‘ওরে গৃহবাসী, খোল দ্বার খোল, লাগল যে দোল’—বেলা যত গড়ায়, শহর থেকে গ্রামে সবাই মেতে ওঠেন রঙিন খেলায়। রঙের খেলায় উৎসাহী না হলেও অন্যকে রং খেলতে দেখে আনন্দ পায় না
বৈচিত্র্যময় দেশ আমদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। বাংলায় বহুকাল ধরে এর ঋতু বৈচিত্র্য পরিলক্ষিত হয়। এখানে মূলত ছয় ঋতু : গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত। এক বছরে ছয়টি ঋতুর
সাদা কাশফুলে এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের সৃষ্টি হয়েছে ফরিদপুরের সদরপুর আকোটের চর পদ্মাতীরে জেগে ওঠা বিশাল চরাঞ্চলে। ধুলোবালির শহরের ক্লান্তি দূর করে চারদিকে প্রশান্তির মায়াবী আবেশ ছড়িয়ে দিচ্ছে কাশফুল। শত শত
যেদিকে চোখ যায় কাশবন। শরতের অমল মহিমা ধরা দিয়েছে গোটা দেশেই। অমল ধবল পালে লেগেছে মন্দ মধুর হাওয়া-/দেখি নাই কভু দেখি নাই এমন তরণী বাওয়া…। রবীন্দ্রনাথের এই অমল ধবল পাল
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ক্যাম্পাস সেজেছে কাশফুলের শুভ্রতায়। কাশফুলের মনোরম দৃশ্য শিক্ষার্থীসহ সবার মন কাড়ছে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে কাশফুল ফুটে জানান দিচ্ছে এসে গেছে শরৎকাল। বর্ষার
ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। ঋতু পরিবর্তনের পালাবদলে আসে শরৎ। শরৎ আগমনের অন্যতম প্রতীক কাশফুল আর নীল আকাশের বুকে ভেসে বেড়ানো শুভ্র মেঘের ভেলা। শরৎ আমাদের মাঝে বিভিন্ন উৎসবের আগমনী বার্তা নিয়ে
শরৎকাল মানেই নীল আকাশে সাদা মেঘের আনাঘোনা আর বিভিন্ন স্থানে ফুটে উঠা কাশফুলের শুভ্রতা। শরৎ প্রকৃতিকে কাশফুলের অপার সৌন্দর্য্য দিয়ে সাজিয়ে তুলে। প্রকৃতিতে পালাবর্তনে কাশফুলের সৌন্দর্য্যে মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে
গ্রামের মেঠোপথ প্রখর রোদের তীব্রতা নিয়ে যেন ঝিম ধরে রয়েছে। লোকজনের উপস্থিতি খুবই কম। এ নির্জনতাটুকুর ভেতর দূর থেকে ভেসে আসা একটি বিশেষ শব্দ। মনোসংযোগ শুধুই সেদিকে! কী সেই শব্দ!
প্রকৃতিতে এখন ঋতুরানী শরৎ। ভাদ্র ও আশ্বিন দুই মাস মিলে বাংলা ষড়ঋতুর তৃতীয় ঋতু এই শরৎকাল। প্রকৃতির রূপ-বৈচিত্রের পরিবর্তন ঘটলেও শরৎকাল ধরা দেয় তার আলাদা রূপ-বৈচিত্রে। শরৎ এলেই নদ-নদীর পাড়ে
শরতের হালকা হাওয়া আর ঢাকার উত্তরা দিয়াবাড়ির কাশফুলের সাদা গালিচা যেন প্রকৃতির সঙ্গে মিশে একাকার। কনক্রিটের শহর থেকে কিছুক্ষণের জন্য হলেও মনকে প্রকৃতির কাছে সমর্পণ করার এ এক অনন্য সুযোগ।