শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৫ অপরাহ্ন
Uncategorized

বহুরূপী দ্বীপ

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২

বছরে বিভিন্ন ঋতুতে প্রকৃতির পরিবর্তন হয়। চারপাশের সবকিছুর মধ্যে পরিবর্তন আসে। তবে সেই চিত্র পাখির চোখে খুব একটা লক্ষ্য করা হয়নি। ঠিক সেই কাজটিই করেছেন প্রকৃতি চিত্রগ্রাহক জানি ইলিনাম্পা। ফিনল্যান্ডের ল্যাপল্যান্ডের কোটিসারি দ্বীপের চারটি মৌসুমের সৌন্দর্য ধারণ করেছেন তিনি। সেখানেই ধরা পড়েছে ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতির পরিবর্তনের অপরূপ দৃশ্য।

জানি ইলিনাম্পা তার ড্রোন দিয়ে কোটিসারি দ্বীপের চারটি মৌসুমের সৌন্দর্য ধারণ করেছিলেন। দ্বীপটি ১৯৮০ সাল পর্যন্ত ফিনল্যান্ডের ল্যাপল্যান্ডের রোভানিয়েমির কাঠুরেদের একটি মিলনমেলা হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এরপর থেকে দ্বীপের একটি বাড়ি অতিথিদের গেস্ট হাউস হিসেবে পরিণত হয়েছে এবং প্রতিদিন একটি ফেরী নির্দিষ্ট সময় করে পর্যটকদের ভ্রমণে ব্যবহৃত হচ্ছে।

বসন্ত

২০১৫ সালে জানি ইলিনাম্পা যখন ওই দ্বীপের স্থানীয় চিত্রগ্রাহক ছিলেন তখন তিনি বেশ ওপর থেকে অর্থাৎ শুন্য থেকে কেমী নদীর বুকে অবস্থিত ইডিলিক দ্বীপের একটি ছবি তোলেন। ছবিটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে জানি আবার ফিরে আসলেন শুধু অন্য মৌসুমগুলোতে দ্বীপের প্রকৃতি যে সুন্দর রুপ ধারণ করে তার ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যমে সবাইকে দেখানোর জন্যে।

জানি ‘দ্যা গার্ডিয়ান’ কে বলেছেন, ‘ল্যাপল্যান্ডের মৌসুমের ব্যাপক পরিবর্তন ছবির মধ্যে দিয়ে তুলে ধরার জন্য এই ছোট দ্বীপটি উপযুক্ত একটি মাধ্যম।’

গ্রীষ্ম

যদিও শীতের মৌসুমে এখানে ড্রোন ওড়ানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দ্বীপটি আর্কটিক সার্কেল থেকে মাত্র ৪ মাইল দূরে অবস্থিত এবং শীতের সময় এই স্থানের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে চলে আসে৷

জানি বলেন যে, বিশেষ করে শীতের সময় তার শুকনো আবহাওয়া প্রয়োজন হয় যাতে করে প্রোপেলার গুলো ঠান্ডায় জমে না যায়।

শরৎ

১৯৮০ সাল পর্যন্ত দ্বীপটি স্থানীয় কাঠুরেদের জন্য একটি জনপ্রিয় মিলনক্ষেত্র ছিল। পূর্বে লগিং শিল্পের জন্য ওনাস এবং কেমি নদী দুটি ভাসমান চ্যানেল হিসেবে ব্যবহার হতো। তবে পরবর্তীতে এই চ্যানেলগুলোর পরিবর্তে আধুনিক যাতায়াত ব্যবস্থা শুরু হয়।

শীত

শান্ত-মনোরম এই দ্বীপটি বর্তমানে পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে যা শুধুমাত্র নৌকায় বা কোনো নৌযানের মাধ্যমে প্রবেশযোগ্য। প্রতিদিন শিডিউল করা সময়ে একটি ফেরী পর্যটকদের নিয়ে যায় এবং দ্বীপটি ঘুরিয়ে দেখায়, পূর্বের কাঠুরেদের জীপনযাত্রার বিবরণ চোখের সামনে তুলে ধরে এবং অতঃপর আবার ফিরিয়ে আনে।

দ্বীপটির একটি বড় বাড়িকে পর্যটকদের কথা চিন্তা করে গেস্ট হাউসে রুপান্তর করা হয়েছে।

ঢাকা টাইমস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com