বাংলাদেশে আসছে এশিয়ার ৯৭ ট্যুর অপারেটর, ঘুরবেন দর্শনীয় স্থান

বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আগামী ২৬ থেকে থেকে শুরু হচ্ছে মুজিব’স বাংলাদেশ ট্যুরিজম প্রোমোশন অ্যান্ড বিটুবি এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম। চার দিনব্যাপী আয়োজনে ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান ও নেপালের ৯৭ ট্যুর অপারেটর অংশগ্রহণ করবে। অনুষ্ঠানে দেশের পর্যটন সংক্রান্ত সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে।

বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড জানায়, মুজিব’স বাংলাদেশ ট্যুরিজম প্রোমোশন অ্যান্ড বিটুবি এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম এ নেপাল থেকে ১২ জন, ভুটান থেকে ১৪ জন, শ্রীলঙ্কা থেকে ১৯ জন এবং ভারত থেকে ৫২ জন ট্যুর অপারেটর অংশগ্রহণ করছে। ভারতের অধিকাংশ অপারেটরই পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মনিপুর, ত্রিপুরা, মিজোরাম এবং অরুণাচলের।

ট্যুরিজম বোর্ড জানায়, ৪ দেশের প্রতিনিধিদের জন্য প্রথমদিন ঢাকা সিটি ট্যুর আয়োজন করা হবে। সিটি ট্যুরে পুরান ঢাকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, লালবাগ কেল্লা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন আকর্ষণীয় স্থান অন্তর্ভুক্ত থাকবে। আকর্ষণীয় স্থানের পাশাপাশি কেনাকাটার জন্য বিভিন্ন শপিং মলে নিয়ে যাওয়া হবে।

দ্বিতীয় দিন, ২৭ মে চার দেশ থেকে আগত ট্যুর অপারেটরদের সঙ্গে বাংলাদেশের ১২৫ জন স্টেকহোল্ডারদের বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) মিটিং অনুষ্ঠিত হবে। বিটুবি মিটিং ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। মিটিং শুরুর আগে সকালে ৯৭ জন প্রতিনিধিকে বাংলাদেশের বিষয়ে কান্ট্রি প্রেজেন্টেশন দেওয়া হবে।

ট্যুরিজম স্টেকহোল্ডারদের সুষম অংশগ্রহণ নিশ্চিতকল্পে ঢাকায় ব্যবসারত স্টেকহোল্ডারদের পাশাপাশি বাংলাদেশের অঞ্চলভিত্তিক ট্যুরিজম স্টেকহোল্ডারদের এ আয়োজনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বিদেশি স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নেটওয়ার্কিং পাশাপাশি দেশীয় স্টেকহোল্ডারদের নিজের মধ্যে বন্ধন সুদৃঢ় হবে। একই সঙ্গে অঞ্চলভিত্তিক নেটওয়ার্কিং গড়ে উঠবে।

বাংলাদেশি স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে ৪৬টি হোটেল ও রিসোর্ট, ৪টি দেশীয় এয়ারলাইন্স, ১০টি ট্যুরিস্ট ভেসেল এবং ৬৫টি ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে। এ আয়োজনে বাংলাদেশি স্টেকহোল্ডাররা পর্যটক আকর্ষণের ওপর বিভিন্ন প্যাকেজ, অফার, এয়ার টিকিট ও হোটেল সংক্রান্ত অফার বিদেশি অংশগ্রহণকারীদের কাছে উপস্থাপন করবে। এর ফলে চারটি দেশের অংশগ্রহণকারীরা ভবিষ্যতে বাংলাদেশ বিষয়ে প্যাকেজ তৈরি করতে পারবে এবং বাংলাদেশের স্টেকহোল্ডারদের মাধ্যমে তাদের দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণ বিষয়ে আগ্রহী করে তুলবে। এ উদ্যোগ ক্রস বর্ডার ট্যুরিজম প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

একইদিন ২৭ মে বাংলাদেশে আগত বিদেশি ট্যুর অপারেটদের জন্য আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। থাকবেন শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সের কান্ট্রি ম্যানেজার, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার, শ্রীলঙ্কার হাই কমিশনার, নেপালের রাষ্ট্রদূত এবং ভুটানের রাষ্ট্রদূতকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

২৮ মে শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ভুটান হতে আগত ট্যুর অপারেটররা ডেস্টিনেশন ভিজিটের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারে নিয়ে যাওয়া হবে। অংশগ্রহণকারীদের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, ১০০ ফুট বৌদ্ধ মূর্তি, রাংকুট বনাশ্রম বৌদ্ধ মন্দির, মেরিন ড্রাইভ, হিমছড়িসহ অন্যান্য স্থানে ভ্রমণ করবেন। তারা কক্সবাজারের গুরুত্বপূর্ণ হোটেল, রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট, ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইডদের সঙ্গে পরিচিত হবেন। ফলে কক্সবাজারের ওপর ভবিষ্যৎ আইটিনারি তৈরি করতে বিদেশি ট্যুর অপারেটরদের সুবিধা হবে।

অংশগ্রহণকারীরা ২৯ মে কক্সবাজার থেকে ঢাকা এসে নিজ নিজ দেশে ফিরে যাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: