বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ কোনটি – এককথায় এ প্রশ্নটির উত্তর দেওয়া কঠিন। তবে অর্থনীতিবিদদের একটি বড় অংশ মনে করে, ক্রয়ক্ষমতার সমতার ভিত্তিতে বা পিপিপি ডলারে যে দেশের মাথাপিছু জাতীয় আয় যত বেশি সে দেশ তত বেশি ধনী। আর এই মাথাপিছু আয়ের সাথে মোট জনসংখ্যার সম্পর্ক থাকার কারনে ছোট জনসংখ্যার দেশগুলোতে উচ্চ মাথাপিছু আয় দেখা যায়।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশের তালিকায় ৫ম স্থানে আছে ইউরোপের দেশ আয়ারল্যান্ড। প্রায় ৬৫ লাখ জনসংখ্যার এই দেশটিতে ক্রয়ক্ষমতার সমতা অনুসারে মাথাপিছু আয় ৮২,৪৩৯ মার্কিন ডলার। আয়ারল্যান্ডের আয়ের অন্যতম ক্ষেত্রগুলো হল টেক্সটাইল, খনন (মাইনিং) এবং খাদ্য উৎপাদন।
পরবর্তী স্থানে আছে লুক্সেমবুর্গ, যাকে বলা হয় ‘ট্যাক্স হ্যাভেন’ বা করের স্বর্গ। দেশটি ইউরোপের সবচেয়ে উন্নত দেশগুলোর একটি। দেশটির বর্তমান মাথাপিছু আয় ১০৮,৮১৩ মার্কিন ডলার। দেশটির আয়ের অন্যতম কারণগুলো হল দূরদর্শী রাজস্ব নীতি, প্রগতিশীল শিল্প ও ইস্পাত খাত এবং প্রতিযোগিতামূলক ব্যাংকিং খাত।
মাত্র ২৬ লাখের বেশি নাগরিক নিয়ে এ মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ হল কাতার। ক্রয়ক্ষমতার সমতা অনুসারে কাতারের মাথাপিছু আয় ১৩৪,৬২৩ মার্কিন ডলার। যদিও জিডিপির ভিত্তিতে দেশটি ৫০ এর ঘরে, তবে কম জনসংখ্যার কারনে উচ্চ মাথাপিছু আয় রয়েছে। কাতারের সরকারি আয়ের ৭০ ভাগ, রপ্তানি আয়ের ৮৫ ভাগ এবং মোট জিডিপির ৬০ ভাগই আসে পেট্রোলিয়াম ইন্ডাস্ট্রি থেকে। কেননা বিশ্বের সবচেয়ে বড় পেট্রোলিয়াম শিল্প এই কাতারেই।