আরও পেশাদার হতে চান আপনি
পেশাদার জীবনে যোগাযোগের ক্ষেত্রে কিছুটা আনুষ্ঠানিকতা ধরে রাখতেই হয়। ক্ষেত্রবিশেষে পেশাদারিত্বের পরিচয় বহন করে যোগাযোগের ভাষা ও ধরন। তাই এমন যোগাযোগের জন্য ব্যক্তিগত ইমেইল ঠিকানা ছাড়াও বাড়তি আরেকটি বিশেষায়িত ইমেইল ঠিকানার ব্যবহার অনেকক্ষেত্রেই বিবেচিত হয় পেশাদারিত্বের লক্ষণ হিসেবে।
এক্ষেত্রে ছাত্র বা কিশোর জীবনের ‘ট্রেন্ডি’ ইমেইল ঠিকানা পাল্টে নিজের পুরো নাম ব্যবহার করে নতুন ইমেইল ঠিকানা বানানোর পরামর্শ দিয়েছে বাণিজ্যিক সফটওয়্যারবিষয়ক ওয়েবসাইট গেটঅ্যাপ। আর যদি নিজের মালিকানায় আলাদা কোনো ডোমেইন থাকে, তবে ইমেইল ঠিকানায় ব্যবহার করুন সেই নামটিও।
অযাচিত মেইলের বিড়ম্বনা এড়াতে
অনলাইন দুনিয়ার নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিলে একাধিক ইমেইল ঠিকানার রয়েছে একাধিক ইতিবাচক দিক। পেশাদার বা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের ইমেইল বাদে যদি দ্বিতীয় বা তৃতীয় কোনো ইমেইল ঠিকানা থাকে, তবে অনলাইনের বিভিন্ন সাইটে রেজিস্টার করার ক্ষেত্রে সেটি ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে করে স্প্যাম, ফিশিং (Phishing) আর প্রমোশনাল মেইলের বিড়ম্বনা নিয়ন্ত্রণ করা যায় অনেকাংশে।
প্রোটন মেইল।
আজকাল অনলাইনের প্রায় সব সেবা বা ওয়েবসাইট শুরুতেই রেজিস্টার করতে বলে ব্যবহারকারীকে। এদের বেশিরভাগই হয়তো দৈনন্দিন জীবনে কোনো কাজে আসে না ব্যবহারকারীর। কিন্তু যেখানে রেজিস্টার করলেন, সেই উৎস থেকে আপনার ইমেইল ঠিকানাটি পৌঁছে যেতে পারে কোনো মেইলিং লিস্টে, এমনকি পৌঁছে যেতে পারে ডার্কওয়েবেও।
অযাচিত মেইলের বিড়ম্বনা এড়ানোর জন্য তাই দ্বিতীয় বা তৃতীয় ইমেইল ঠিকানা বানিয়ে ফেলাই ভালো। একবারের বেশি ব্যবহার হবে না বা হলেও কালেভদ্রে; এমন সাইট বা সেবাগুলোর জন্য রেজিস্টার করার সময় ব্যবহার করুন বিকল্প ইমেইল ঠিকানাগুলো।
এক্ষেত্রে প্রোটনমেইলের মতো ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কেন্দ্রিক সেবা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে গেটঅ্যাপ। একবার ব্যবহারের জন্য একাধিক ইমেইল ঠিকানা বানানোর সুযোগ দেয় এই সেবাটি।
ব্যাংকিং, ক্লাউড স্টোরেজ এবং অন্য যে কোনো গোপন কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর কাজে ব্যবহারের জন্যেও আলাদা ইমেইল ঠিকানা ব্যবহার করাই শ্রেয়।
পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে
পেশাদার কাজে ব্যবহৃত ইমেইলে পুরো নামের ব্যবহার হয়তো পেশাদারীত্বের পরিচয় দেয়। কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষে নিজের পরিচয় গোপন রাখাও জরুরী হয়ে দাঁড়াতে পারে। অনলাইনে অপরিচিত কারও সঙ্গে আলাপচারিতা, কোনো ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে কমেন্ট করা বা বাজার গবেষণার জন্য রিভিউ লেখার মতো কাজগুলোতে নিজের পরিচয় গোপন রাখাই শ্রেয়। এতে সাইবার অপরাধী ও স্প্যামাররা আপনাকে হয়রানি করার সুযোগ কিছুটা হলেও কম পাবে।