বিলাসিতার অপর নাম বুর্জ আল খলিফা। বিশ্বের একমাত্র সাত তারকা হোটেল এটি। বিখ্যাত একটি আরব জাহাজের মাস্তুলের আকারে বানানো হয়েছে এই হোটেলটি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে এটি অবস্থিত। শেখ আল নাহিয়ানের সম্পূর্ণ পারিবারিক সম্পত্তি এই হোটেলটি। এখানাকার একটি সাধারণ রুমের ভাড়া বাংলাদেশী টাকায় এক লক্ষ টাকা। বড় রুমের ভাড়া ৮ লক্ষ টাকা। সবচেয়ে রাজকীয় রুমের ভাড়া ২৪ লক্ষ টাকা।বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে লাখো পর্যটক এই হোটেলটি দেখতে ছুটে আসে।এই হোটেলে প্রবেশের আগে নিরাপত্তা তল্লাশি বাধ্যতামূলক।
বিশ্বের এই সেরা হোটেলটি নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে বাংলাদেশী টাকায় ৬০৪৮ কোটি টাকা। এর নির্মান কাজ শুরু হয় ১৯৯৪ সালে এবং শেষ হয় ১৯৯৯ সালে। সমুদ্রের ভিতর মানুষের তৈরি একটি কৃত্রিম দ্বীপের উপর এটি নির্মান করা হয়েছে। একটি ব্রিজের দ্বারা মূল ভ‚মির সাথে সংযুক্ত।
৫৬ তলা হোটেলটির তিনটি তলা রয়েছে পানি নীচে। পুরো হোটেলের লিফট আছে সর্বমোট ১৮টি। দৃষ্টিনন্দন এই হোটেলটির নকশা করেছেন টম রাইড। প্রতিটি রুমে একটি সোনার আইপ্যাড রয়েছে। এই আইপ্যাডে অ্যাপেল কোম্পানীর সাথে হোটেলের লগোও লাগানো থাকে। হোটেলের নানাবিধ সেবা এই আইপ্যাডে দেওয়া থাকে। রুমে বসেই আইপ্যাড থেকে খাবার মেনু দেখে নিতে পারেন। এই আইপ্যাডটি কোন কাস্টমারের পছন্দ হলে ৮ লক্ষ টাকা দিয়ে তা কিনতেও পারেন।
এই হোটেলে অতিথিরা রাজকীয় সব সুযোগ সুবিধা ভোগ করে থাকে। হোটেলের রুমের ভিতর সবকিছু রিমোর্ট কনট্রোল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এত বিশাল আকৃতির হওয়া সত্তে¡ও এটিতে মাত্র ২৮টি ফ্লোর আছে। পুরো ভাগের ৪৯ শতাংশ জায়গা অব্যবহৃত থেকে যায়। হোটেলটিতে ২০২টি কক্ষ রয়েছে। প্রতি ফ্লোরে চোখে পড়বে বিশাল একুইরিয়াম এবং অভ্যর্থনা কেন্দ্র। এখানকার ৮৭০০ বর্গমিটার এরিয়া ২২ ক্যারট সোনায় মোড়ানো এবং লবিত আছে একটি ত্রিমাত্রিক ডেকোরেশন।
এই হোটেলে ২টি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এখানে গেলে মনে হবে আপনি সাগরের পানির নিচে বসে আছেন। দুবাই বেড়াতে গেলে বুর্জ আল খলিফা একবার দেখতে ভুলবেন না।