শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন

বিশ্বের ১০ বিপজ্জনক বিমানবন্দর

  • আপডেট সময় বুধবার, ১৪ জুন, ২০২৩

মান আবিষ্কারের ফলে আজকে আমরা আকাশে উড়তে পারছি। এটি খুবই আরামদায়ক ভ্রমণ। এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাওয়া এখন আর কষ্টসাধ্য ব্যাপার নয়। এ সময় আমরা মেঘের খেলা দেখতে পাই। তবে অবতরণ করার সময় আপনি যদি সবচেয়ে বিপজ্জনক বিমানবন্দরের সম্মুখীন হন, তা হবে এক ধরণের অ্যাডভেঞ্চার আপনার জন্য। বিশ্বের অনেক বিমানবন্দর আছে যা কিনা রোলার কোস্টারের চেয়েও বেশি ভয়ানক।

লুকলা বিমানবন্দর , নেপাল

লুকলা বিমানবন্দর সোলুখুম্বু জেলার খুম্বুতে অবস্থিত। এই বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করে তেনজিং-হিলারি বিমানবন্দর রাখা হয়েছিল।  ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে, মাউন্ট এভারেস্ট জয় করা প্রথম দুই ব্যক্তির সম্মানে এটি করা হয়েছিল। এই বিমানবন্দরটি টানা ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক বিমানবন্দর হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। বিমানবন্দরটি প্রায় ৮০০০ ফুট (২৪৩৮ মিটার) উচ্চতায় অবস্থিত। এই বিমানবন্দরে আধুনিক এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল নেই৷ অনেক বেশি শীতল বাতাস থাকায় পাইলটের নেভিগেট করা কষ্ট হয়ে পড়ে। তাই এই বিমানবন্দরে অবতরণ করা কঠিন কাজ।

কাওরছেবেল বিমানবন্দর,  ফ্রান্স

ফ্রান্সের এই বিমানবন্দরটি মাত্র ৫৩৭ মিটারের। এটি বিশ্বের সবচেয়ে ছোট রানওয়ের জন্য পরিচিত। বিমানবন্দরটি এমন মানুষদের জন্য যারা আল্পসে স্কি করতে যান। এটি পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত। কাওরছেবেল বিমানবন্দরে বিমান অবতরণের সময় পাইলটকে বিমানের গতি কমিয়ে দিতে হয়।

টনকন্টিন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট, হন্ডুরাস

টনকন্টিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হন্ডুরাসের তেগুসিগাল্পার কেন্দ্র থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই বিপজ্জনক বিমানবন্দরটি হিস্ট্রি চ্যানেলের “মোস্ট এক্সট্রিম এয়ারপোর্ট” শোতে সবচেয়ে বিপজ্জনক বিমানবন্দরের তালিকায় যুক্ত হয়েছিল। বিমানবন্দরটি একটি পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থিত।  তাই পাইলটকে পাহাড়ের আঘাত এড়াতে কিছু ব্যবস্থা নিতে হয়। রানওয়েটিও অত্যন্ত ছোট।

বাররা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, স্কটল্যান্ড

বাররা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি স্কটল্যান্ডের বাররা দ্বীপের উত্তরতম প্রান্তের উপসাগরে অবস্থিত। একটি ছোট রানওয়ে রয়েছে এই বিমানবন্দরটির।  সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল, এই বিমানবন্দরটি সৈকতকেই তার রানওয়ে হিসেবে ব্যবহার করে। যা কিনা সারা বিশ্বে একটি বিমানবন্দরেই রয়েছে।

আগট্টি অ্যারোড্রোম, লাক্ষাদ্বীপ, ভারত

লাক্ষাদ্বীপের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আগাট্টি দ্বীপের দক্ষিণ প্রান্তে এই বিমানবন্দরটি অবস্থিত। এই বিমানবন্দরটির চারপাশে নীল জলরাশি। এটি ভারতের সবচেয়ে বিপদজনক বিমানবন্দর। এই রানওয়েটি মাত্র ৪০০০ ফুট লম্বা। এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসাবে পরিণত হয়েছে।

কাই টাক বিমানবন্দর, হংকং

১৯৯৮ সাল পর্যন্ত কাই টাক হংকং-এর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছিল। পরে এটি বন্ধ হয়ে যায়। এক সময় এটি হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। দুইপাশ থেকে ক্রমাগত বাতাস প্রবাহিত হওয়ায়, এটি একটি বিপদজনক বিমানবন্দর হিসেবে পরিচিত ছিল। বিশেষ করে অবতরণ এবং টেক-অফের সময় বেশ সতর্ক থাকতে হত। বিমানবন্দরটি একটি পাহাড়ি অঞ্চল দ্বারা বেষ্টিত ছিল।

প্রিন্সেস জুলিয়ানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সেন্ট মার্টিন

প্রিন্সেস জুলিয়ানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হল সেন্ট মার্টিনের ক্যারিবিয়ান দ্বীপের প্রধান বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দরটি ব্যস্ততম বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে একটি। অবতরণের আগে, বিমানগুলো একটি সমুদ্র সৈকত এবং রাস্তার উপর দিয়ে উড়ে যায়। যা মাটির নাগালের বাইরে। একটি বড় আকারের বিমান যাতায়াতের জন্য ন্যূনতম ৮০০০ ফুট রানওয়ের প্রয়োজন। কিন্তু এই বিমানবন্দরে মাত্র ৭০০০ ফুট রয়েছে। যার ফলে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে একটি হয়ে ওঠেছে।

ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, থাইল্যান্ড

ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি ব্যাংককে অবস্থিত। এক সময় ব্যাংকক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামে পরিচিত ছিল। এই বিমানবন্দরটি দুটি গলফ কোর্সের মধ্যে অবস্থিত। যা এটিকে আরেকটি বিপজ্জনক বিমানবন্দর করে তুলেছে।

কঙ্গোনহাস বিমানবন্দর, ব্রাজিল

সাও পাওলো শহরে অবস্থিত ব্রাজিলের কঙ্গোনহাস বিমানবন্দর। কখনও কখনও সাও পাওলো বিমানবন্দর হিসাবেও উল্লেখ করা হয়। এই বিমানবন্দরটি ব্রাজিলের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর। এর রানওয়ে বেশ পিচ্ছিল। এর ফলে এটি একটি বিপজ্জনক বিমানবন্দর। এখানে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে অতিরিক্ত বৃষ্টির পানি থেকে রক্ষা পেতে খাঁজসহ নতুন রানওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে।

ওয়েলিংটন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, নিউজিল্যান্ড

ওয়েলিংটন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, নিউজিল্যান্ডের রাজধানী শহর ওয়েলিংটনের রোঙ্গোতাই শহরতলিতে অবস্থিত। এটি পূর্বে রোঙ্গোতাই বিমানবন্দর নামে পরিচিত ছিল। শহরের কেন্দ্র থেকে ৫.৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত। ওয়েলিংটন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে মাত্র ৬৩৫১ফুট। এই বিমানবন্দরের চারপাশে জলাশয়। তাই পাইলটকে ল্যান্ডিং এবং টেক-অফ পয়েন্ট সঠিকভাবে জানতে হয়।

সূত্র- হলিডিফাই

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com