কাস্ত্রো বলেন, ‘অর্থনীতির উন্নয়ন করা যায় এমন সব সম্ভাবনা আমাদের আছে বলে আমি মনে করি।
কাস্ত্রো বলেন, ‘অর্থনীতির উন্নয়ন করা যায় এমন সব সম্ভাবনা আমাদের আছে বলে আমি মনে করি।
এরই মধ্যে এই ব্যাংকের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত, উরুগুয়ে এবং মিসর। এ ছাড়া আরো যেসব দেশ ব্রিকস জোটে যোগ দিতে আগ্রহ দেখিয়েছে সেগুলো হলো—আফগানিস্তান, আলজেরিয়া, আর্জেন্টিনা, বাহরাইন, বেলারুশ, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কাজাখস্তান, মেক্সিকো, নিকারাগুয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, সৌদি আরব, সেনেগাল, সুদান, সিরিয়া, থাইল্যান্ড, তিউনিশিয়া, তুরস্ক, ভেনিজুয়েলা এবং জিম্বাবুয়ে। এ পর্যন্ত পাঁচ প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দেশকে এনডিবি ৯৬টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য তিন হাজার ৩০০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে একটি নতুন অর্থনৈতিক স্থাপত্য তৈরি করছে এনডিবি।
ডলারবিহীন লেনদেন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ব্রিকস ব্যাংক এনডিবি
কার্যক্রম শুরু করার পর গত ৩০ ও ৩১ মে প্রতিষ্ঠানটির অষ্টম বার্ষিক সভা করেছে এনডিবি। সেখানে প্রেসিডেন্ট রউসেফ ডলারবিহীন লেনদেনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। গত এপ্রিলে রউসেফ এ বিষয়ে প্রথম ঘোষণার পর ২০২৬ সালের মধ্যে ঋণের তালিকাভুক্তদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে তাদের নিজস্ব মুদ্রায় অর্থায়ন করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রতিবেদন বলছে, যদি দেশগুলো ডলার ব্যবহার না করে এবং একটি নতুন মুদ্রা দিয়ে লেনদেন শুরু করে তাহলে একক আধিপত্য হারাতে পারে ডলার। ডলার বিশ্বব্যাপী দুর্বল মুদ্রায় পরিণত হতে পারে। এ ছাড়া যে দেশগুলো ব্রিকসে যোগ দিতে আগ্রহী তাদের অনেকে আবার তেলসমৃদ্ধ দেশ! তাই এই জোট ইউরোপীয় দেশগুলোকে তেলের বিনিময়ে নতুন মুদ্রা দিয়ে অর্থ প্রদান করতে বাধ্য করতে পারে। এতে ইউরো ও ডলারের বাজারে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা বিশ্ববাণিজ্য বিশ্লেষকদের। সূত্র : রয়টার্স, চীনা ডেইলি, এমআর অনলাইন