আকর্ষণীয় পেশা হবার কারণে পাইলট হতে চান অনেকে। তবে এর জন্য বিশেষ দক্ষতা অর্জনের দরকার হয়। বাংলাদেশে পাইলট হবার ট্রেনিং নেবার জন্য বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এদের সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক এবারের লেখায়।
১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠান সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি অফ বাংলাদেশ (CAAB) দ্বারা অনুমোদিত। পাইলট হবার জন্য তারা ৩ বছরের প্রশিক্ষণ দেয়। বছরে দুইবার (জানুয়ারি ও জুলাই বা আগস্টে) ভর্তি নেওয়া হয়।
ফ্লাইংয়ের পাশাপাশি প্রশিক্ষণার্থীর জন্য গ্রাউন্ড বিষয়ক তাত্ত্বিক কোর্সের ব্যবস্থাও করে বাংলাদেশ ফ্লাইং অ্যাকাডেমি। পদার্থবিদ্যা, গণিত ও ইংরেজিসহ ন্যূনতম জিপিএ৩ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা প্রশিক্ষণের জন্য পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেয়ে থাকেন। এছাড়া যারা স্নাতক শ্রেণীতে পড়ছেন, তারাও বৈমানিক প্রশিক্ষণ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেন।
সিএএবি দ্বারা অনুমোদিত এ প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক শিল্প গ্রুপ ইয়াংওয়ানের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রামে অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধাসম্পন্ন একটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প রয়েছে তাদের। এছাড়া ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের সীমানার মধ্যে আছে আরো একটি বিমান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
আরিরাং ফ্লাইং স্কুলের ডামি ককপিট রেড বার্ড এফএমএক্স ফ্লাইট সিমুলেটর সত্যিকারের বিমান চালনা ও প্রযুক্তিজ্ঞান দিতে পারে প্রশিক্ষণার্থীদের। এখানে ভর্তি হতে হলে ১০০ নম্বরের ইংরেজি, অঙ্ক, সাধারণ জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তার পরীক্ষা দিতে হয়। এরপর মৌখিক ও কম্পিউটার দক্ষতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে সুযোগ পাওয়া যাবে এ প্রতিষ্ঠানে পড়ার।
এ প্রতিষ্ঠানের পাইলট ট্রেনিং কার্যক্রম দুই ভাগে বিভক্ত – একটি হলো গ্রাউন্ড স্কুল, এবং অন্যটি ফ্লাইং। গ্রাউন্ড স্কুলটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর এবং ফ্লাইং ট্রেনিং স্কুলটি রাজশাহীর হযরত শাহ মখদুম বিমানবন্দরে অবস্থিত।
গ্যালাক্সি ফ্লাইং অ্যাকাডেমিতে পাইলট ট্রেনিং নেবার ন্যূনতম বয়স ১৬। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পাস করে এখানে আবাসিক/অনাবাসিক ব্যবস্থাপনায় ভর্তি হওয়া যায়। তাদের রয়েছে উন্নত মানের বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষণ বিমান। এদের মধ্য ‘Cessna-152’ এবং ‘Cessna-172R’ মডেল উল্লেখযোগ্য।
সিএএবি অনুমোদিত আরো কয়েকটি অ্যাভিয়েশন একাডেমি রয়েছে দেশে। এগুলোর যেকোন একটি থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে হয়ে যেতে পারেন একজন পাইলট।