শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫০ অপরাহ্ন
Uncategorized

বিমানে যে কাজগুলো না করাই ভালো

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর, ২০২১

বিমান ভ্রমণে কতগুলো নিয়ম মেনে চলা ভালো। কারণ একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের দৃষ্টিতে আপনি কেন খারাপ যাত্রীতে রূপান্তরিত হবেন। বিমানযাত্রীদের মধ্যে কারা ভালো যাত্রী তা একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট বলে দিতে পারেন। একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের দৃষ্টিতে ভালো যাত্রীর বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ-

ব্যাগ নিজ দায়িত্বে রাখুন

সব যাত্রীই যদি আশা করে যে, তাদের ব্যাগ একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট উঠিয়ে দেবে, তাহলে তা সত্যিই কঠিন। কারণ শত শত যাত্রীর ভারি ব্যাগ ওপরে তোলা যেমন কঠিন; তেমন এতে সময়ও নষ্ট হয়। আপনি যদি সুস্থ-সবল ব্যক্তি হন তাহলে নিজের কাজটি নিজেই করে নিন।

কম্পার্টমেন্ট বোঝাই ও সিট খোঁজা

ওভারহেড কম্পার্টমেন্ট নিজেই বোঝাই করুন, নিজের সিট নিজেই খুঁজে নিন। অনেক সময়েই যাত্রীরা তাদের ব্যাগ ঠিকঠাক ওভারহেড কম্পার্টমেন্টে ঢোকান না। অনেকেই যাতায়াতের রাস্তাতে ব্যাগ ফেলে রাখেন। ফলে অনেক সময়েই বিমানযাত্রায় সময় নষ্ট হয়।

ভদ্র ব্যবহার করুন

বিমানে ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা আপনার জন্য কোনো কাজ করলে ভাববেন না যে, এটি তার দায়িত্বের অংশ হিসেবেই করেছেন। সুতরাং ‘প্লিজ’ বা ‘ধন্যবাদ’ শব্দটি তাদের বলতে পারেন। কিন্তু অনেকের মধ্যে সাধারণ ভদ্রতাটুকুও দেখা যায় না। এক্ষেত্রে সবার জানা উচিত, কর্মক্ষেত্রে ভদ্র আচরণ পাওয়া প্রত্যেক কর্মীরই অধিকার।

দৃষ্টি সংযত রাখুন

বিমানের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট নারী বা পুরুষ হেঁটে যাওয়ার সময় অনেকেই তাদের দিকে এমনভাবে তাকিয়ে থাকেন যে, তাদের স্বাভাবিক কাজের বিঘ্ন ঘটে। এছাড়াও অনেকেই বিমানের ভেতর তাদের কাজের স্থানে উঁকি মেরে কার্যক্রম লক্ষ্য করার চেষ্টা করেন। তাদের এমন আচরণে বিমানের কর্মীদের কাজে যে শুধু ব্যাঘাত ঘটে তাই নয়, এতে অস্বস্তিতেও পড়েন তারা।

স্টিকার ব্যবহার করুন

অধিকাংশ বড় ফ্লাইটেই সিটের সঙ্গে একটি স্টিকার দেওয়া থাকে। এতে লেখা থাকে, ‘খাবারের সময় আমাকে ডেকে দিও।’ এমন স্টিকার থাকলে খাবার দেওয়ার সময় ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট আপনাকে নিশ্চিন্তে ডেকে দেবেন।  এমন স্টিকার না থাকলে খাবারের সময় ডাকলে বা না ডাকলেও বিরক্ত হন। তাই আপনার প্রয়োজনে স্টিকারটি ব্যবহার করুন।

খাবারের জন্য ধন্যবাদ দিন

বিমানে প্রত্যেক যাত্রীর জন্যই পর্যাপ্ত খাবার মজুদ থাকে। ফলে খাবার গ্রহণে কোনো সমস্যা নেই, বরং তা প্রত্যাখ্যান করাই ঝামেলার। তাই খাবার গ্রহণ করার সময় সহায়তাকারীকে ধন্যবাদ দিন।

ট্রে অগোছালো নয়

খাবার খাওয়ার পর আপনার ট্রে অগোছালো থাকলে গোছাতে সময় লাগে। আর এভাবে ৬৪ জনের ট্রে গোছাতে দু’ মিনিট করে লাগলে তাতে অতিরিক্ত দু’ ঘণ্টা সময় ব্যয় হবে। তাই অন্য একজনের কথা চিন্তা করে হলেও এমনভাবে গুছিয়ে রাখুন, যেন তা সহজেই ফেরত দেওয়া যায়। যদি সময়মতো খাবার খাওয়া শেষ না করেন তাহলেও এটা খুবই ঝামেলাপূর্ণ হয়ে যায়।

গ্যালারিতে যান

অতিরিক্ত কোনো পানীয় কিংবা হালকা খাবার প্রয়োজন হলে বিমানের গ্যালারিতে যান। অধিকাংশ বিমানের পেছনের দিকেই এটি থাকে। যাতায়াতের সময় একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টকে ডেকে কোনোকিছু চাওয়ার চেয়ে এটি অনেক ভদ্র পদ্ধতি।

হেডসেট ও কম্বল ফেরত দিন

বিমানযাত্রার শেষ দিকে বিমানের যাত্রীদের কাছ থেকে হেডসেট নেওয়ার দায়িত্বে একজন নিয়োজিত থাকেন। কারণ তার কাজ বিমানটি সময়মতো পরিষ্কার করে নতুন করে সাজিয়ে যাত্রী ওঠানো। এখানে আপনার সিনেমা দেখার চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তার কাজ। তাই সেগুলো তাড়াতাড়ি গুছিয়ে নেওয়ার বাধ্যবাধকতাও থাকে। অনুরূপ নিয়ম কম্বলের জন্যও প্রযোজ্য।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

Like Us On Facebook

Facebook Pagelike Widget
© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com