বাংলাদেশি পর্যটক কাজী আসমা আজমেরির শতাধিক দেশে ভ্রমণ বেশ কৌতূহল জাগায়। কী ভাবে তার বিশ্ব ভ্রমণ শুরু হলো? মিজ আজমেরি এসবিএস বাংলাকে জানান, ভ্রমণ তার শখ। তবে এর পেছনে কিছু গল্প আছে।
“আমার বিশ্ব ভ্রমণের শুরুটা খুব একটা সুখকর ছিল না। ব্যাপারটা হলো, (আমাদের দেশে এমন একটা ধারণা প্রচলিত) বাংলাদেশের মেয়েরা ভ্রমণ করতে পারে না, কিন্তু ছেলেরা পারলে মেয়েরা কেন পারবে না!”
Kazi Azmery is also a motivational speaker. Credit: Kazi Azmery
“২০০৯ সালে নেপাল ভ্রমণ দিয়েই আমার বিশ্ব ভ্রমণের যাত্রা শুরু,” বলেন তিনি।
তবে শুরুতে তার ইচ্ছা ছিলো ৫০ টি দেশ ঘোরার, কিন্তু গত জানুয়ারিতে তার ছয় মহাদেশে ভ্রমণ করা দেশের সংখ্যা ১৪০টি ছাড়িয়েছে বলে জানান মিজ আজমেরি।
Kazi Azmery’s idea of traveling around the world by herself was received negatively by her family. Credit: Kazi Azmery
বাংলাদেশের মত দেশে যেখানে ট্র্যাডিশনাল ভাবাদর্শ বেশ শক্তিশালী, সেখানে তার এই বিপুল ভ্রমণ তার পরিবার ও সমাজে কিভাবে দেখা হয়?
এ প্রসঙ্গে মিজ আজমেরি বলেন, প্রথমে আমার পরিবার বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি, আমার আব্বু ভ্রমণ খরচ দিতে না চাইলেও আমার মা তার গহনা বিক্রির টাকায় আমাকে খরচ জোগাতে সাহায্য করেন।
তবে এটাই শুধু বাধা ছিল না, আমার পরিবারের ঘনিষ্ঠ লোকেরা আমার একা ঘোরার বিষয়টি নেতিবাচক হিসেবে নেয়, এবং আমার বাবাকে তারা অভিযোগ করে যার উত্তরে বাবা আমাকে আমার একা ঘোরার বিষয়টি কাউকে না জানাতে বলেছিলেন।
Kazi Azmery believes that traveling with a Bangladeshi passport has caused her some trouble at times, but she never undermines the identity of her own country. Credit: Kazi Azmery
“তবে যখন আমি ২০১৮ সালে ১০০টি দেশ ভ্রমণ সম্পন্ন করি তখন আমার পরিবারের লোকেরা বিষয়টি ইতিবাচক ভাবে নেয়, বিশেষ করে যারা প্রগতিশীল মনোভাবাপন্ন।”
তবে তার ভ্রমণ সবসময়েই যে সমস্যাবিহীন ছিল তা নয়। বাংলাদেশী পাসপোর্টে ভ্রমণের দুঃখজনক অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে মিজ আজমেরি বলেন, শুরুর দিকে ভিয়েতনাম বেড়াতে গেলে হোটেল বুকিং না থাকায় আমাকে ডিপোর্ট করে দেয়া হয়, এবং সাইপ্রাসে আমার সব কিছু থাকার পরও ডিপোর্ট করে দেয়া হয়।
Kazi Azmery has traveled to Australia several times. Credit: Kazi Azmery
“তখন আমি প্রতিজ্ঞা করি যে আমি বাংলাদেশী পাসপোর্টে বিশ্বটাকে ভ্রমণ করব,” বলেন মিজ আজমেরি
এসবিএস বাংলা