সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
কাঞ্চনজঙ্ঘার কত রূপ ‘জামদানি ও কাঁথা পশ্চিমবঙ্গের’, এবার দাবি এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের ইউরোপের প্রথম এআই গায়ক বেন গায়া মালদ্বীপ: স্বপ্নময় এক স্বর্গ যেখানে প্রকৃতি ও বিলাসিতা হাত ধরাধরি করে হিট অফিসারের ‘সুপারহিট’ স্বামী, সিন্ডিকেট করেন ডিবি হারুনের সঙ্গে আশ্রয়ণ প্রকল্প: বাংলাদেশি গৃহহীনদের জন্য এক মিথ্যে প্রতিশ্রুতির নাম মহানবীর হাতে গড়া মসজিদে প্রায় ২ কোটি মুসল্লির নামাজ আদায় শেষ হয়ে আসছে স্মার্টফোনের দিন, কবে আর কেন জানালেন জাকারবার্গ গিলগিট বাল্টিস্তানের হুঞ্জা জাপানে অদ্ভুত এক রেস্টুরেন্ট, যেখানে আপনি যেকোনো খাবারের অর্ডার করুন না কেন পাতে আসবে সম্পূর্ণ অন্য এক খাবার

বিমানবন্দরে লাগেজ হারালে যাত্রীরা ক্ষতিপূরণ পাবেন ২ লাখ টাকা

  • আপডেট সময় সোমবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৩

সৌদি আরবের বিমানবন্দরে নতুন নির্বাহী প্রবিধান জারি করা হয়েছে। এই প্রবিধানের আওতায় কোনো যাত্রী যদি সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন বা কর্তৃপক্ষের দোষে লাগেজ হারালে বা ফ্লাইট মিস করলে টিকিট মূল্যের ১৫০ থেকে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পাবেন।

যাত্রী পরিষেবা উন্নত করতে ও যাত্রীদের অধিকার রক্ষায় সৌদি আরবের জেনারেল অথরিটি অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (জিএসিএ) ঘোষিত এই প্রবিধান আগামী ২০ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

জানা যায়, প্রবিধানটিতে ৩০টি ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এসব ধারায় যাত্রীদের যথাযথ সেবা, সহায়তা এবং ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে ফ্লাইট মিসে টিকিট মূল্যের ১৫০ থেকে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পাওয়ার বিষয়টিও রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের আগে ফ্লাইট ছাড়লে বা ফ্লাইট ছাড়তে বিলম্ব বা ফ্লাইট বাতিল করা হলে এই পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

পাশাপাশি অতিরিক্ত বুকিং এবং ডাউন গ্রেডিংয়ের কারণে ফ্লাইটে তুলতে অস্বীকার করা হলেও ক্ষতিপূরণ পাবেন যাত্রী। ক্ষতিপূরণের পরিমাণ হবে টিকিট মূল্যের ১৫০ শতাংশ থেকে ২০০ শতাংশ।

নতুন প্রবিধান অনুযায়ী, যাত্রীদের লাগেজ হারিয়ে গেলে ৬ হাজার ৫৬৮ সৌদি রিয়াল (১ লাখ ৯১ হাজার টাকার বেশি) সমতুল্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এছাড়া মালপত্রের ক্ষতি, ত্রুটি বা বিলম্বের ক্ষেত্রে যাত্রী অনূর্ধ্ব ৬ হাজার ৫৬৮ সৌদি রিয়াল আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী হবেন।

টিকিট রিজারভেশন নিশ্চিত করার সময় জানানো হয়নি এমন কোনো স্থানে বিরতি দিলেও নতুন প্রবিধানে যাত্রীদের ক্ষতিপূরণের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। প্রবিধানে যাত্রী এবং এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষ উভয়ের বাধ্যবাধকতা স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রবিধানগুলোতে প্রতিবন্ধী যাত্রীদের অধিকার এবং বিশেষ চাহিদার ব্যাপারেও বাধ্যবাধকতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রবিধানগুলো যারা চার্টার্ড ফ্লাইটে ভ্রমণকারী বিশেষ করে হজ এবং ওমরাহ করতে আসা যাত্রী ও সেবাগ্রহীতার অধিকারও নিশ্চিত করেছে।

উল্লেখ্য, সৌদি আরবের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ স্থানীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহণ শিল্পে স্থান করে নিতে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ এবং কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সৌদি আরবের লক্ষ্য বিমান পরিবহণ খাতকে মধ্যপ্রাচ্যে শীর্ষস্থানীয় হয়ে উঠতে সক্ষম করে তোলা। বাৎসরিক যাত্রী পরিবহণ সক্ষমতা ৩৩ কোটিতে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com