নির্দিষ্ট মৌসুমের জন্য ২০২০ সাল থেকে সরকারিভাবে বাংলাদেশ থেকে কর্মী যাচ্ছিলো ইতালিতে। সেইসঙ্গে কোটা ভিত্তিতে অন্যান্য সময়ে বাংলাদেশি কর্মীরা ইউরোপীয় দেশটিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়ে আসছিলো। গত ৭ জুন রোমে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যকার সভায় উঠে আসে ইতালিতে বাংলাদেশিদের অভিবাসন ও বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়ার বিষয়টি। আর প্রধানমন্ত্রীর সফরে কৃষি, পর্যটন, নির্মাণ শিল্প ও জাহাজ নির্মাণ খাতে বাংলাদেশি কর্মীদের চাহিদার কথা জানিয়েছে ইতালি সরকার।
ইউরোপের দেশগুলোতে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থান বাড়াতে ইতোমধ্যে পৃথক সেল গঠন করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। চাহিদামত দক্ষ কর্মী তৈরিতে ৯৫টি কেন্দ্রে একযোগে প্রশিক্ষণ শুরু করেছে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো, বিএমইটি।
বিএমইটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক এ এইচ এম আনোয়ার পাশা বলেন, ইতালিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আমাদের দেশের কর্মীর ভালো চাহিদা রয়েছে। আমরা এই সুযোগটা বরাবরই নেয়ার চেষ্টা করি। সাম্প্রতিক সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ইতালি সফরের ফলে ইউরোপে আমাদের শ্রমবাজার সম্প্রসারণে একটা ইতিবাচকতা তৈরি হয়েছে।
কর্মীদের অভিবাসন নির্বিঘ্ন আর আধুনিক করতে ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্সের স্মার্ট কার্ডটি অনলাইনে করেছে বিএমইটি।
এ এইচ এম আনোয়ার পাশা বলেন, বিদেশে কর্মী প্রেরণের আগে আমাদের ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স দিতে হয়। আমরা স্মার্টকার্ড দিয়ে থাকি। এক্ষেত্রে শৃঙ্খলা আনার জন্য অনলাইনের আসার কোন বিকল্প নেই। ইতিমধ্যে আমরা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে চলে গেছি।
২০২৩ সালে দেক্রোতা ফ্লুসি ডিক্রির আওতায় ইউরোপের বাইরের অভিবাসীদের জন্য ৮২ হাজার ৭০৫টি মৌসুমি কর্মীর কোটা নির্ধারণ করেছে ইতালি সরকার। যেখানে আবেদন করেছেন হাজারো বাংলাদেশি।
বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১ কোটি ১৫ লক্ষ বাংলাদেশি কর্মী কাজ করছেন।