করোনা মহামারী, লকডাউন আর নানা বিধিনিষেধের কারণে বিশ্বব্যাপী অনেক শহরের বাসযোগ্যতা পরিবর্তন হয়েছে। কারণ পর্যটন সাইটগুলো বন্ধ করে দেয়ায় দেশগুলোর রেস্তোঁরা-হোটেলের ব্যবসা সীমিত হয়ে গিয়েছিল। ফলে স্থানীয় অর্থনীতিতে ভয়াবহ নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
তবে করোনা পরবর্তী সময়ে বিশ্বব্যাপী শহরগুলো আগের অবস্থায় ফিরে আসায় এই শহরগুলো ফের বসবাসের জন্য কাঙ্ক্ষিত স্থানে ফিরে আসছে।
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)-এর বার্ষিক প্রতিবেদন ব্যবহার করে বিশ্ব বাসযোগ্য ও অবাসযোগ্য দেশের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বাসযোগ্য শহরগুলোর তালিকা তৈরির জন্য বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করা হয়েছে। যেমন: স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি এবং পরিবেশ, শিক্ষা এবং অবকাঠামো ইত্যাদি।
ইআইইউ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, ১৭২টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ১৬৬তম। ১০০ স্কোরের মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর ৩৯ দশমিক ২।
ঢাকার নিচে রয়েছে পাপুয়া নিউগিনির পোর্ট মোর্সবি, পাকিস্তানের করাচি, আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স, লিবিয়ার রাজধানী শহর ত্রিপোলি, নাইজেরিয়ার লাগোস এবং সবশেষে সিরিয়ার দামেস্ক, যার স্কোর ৩০ দশমিক ৭।
সূচকে ১৬৬ নম্বরে থাকা ঢাকার মোট পয়েন্ট ৩৯.১। মানদণ্ডগুলোর মধ্যে স্থিতিশীলতায় ঢাকা পেয়েছে ৫৫ পয়েন্ট। অন্যদিকে স্বাস্থ্যে ২৯.২, সংস্কৃতি ও পরিবেশে ৪০.৫, শিক্ষায় ৪১.৭ ও অবকাঠামোতে ২৬.৮ পয়েন্ট পেয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী। ২০২১ সালে এ তালিকার ১৪০টি শহরের মধ্যে ১৩৭ নম্বরে ছিল ঢাকা।
শেয়ার নিউজ