বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩২ অপরাহ্ন

বিয়ের পর মধুচন্দ্রিমায়

  • আপডেট সময় বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

বিয়ে যেন মহাযজ্ঞ। কাজের কোনো শেষ নেই। বিয়ের দিন ধার্য হওয়ার পর থেকে শুরু হয় ধকল। তা যেন গিয়ে শেষ হয় বিয়ের দিনে। বিয়ের পর সবার নিস্তার মিললেও নবদম্পতির নিস্তার নেই। প্রেমের বিয়েই হোক কিংবা সম্বন্ধের বিয়েই হোক, বিয়ে নিয়ে বাড়তি একটা মানসিক চাপ থাকে বর-কনে দুজনেরই। আর কনেকে যেহেতু নতুন একটি পরিবারে যেতে হয়, ফলে তাঁর চাপের পরিমাণ বরের থেকে বেশি থাকে। এই চাপমুক্ত হতে আর দুজনের একান্তে কিছু সময় কাটানোর জন্য মধুচন্দ্রিমায় যাওয়া যেতে পারে।

তিন বছর চুটিয়ে প্রেম করেছেন অভি-সাবরিনা। এরপর বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। এই দম্পতি বিয়ের পরই ছুটে গেছেন কক্সবাজারে। তাঁরা বলেন, বিয়ের আগের কয়েকটি দিন ছিল অন্য রকম। একদিকে বিয়ের আনন্দ, অন্যদিকে এত বড় আয়োজনের বিশাল চাপ। সব মিলিয়ে অস্থিরতার মধ্যেই ছিলাম। সংসার-জীবনে প্রবেশ করার আগে সব অস্থিরতা ও চাপ দূর করতেই কক্সবাজারে যাওয়া। এখন মনে হয়, ভালো একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।

বিয়ের পর নতুন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আগে স্বামী-স্ত্রীর বোঝাপড়া হওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আর এই বোঝাপড়ার প্রাথমিক দিকটি উন্মোচন করে মধুচন্দ্রিমা। প্রেমের বিয়েতে আগে থেকেই চেনাজানার সুযোগ থাকে। কিন্তু পারিবারিকভাবে সম্মত বিয়ের ক্ষেত্রে এই সুযোগ মেলে না। মিললেও সেটি যথেষ্ট নয়। আর আমাদের দেশে নতুন পরিবেশে নবদম্পতি নিজেদের মতো করে সময় কাটানোর সুযোগ কম পান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক দিলরুবা আফরোজ এ বিষয়ে বলেন, ‘আমাদের দেশের পারিবারিক কাঠামোতে বিয়ের পর একজন নারীকে নতুন পরিবারের সঙ্গে যুক্ত হতে হয়। ফলে নতুন পরিবেশে খাপ খাওয়ানোর আগে মেয়েটি একান্তে কয়েকটা দিন স্বামীর সঙ্গে কাটালে তাঁর মানসিক প্রশান্তি আসবে। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক বোঝাপড়া, নিজেদের পছন্দ-অপছন্দ জানার জন্য মধুচন্দ্রিমা বেশ কাজের।’

প্রায় ১০ বছর হতে চলল রুবিনা খান-গাজী বিজয় আহমেদের দাম্পত্যজীবন। প্রেমের বিয়ে হলেও দুজনেই পারস্পরিক বোঝাপড়ার জন্য বিয়ের পরপরই ঘুরতে যাওয়াকে গুরুত্ব দেন। বিয়ের পর নিজেকে প্রকাশ করার জন্য মধুচন্দ্রিমার বিকল্প নেই বলে মনে করেন তাঁরা। তাই তো এখন সময় পেলেই এই দম্পতি নিজেদের আরও বুঝতে ঘুরতে যান।ভাবনাচিন্তা বাদ দিয়ে সামর্থ্য থাকলে বিয়ের পর চলে যান মধুচন্দ্রিমায়।

পরস্পরের পছন্দ, ভালো লাগা, কে কতটা ঘুমকাতুরে, কার কী ধরনের খাবার পছন্দ—সব মিলিয়ে পারস্পরিক মনের ভাব আদান-প্রদানের জন্য মধুচন্দ্রিমার বিকল্প নেই। তবে বেরিয়ে পড়ার আগে আবহাওয়া আর বাজেট বিবেচনা করে কোন জায়গায় যাবেন, তা আলোচনা করে নিন। আর যাঁরা মধুচন্দ্রিমায় যেতে পারেননি, তাঁদেরও মন খারাপের কিছু নেই। ইচ্ছা থাকলে এখনই সঙ্গীকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com