কাবুল বিমানবন্দরে ভয়াবহ হামলার পরও ভয়ভীতি উপেক্ষা করে সেখানে অবস্থান করছেন হাজার হাজার মানুষ। ভিড় বাড়ছে প্রতিনিয়ত। যদিও উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছে বেশিরভাগ দেশ। আফগানিস্তান ছাড়তে ইচ্ছুক বাসিন্দারা বলছেন, দেশে থাকলে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দিন পার করতে হবে তাদের। তাই হামলার শঙ্কা নিয়েই দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছেন এখনও।
শোক যেন কাটছেই না-কাবুল বিমানবন্দরে আইএসের হামলায় স্বজনহারা মানুষের। মরদেহ নিতে এসে একটি হাসপাতালের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন এক নারী। একটু ভালো ভাবে বেঁচে থাকার আশায় দেশ ছাড়তে চেয়েছিলেন তারা, কিন্তু লাশ হয়ে ফিরতে হলো তাদের অনেককেই। কাবুল বিমানবন্দরের বোমা হামলায় এখনও যারা জীবিত, তারা কাতরাচ্ছেন হাসপাতালের বেডে। শঙ্কা সুস্থ ভাবে বেঁচে ফেরা নিয়ে।
এদিকে উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে দিয়েছে অনেক দেশ; আছে আবারও হামলার হুমকি। তারপরও কাবুল বিমানবন্দর এলাকা ছাড়তে নারাজ হাজারো আফগান। যেকোন মুল্যে ছাড়তে চান দেশ।
বিমানবন্দরে অবস্থানরত অনেকেই বলছেন যে, যে কোন মুহূর্তে আবারও হামলা চালানো হতে পারে এটা মাথায় রেখেই এখানে আছি। কারণ দেশে থাকলে খুব কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিন পার করতে হবে। তাই ঝুঁকি নিয়েই এখানে রয়েছি। আল্লাহ ভালো জানেন কি আছে কপালে।
বিমানবন্দরে আসার প্রতিটি রাস্তায় আটকে দেয়া হচ্ছে যেন কেউ বিমানবন্দর এলাকায় আসতে না পারে। এমনকি বিদেশি কর্মী এবং সাংবাদিকদেরও বাধা দিচ্ছে তালেবান। তালেবান দেশটিতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর, প্রথমবার বোমা হামলা হলো আফগানিস্তানে। যাকে তালেবানের ব্যর্থতা হিসেবে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র। অপরদিকে, মার্কিনিদের অভেলায় এ হামলা হয়েছে বলে দাবি তালেবানের।