শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:১৪ অপরাহ্ন
Uncategorized

বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যেভাবে প্রস্তুতি নিবেন

  • আপডেট সময় সোমবার, ৫ এপ্রিল, ২০২১

বাংলাদেশের অনেক ছাত্রের ইচ্ছা থাকে বিদেশে গিয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জন করার। বিশেষ করে  বিদেশে ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স পরতে যাওয়া। সে অনুযায়ী চাই যথাযথ প্রস্তুতি। কিভাবে আমাদের প্রস্তুতি নেয়া উচিত এব্যাপারে অনেক লেখা পাবেন ইন্টারনেটে। তাছাড়া ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র যারা গিয়েছেন তাদের থেকেও অনেক পরামর্শ নিতে পারেন। আমরাও আজকে বাইরে পড়তে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলবো তবে আমরা চেষ্টা করবো নির্দিষ্ট এমনকিছু পয়েন্ট নিয়ে কথা বলতে যেগুলো গুরুত্বপুর্ন হলেও সাধারণত অব্যক্ত থেকে যায়।  অথচ জানলে আরো গুছিয়ে প্রস্তুতি নিতে পারতেন। ভূমিকা না বাড়িয়ে চলুন বরং মূল আলোচনায় যাই।

বাইরে মাস্টার্স পড়তে যেতে চাইলে আইইএলটিএস আপনার লাগবেই।  এর সাথে জিআরই সবক্ষেত্রে না লাগলেও এটা স্ট্রংলি রেকোমেন্ড করবো দিতে, কেননা ব্যাচেলর শেষে ভালো সিজিপিএ না থাকলে জিআরই বা জিম্যাটে ভাল স্কোর তুলে পুষিয়ে দিতে পারবেন। সহজ কথায় ফান্ডিং পেতে কাজে লাগবে। এই দুটি পরীক্ষা মানে আইইএলটিএস আর জিআরই দিতে প্রায় ৪০ হাজার টাকা লেগে যাবে। অর্থাৎ আপনি নিজে নিজে প্রস্তুতি নিলেও পরীক্ষা ফি বাবদ এই টাকাটা আপনার লাগছেই। অনেকেই শেষ মুহুর্তে জিআরই দেয়ার প্ল্যান বাদ দিয়ে দেন খরচের কথা ভেবে।

এর বাইরে অনেক পটেনশিয়াল ক্যান্ডিডেট হটাত এত টাকা দিয়ে আইইএলটিএস দিবেন কিনা দ্বিধা- দ্বন্দ্বে শেষ পর্যন্ত বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনা বাদ দিয়ে দেন। এটা কিন্তু খুব সহজেই সমাধান করতে পারেন। ১ম বর্ষে থাকাকালীন সময়েই বছরে ১০ হাজার টাকা করে জমানোর প্রতিজ্ঞা নিন। মানে মাসে ১ হাজারেরও কম। বা মাসে ১ হাজার করেই জমান। চার বছর পর আপনার হাতে ৪৮ হাজার টাকা থাকবে।

এই যে অল্প অল্প করে জমিয়ে ৪৮ হাজার টাকা করলেন এটা দিয়ে আইইএলটিএস+জিআরই+পাসপোর্ট এর খরচ খুব সহজেই হয়ে যাবে।  না জমিয়ে পরিবার থেকে একসাথে এতগুলো টাকা ম্যানেজ করা যেমন অনেকের ক্ষেত্রে কঠিন ঠিক তেমনি পরীক্ষাগুলো দেয়ার আগেই একটা বাড়তি চাপ অনুভব করবেন যে এতগুলো টাকা খরচ হয়ে গেলো, কোথাও চান্স না পেলে একেবারেই লস প্রজেক্ট। নিজের জমানো টাকায় যখন এই খরচগুলো করবেন তখন এরকম মানসিক চাপ থেকেও কিন্তু কিছুটা মুক্তি পাবেন।

ব্যাচেলরে গুরুত্বপুর্ন কোর্সে কোনো কারণে স্কোর ভালো না থাকলে Coursera এর মত সাইটগুলোতে অনলাইনে সংশ্লিষ্ট টপিকের কোর্স করতে পারেন। আরো একবার পড়া হয়ে গেলো সাথে করে আপনার কম স্কোরের ক্ষতিও কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারবেন। লক্ষণীয় যে এটা কখনোই ভালো স্কোরের বিকল্প নয়।

