অনিয়মিত পথে অভিবাসীর ঢল ঠেকাতে নেভাল ব্লকেড বা জলপথ বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন ইতালির নতুন প্রধানমন্ত্রী জর্জা মেলোনি৷ দেশটিতে এখন অভিবাসন বিরোধী সরকার ক্ষমতায়। নানাভাবে অভিবাসীর ঢল ঠেকানোর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। কিন্তু এতদসত্বেও ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে আসা অভিবাসীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে বলে জানিয়েছে ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, গত বছরের শুরু থেকেই হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী সাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে পৌঁছেছেন৷ গত বছরের দশ মাসে অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে দেশটিতে অভিবাসনপ্রত্যাশীর আগমনের সংখ্যা তার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দেড়গুণ বেড়েছে৷

জর্জা মেলোনির নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০২২ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে নৌকায় করে ২০ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী ইতালি পৌঁছেছেন৷ তার আগের বছরের একই সময়ে এসেছিলেন মোট ১২ হাজার ৬০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী৷

সাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি পৌঁছানোর এই সংখ্যা নতুন বছরেও অব্যাহত রয়েছে৷ চলতি বছরের প্রথম ১০ দিনে মোট তিন হাজার নয় জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ইতালি পৌঁছেছেন৷ লক্ষণীয় যে, ২০২২ সালের প্রথম ১০ দিনে সাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি পৌঁছা অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা ছিল ৩৭৮ জন৷

ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসির দাবি, আবহাওয়া অনুকূল থাকার কারণে নৌকায় করে ইতালিতে অভিবাসনপ্রত্যাশীর আগমন বেড়েছে৷

ইতালি সরকারের দাবি, সমুদ্রে উদ্ধারকাজে নিয়োজিত বেসরকারি জাহাজগুলোর সাহায্য পাওয়া যায় বলে অনেক অভিবাসনপ্রত্যাশী ঝুঁকিপূর্ণ সমুদ্রযাত্রায় উৎসাহিত হচ্ছেন৷ এ পরিস্থিতি সামলাতে ইতিমধ্যে সরকার একটি ডিক্রি জারি করেছে৷ ডিক্রিতে বলা হয়, কোনো জাহাজ একবারের বেশি অভিযানে অংশগ্রহণ করতে পারবে না৷ অর্থাৎ একবার উদ্ধার অভিযান শেষ হলে জাহাজকে কোনো বন্দরে নোঙ্গর করতে হবে৷

দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাইয়ানি আফ্রিকার দেশ তিউনিশিয়া, লিবিয়া এবং এশিয়ার দেশ তুরস্ক সফরের কথা রয়েছে৷ এই দেশগুলোর অনিয়মিত অভিবাসন ঠেকাতে সহায়তা চাইতে পারেন তিনি৷ তাছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোজিও একই লক্ষ্যে তুরস্ক সফর করতে পারেন৷