অভিবাসন ব্যবস্থা সংস্কার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিদেশি শিক্ষার্থী ও কম দক্ষ কর্মীদের জন্য ভিসা পাওয়া কঠিন করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। সরকারের নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিদেশি শিক্ষার্থীদের এখন ইংরেজি ভাষায় কেবল নূন্যতম দক্ষতা থাকলে চলবে না। যারা দ্বিতীয় দফায় ভিসার আবেদন করবেন তাদেরও পরীক্ষায় বসতে হবে।
শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রক্রিয়ার জন্য ইংরেজিতে দক্ষতা পরীক্ষার বিস্তারিত ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।
অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় সাড়ে ছয় লাখ বিদেশি শিক্ষার্থী আছেন। যাদের অনেকেই দ্বিতীয় দফায় ভিসা নিয়েছেন। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত রেকর্ড ৫ লাখ ১০ হাজার মানুষ অস্ট্রেলিয়ায় এসেছেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, দেশটিতে অভিবাসীর সংখ্যা রেকর্ডের পর্যায়ে পৌঁছেছে। এতে সরকারের ওপর আবাসন ও অবকাঠামোগত সংকটের চাপ তৈরি হয়েছে। আবার শ্রমিকদের দক্ষতার ঘাটতি আছে।
গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ১০ বছর মেয়াদি অভিবাসন কৌশল উন্মোচন করেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও’নিল।
সেখানে বলা হয়, অভিবাসন ব্যবস্থাকে আগের সরকার ‘বিপর্যস্ত’ করে রেখেছিল। এ ব্যবস্থা ঠিক করতে সরকার দুই বছরের মধ্যে অভিবাসনগ্রহণ অর্ধেকে নামিয়ে আনবে।
বিবিসির খবর অনুযায়ী, গত বছর নির্বাচনের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে। আবাসন সংকট কমাতে সাময়িকভাবে অভিবাসন হ্রাস করার জন্যও চাপের মুখে পড়েছে সরকার।