বিদেশে মাস্টার্স প্রোগ্রামে দেয়া স্কলারশিপগুলোতে চোখবন্ধ করে সিরিয়ালি একটার পর একটায় আবেদন করার প্রবণতা দেখা যায় আমাদের মধ্যে। এটা করার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা মূলত ভাবেন যে স্কলারশিপ পাওয়ার চান্স বেড়ে যাবে। আসলে ঘটে উল্টো।  মূলত এরকম করে সার্বিকভাবে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের মোট স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা কমে। বাস্তব উদাহরণ দিই, গোলাপীর ভালো সিজিপিএ এবং আইইএলটিএস আছে। তো সে একটি ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপে আবেদন করে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে স্কলারশিপের জন্য সিলেকটেড হলো।

এখন সে জানলো যে ভিসার জন্য তাকে ভারতে যেয়ে ইন্টারভিউ দিতে হবে এবং ঐ দেশে যাওয়ার বিমান খরচ তাকে দিতে হবে। গোলাপী না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল এবং এরমধ্যে ঐ সেশনের সময় শেষ তাই গোলাপী আবার পরের বছর এরথেকে ভালো স্কলারশিপে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিল। এতে করে গোলাপীর একটি বছর নষ্ট হয়ে গেলো।  আর ঐ স্কলারশিপে যেতে আগ্রহী এবং যোগ্য আরেকজন বাংলাদেশীর সুযোগটুকুও নষ্ট হল। এরকম পটেনশিয়াল গোলাপীর সংখ্যাই বেশি। যার কারণে দেশের জন্য কোটাভিত্তিক স্কলারশিপগুলোতে বাংলাদেশের কোটা সবসময় পুর্ন হয় না।

নিজের সম্ভাবনা বাড়াতে গিয়ে আমরা নিজেদের সম্ভাবনা কমিয়ে দিচ্ছি।  গোলাপী যদি প্রথমেই সঠিকভাবে পরিকল্পনা করে এগোত তাহলে কিন্তু তার এই সময়টুকু নষ্ট হত না। তাই আবেদনের আগেই নিজেকে প্রশ্ন করুন এই স্কলারশিপ পেলে আসলেই আপনি যাবেন কিনা। না গেলে আরেকজনের সুযোগটুকু কেড়ে নিবেন না। নিজের পছন্দমত স্কলারশিপ বাছাইসহ বিদেশে পড়ার ক্ষেত্রে আপনার নিজের প্রোফাইল অনুযায়ী সঠিক পরিকল্পনা তৈরি করতে আমাদের ভার্চুয়াল এসিস্টেন্স সেবা নিতে পারেন চাইলে। এজন্য আমরা ২০৪০ টাকা পারিশ্রমিক নিই।

এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষার পর, অনার্সে সেমিস্টার ফাইনালের পর একসাথে কিছুদিন সময় পাওয়া যায়।  আপনি যদি এইচএসসির পর বাইরে যেতে চান তাহলে এসএসসি পরীক্ষার পরের সময়টুকুতে আইইএলটিএস, স্যাট এর জন্য প্রস্তুতি নিতে পারেন। আইইএলটিএস, স্যাটের প্রস্তুতির জন্য এরথেকে ভালো সময় এরপর আর পাবেন না। একইকথা মাস্টার্সে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্যও। সেমিস্টার ব্রেকে ট্যুর, চিল করার সাথে আইইএলটিএস, জিআরই এর জন্য হালকা মেজাজে প্রস্তুতি নেয়া যেতেই পারে কি বলেন!

যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন করবেন সেগুলোর র‍্যঙ্কের সাথে আপনার একাডেমিক প্রোফাইলের সমন্বয় থাকা উচিত।  কেমন একাডেমিক প্রোফাইল থাকলে কেমন র‍্যাঙ্কের ইউএস বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করলে ভাল ফল পাওয়া যাবে এব্যাপারে আমাদের এই লেখাটি পড়তে পারেন। আর অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি শেয়ার করে আমাদেরকে উৎসাহিত করবেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com