নাসা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-এ চ্যাম্পিয়ন হয়ে গ্লোবাল ফাইনালিস্ট হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে বাংলাদেশের ‘টিম মহাকাশ’। এর আগে জোনাল রাউন্ড পার হয়ে তারা গ্লোবাল রাউন্ডে অংশগ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেরএই দলটি ‘বেস্ট মিশন কনসেপ্ট’ ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়। এতে করে তারা গ্লোবাল ফাইনালিস্ট হিসেবে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছে গেছে। নাসার মহাকাশ গবেষকরা এবার তাদের প্রজেক্ট বিচার বিশ্লেষণ এবং যাচাই বাছাই করবেন।

এ বছরে এই চ্যালেঞ্জের মূল বিষয় ছিল ‘ভার্চুয়াল প্ল্যানেটরি এক্সপ্লোরেশন ভার্সন ২.০’। এর জন্য অংশগ্রহণকারীদের জিওলজি টুলের ইন্টার্যাকটিভ থ্রিডি মডেল তৈরি করতে হয়েছে। যার মূল উদ্দেশ্য ছিল ভিনগ্রহে গমনকারী মহাকাশচারীদের জন্য সুবিধাজনক প্রযুক্তি তৈরি করা, যেন অন্য গ্রহের উপরিভাগে তাদের চলাচল এবং অনুসন্ধান কার্যক্রম আরো সহজ হয়।
বিজয়ী দলের সদস্যরা খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি এর শিক্ষার্থী। দলে রয়েছেন বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির বার্নিতা বসাক ত্রিশা ও মো. মোমেনুল হক এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুমিত চন্দ, সামির ইমতিয়াজ, শিশির কেয়ারী ও আলভি রওনক।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমিত চন্দ বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি ডিভিশন আমাদেরকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। বিশেষভাবে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টারে আমাদের দলের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি তদারকি করবেন বলে জানিয়েছেন।’
বেসিস এবং বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের সহযোগিতায় আয়োজিত হয় নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার এবারের আসর। এ বছরের প্রতিযোগিতায় ১৬২টি দেশ থেকে ২৮ হাজারের বেশি অংশগ্রহণকারী যোগ দেন। ২৮টি চ্যালেঞ্জ এবং ২ হাজার ৮০০ এর বেশি প্রকল্প এতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আট শতাধিক প্রকল্প জমা পড়েছিল। সেরা ২৭টি প্রকল্প নাসার জন্য বাংলাদেশ থেকে মনোনীত করা হয়।
এর আগে ২০১৮ সালে বাংলাদেশের একটি টিম এই প্রতিযোগিতায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত ধাপে বিজয়ী দলের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টারে।


