বাংলাদেশে সব বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারের তরফে বলা হয়েছে- বিজ্ঞাপন প্রচার করে এমন বিদেশি টিভি নেটওয়ার্ক বাংলাদেশে সম্প্রচার করা যাবে না। শুক্রবার সকাল থেকে সরকারের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে বাংলাদেশ ক্যাবল অপারেটর এসোসিয়েশন। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার পর কোনো বিদেশি চ্যানেলই দেখা যাচ্ছে না। প্রায় ৮৫টি বিদেশি চ্যানেল চালু ছিল বাংলাদেশে। এরমধ্যে বেশির ভাগই ছিল ভারতীয়। ইন্টারটেইনমেন্ট টেলিভিশনের পাশাপাশি সব নিউজ চ্যানেলও বন্ধ হয়ে গেছে। বিবিসি, সিএনএন, আল-জাজিরা, ডয়চে ভেলে, এনডিটিভি, এবিসিসহ প্রায় ২০টি নিউজ চ্যানেল নিয়মিতভাবে সম্প্রচার করা হতো।
ক্যাবল অপারেটর এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আনোয়ার পারভেজ এই প্রতিনিধিকে বলেন, এটা সরকারি সিদ্ধান্ত। আমরা সরকারের সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছি মাত্র। তিনি অবশ্য এটাও বলেন, যারা আইপি টিভি চালাচ্ছে তারা কিন্তু বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিজ্ঞাপন প্রচারের সুযোগ রয়েছে। সিদ্ধান্তটি সবার বেলা প্রযোজ্য হলে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না।
গত ১৩ই সেপ্টেম্বর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়। এতে বলা হয়- ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ তারিখের পর ক্লিন ফিড ছাড়া কোনো বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার করা যাবে না। এই চিঠি পাবার পর ক্যাবল অপারেটর এসোসিয়েশন তাদের সদস্যদের কাছে সিদ্ধান্ত কার্যকরের জন্য বার্তা পাঠায়। প্রায় ৩ হাজার ২০০ বৈধ লাইসেন্সধারী অপারেটর রয়েছেন। এদের মাধ্যমে প্রায় দেড় কোটি মানুষ বিদেশি চ্যানেল দেখার সুযোগ পেতেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠির প্রেক্ষিতে ক্যাবল অপারেটর এসোসিয়েশন একটি সাধারণ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। প্রতিটি বিদেশি চ্যানেল ক্লিক করলেই বিজ্ঞপ্তিটি ভেসে ওঠে।
এতে বলা হয়েছে- সম্মানিত দর্শকবৃন্দ, তথ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ৩০শে সেপ্টেম্বরের পর ক্লিন ফিড ছাড়া কোনো বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার করা যাবে না। সরকারের এই সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাষ্ট্রের সুনাগরিক হিসেবে ক্যাবল নেটওয়ার্কে আমরা ক্লিন ফিড বিহীন বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার থেকে বিরত থাকবো। এর ফলে সৃষ্ট অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।