বিয়ে করেছেন কোক স্টুডিও বাংলায় প্রকাশিত গান ‘মালো মা’-এর গায়ক সাগর দেওয়ান। কনের নাম ফারিয়া মাহিন। পড়াশোনা করছেন নিউইয়র্কের একিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাদের পরিবার আমেরিকাতেই স্থায়ী।
সাগর জানান, চার মাসে আগে একপ্রকার বাসা পালিয়েই বিয়েটি সেরেছেন তাঁরা। সাগর ইনডিপেনডেন্ট ডিজিটালকে বলেন, ‘আমরা দুজনই প্রাপ্তবয়স্ক। একে অপরকে ভালোবাসি। তাই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই। ইচ্ছে আছে, শিগগিরই বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করার।’
এদিকে তাদের বিয়ে এতটা সহজ ছিল না। কারণ দুই পরিবারের কেউই এটা মানতে চাইছিলেন না। তাই পালিয়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।
সাগর বললেন, ‘আমাদের সম্পর্ক গড়ার আগেই দুজন দুই পরিবারের মত নিয়েছিলাম। মানে, জানিয়েছিলাম। এরপর পরিবার থেকে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পাই। বিয়ে নিয়ে বেশ হয়রানির শিকারও হতে হয়েছে। থানা-পুলিশ থেকে শুরু করে অনেক কিছুই করেছে ফারিয়ার পরিবার। কিন্তু আমরা তো বিয়ে করেছি; অন্য কিছু নয়। আমার পরিবার মেনে নিয়েছে। কিন্তু তাদের পরিবারের লোকজনের মাথা ব্যথার শেষ হয়নি। ডিবি কার্যালয়েও যেতে হয়েছে। সেখানে গিয়ে আমরা বিয়ের সব প্রমাণ দিয়েছি। এটা ঢাকার ডিবি কার্যালয় নয়। অন্য একটি।’
এখন কি স্ত্রীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হয় জানতে চাইলে সাগর বলেন, ‘তাদের মেয়ের সঙ্গে তাদের নিয়মিত যোগাযোগ হয়। কিন্তু আমার শুধু তাঁর (ফারিয়া) বাবার সঙ্গে যোগাযোগ হয়।’
যোগাযোগ না থাকা ও পড়াশোনা করতে দেওয়া হচ্ছে না—স্ত্রীর পরিবারের এমন সব অভিযোগ নিয়েও কথা বলেন সাগর। বললেন, ‘ফারিয়ার মা তাঁর ল্যাপটপ ও গ্রিন কার্ডটা নিয়ে গেছে। তাই তার পড়াশোনাটাও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। মূলত ল্যাপটপেই ভার্সিটির পাসওয়ার্ডসহ অন্যান্য সব কিছু আছে। কিন্তু আমি তাদের মেয়েকে পড়াশোনা করতে দিচ্ছি না, এমন অভিযোগ ফেসবুকে করেছেন তার বড় ভাই, যা সত্যি না। আমি ফারিয়াকে বলেছি, তোমার যখন ইচ্ছে যেতে পার, পড়াশোনা করতে পার।’
সাগর দোয়া চেয়ে বলেন, ‘মূল কথা হলো, আমরা ভালো আছি। সবার দোয়া চাই। পারিবারিক দূরত্ব হয়তো আস্তে আস্তে দূর হয়ে যাবে।’
প্রসঙ্গত, সুরকার ও সংগীতশিল্পী প্রীতম হাসানের সংগীত পরিচালনায় চলতি বছর ‘মালো মা’ প্রকাশ করে কোক স্টুডিও বাংলা। এ গানের গীতিকার খালেক দেওয়ান। মালো মা গেয়েছিলেন খালেক দেওয়ানের নাতি সাগর দেওয়ান। এ গান দিয়েই তুমুল জনপ্রিয়তা পান এ সংগীতশিল্প।