এমন কোনো শহরের কথা যদি শোনেন যেখানে বিড়ালের রাজত্ব চলে, অবাক হবেন বৈকি! তবে এটি কিন্তু সত্যি, কোনো রূপকথার গল্প বলছি না। পৃথিবীতে এমন একটি শহর রয়েছে যেখানে বিড়ালপ্রেমীরা গেলে তাদের আর ফিরে আসতে চাইবেন না।
সেখানকার প্রায় প্রতিটি রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে শুধু বিড়াল। এই কারণে এই শহরটি অনন্য এবং বিড়াল প্রেমীদের জন্য স্বর্গের চেয়ে কম নয়! এখানে কেউ বিড়ালদের তাড়া দেয় না। ২০১২ সালে, এখানে প্রথম বিড়াল-থিমযুক্ত স্যুভেনির দোকান খোলা হয়েছিল যার নাম ক্যাটস অব কোটর। এই দোকানের মালিক অক্সানা ট্রোশিনা বলেছেন যে এই বিড়ালগুলো শহর এবং এর বাসিন্দাদের জন্য সৌভাগ্য নিয়ে আসে।
জেনে অবাক হবেন যে এখানে বিড়ালর উপর তৈরি অনেক জাদুঘর খোলা হয়েছে। যারা তাদের লাভ দিয়ে বিড়ালদের খাওয়ায়। শীতের দিনে এই বিড়ালগুলিকে সাধারণ মানুষ তাদের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানায়।
এই বিড়ালের শহরটি হচ্ছে ইউরোপের মন্টিনিগ্রোর শহর কোটর। এখানে অতি প্রাচীন ভবন, ক্লক টাওয়ার, দুর্গ ইত্যাদি দেখতে পাবেন। পাহাড় এবং সমুদ্রের কাছাকাছি অবস্থিত দেশটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। তবে সবার আগে আপনার চোখ যাবে এই শহরের বিড়ালদের দিকে। যা আপনি সর্বত্র দেখতে পাবেন।
রিপোর্ট বলছে এই শহরে শত শত বিড়াল রয়েছে। শহরে রেস্তোরাঁ, বার, মুদি দোকান এবং ছোট ছোট খাবারের দোকানগুলো এই বিড়ালদের খাবার সরবরাহ করে।
বিশ্বাস করা হয় যে এই বিড়ালগুলো অতীতে নাবিকরা এই শহরে নিয়ে এসেছিলেন। ২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত তথ্য অনুযায়ী, এখানে ৮৮৬২টি বিড়াল হয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে, তাদের জনসংখ্যা কমানোর পদ্ধতি শুরু হয়েছে।
এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই বিড়ালগুলো শহরটিকে অনেক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করেছে। ৪৪ বছর আগে এখানে একটি ভূমিকম্প হয়েছিল, যাতে শহরের অনেক ক্ষতি হয়। এছাড়া যুদ্ধের কারণে শহরের অবস্থাও খারাপ ছিল।
সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট