ফ্রান্সের সাবেক উপনিবেশ মরক্কোতে প্রাচীন আরবীয় ও বার্বার সংস্কৃতির মেলবন্ধন পরিলক্ষিত হয়। মরক্কোতে রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান। আজ আপনাদের জানাবো মরক্কোর সেরা ৬ দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে-
১. সিদি ইফনি
মরক্কোর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত সিদি ইফনি শহরে রয়েছে শোভাময় সমুদ্রসৈকত ও সার্ফ খেলার জায়গা। শহরটি কয়েক দশক ধরে স্পেনিশদের দ্বারা শাসিত হয়েছে। সিদি ইফনি শহরে দৃষ্টিনন্দন ক্যাফে ও রেস্তোরাঁ রয়েছে।
২. রাবাট
রাবাট মরক্কোর রাজধানী। শহরটি মরক্কোর সবচেয়ে বড় শহর হিসেবে পরিচিত। দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে রাবাট শহর অবস্থিত। শহরটির আকর্ষণীয় জায়গা রয়্যাল প্যালেস ও আর্ট ডেকো ক্যাথেড্রাল।
৩. মেকনেস
মেকনেস শহরে রয়েছে মনুমেন্ট, মসজিদ, প্যালেস, প্যাভিলিয়নসহ আরও অনেক দর্শনীয় স্থান। নবম শতকে বার্বার জাতি এই শহরে প্রথম বসতি গড়ে তোলে। একাদশ শতকের মধ্যে শহরটি সমৃদ্ধ শহরে পরিণত হয়। ১৭০০ সালে মরক্কোর সুলতান মৌলে ইসমাইল এই শহরকে রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন।
৪. শেফচৌয়েন
মরক্কোর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত শেফচৌয়েন শহর। রিফ পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত শহরটি প্রাকৃতিক শোভায় অলংকৃত। শহরটিতে রয়েছে টালাসেমটানে ন্যাশনাল পার্ক। এটি দৃষ্টিনন্দন একটি জায়গা।
৫. আসিলাহ
সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টের শহর আসিলাহ। ১৫০০ সালে ফিনিশীয়রা শহরটিতে প্রথম বাণিজ্য করতে আসে। শহরটি মরক্কোর উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত। শহরটিতে ইতিহাসসচেতন মানুষকে ভ্রমণ করতে বেশি দেখা যায়।
৬. ফেস
৭৮৯ সালে ফেস শহর মরক্কোর রাজধানী ছিলো। শহরটি মরক্কোর তৃতীয় বড় শহর হিসেবে বিবেচিত হয়। ফেস শহরে রয়েছে নানা ঐতিহাসিক স্থাপনা। ফেস শহরে অষ্টাদশ শতকে নির্মিত মুরিশ প্যালেস ছাড়াও রয়েছে দার বাথা মিউজিয়াম। যে মিউজিয়াম দেখার জন্য বহু দূর থেকে দর্শনার্থীরা ছুটে আসেন।