আগে অস্ট্রেলিয়ায় একজন বিদেশি শিক্ষার্থী এক পাক্ষিকে (দুই সপ্তাহ) সর্বোচ্চ ৪০ ঘণ্টা কাজ করতে পারতেন। তবে করোনাভাইরাস সংকটের সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির কথা বিবেচনায় এনে এ সীমিত কর্মঘণ্টার শর্ত তুলে নেওয়া হচ্ছে। আগের তুলনায় অস্ট্রেলিয়ায় বিদেশি শিক্ষার্থীরা কাজ করতে পারবেন বেশি। এ জন্য তাঁদের বৈধ কর্মঘণ্টা বাড়ানোর নতুন আইন তৈরি হচ্ছে।
চলতি সপ্তাহের ফেডারেল বাজেট পরিকল্পনায় এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির অভিবাসনমন্ত্রী অ্যালেক্স হাক। এ ছাড়া অস্থায়ী ভিসাধারীরা বিশেষ সাব ক্লাস ৪০৮ কোভিড-১৯ প্যানডেমিক ইভেন্ট ভিসা গ্রহণ করে বাড়তি ১ বছর অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করতে পারবেন।
প্রায় ৩ লাখেরও বেশি বিদেশি শিক্ষার্থীর ওপর এ কর্মঘণ্টার সীমাবদ্ধতা আইন জারি রয়েছে। তবে কর্মঘণ্টার সীমাবদ্ধতা তুলে নেওয়া হবে শুধু পর্যটন খাতে যাঁরা চাকরি করছেন তাঁদের জন্য। যেমন রেস্তোরাঁ বা হোটেলের যেকোনো পদে চাকরি করলেই কেবল পাওয়া যাবে ৪০ ঘণ্টার চেয়ে বেশি সময় কাজের সুবিধা। তবে ৪০ ঘণ্টার বেশি কতক্ষণ কাজ করতে পারবেন একজন বিদেশি শিক্ষার্থী, তা এখনো নিশ্চিত করেনি অভিবাসন মন্ত্রণালয়।
অন্যদিকে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে প্রথম দিকেই বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হয় পর্যটন খাত। লকডাউনের কারণে সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায় রেস্তোরাঁ, হোটেলসহ পর্যটন খাতের প্রায় সব দিক। আর এতে খোদ অস্ট্রেলিয়ারই প্রায় ৫ লাখের বেশি নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আর দেশটির আয়ের একটি বড় উৎস এ পর্যটন খাতকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে ব্যবহার করার জন্যই বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাজের সময় বাড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার।
তাই এখন থেকে কৃষি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, স্বাস্থ্যসেবা, অক্ষম এবং শিশু পরিষেবার মতোই সমান ও অতি গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে গণ্য হবে পর্যটন খাত। ফলে পর্যটন খাতেও কর্মরত অথবা কর্ম করতে চায় এমন অস্থায়ী ভিসাধারীরা বিশেষ সাব ক্লাস ৪০৮ কোভিড-১৯ প্যানডেমিক ইভেন্ট ভিসায় আবেদন করতে পারবেন। তবে অস্থায়ী ভিসার মেয়াদ ৯০ দিন বা তার কম সময় রয়েছে এমন ভিসাধারীই সাব ক্লাস ৪০৮ ভিসায় আবেদন করতে পারবেন। ভিসাটি মঞ্জুর হলে ১ বছর বাড়তি মেয়াদ অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করতে পারবেন।