়া, গরম ধোঁয়া ওঠা খিচুড়ি ও আমাদের আড্ডা সব মিলিয়ে মুহূর্তগুলো আরও রঙিন হয়ে উঠলো। আজাদের খুনসুঁটি, রায়হান ভাইয়ের অভিজ্ঞতার গল্প ও সাকিব ভাইয়ের হাস্যরসের মিশ্রণে দুপুরটা ছিল চমৎকার।
রেস্টুরেন্টে পরিবেশনকারীদের বন্ধুসুলভ আচরণ আমাদের আরও স্বাচ্ছন্দ্য করে তুললো। দাম ছিল মাত্র ৮০ টাকা। সঙ্গে ছিল পর্যাপ্ত ঝোল ও সালাদ। গরম ধোঁয়া ওঠা খিচুড়ির সঙ্গে মসলা মাখানো ডিম ও সালাদের মিশ্রণ দুপুর খাবারকে আরও প্রাণবন্ত করে তুললো।
খেতে খেতে হোটেল মালিকের সঙ্গে কথা হলো। তিনি জানান, খিচুড়ি তৈরির পদ্ধতি অনেক যত্ন নিয়ে করা হয়। চাল, ডাল, মসলা ইত্যাদি সঠিক অনুপাতে মিশিয়ে তৈরি করা এই খিচুড়ি। এতে ব্যবহৃত বিশেষ মসলা খিচুড়িকে অনন্য স্বাদ দেয়।