বৃষ্টি সবে থেমেছে। ধীরে ধীরে সরছে মেঘ। পড়ন্ত বিকেলে ঝলমলে আকাশ। চারপাশ সবুজ পাহাড়। দিনভর হোটেলবন্দি থাকার পরেই গন্তব্যস্থল দার্জিলিং ম্যাল। সোজা ম্যালে! তখনও রাস্তাঘাট ভেজা। তখনও রাস্তাঘাট ভেজা। ছুটি কাটাতে এসে টানা ৩ দিন বৃষ্টির জেরে ঘোরার আনন্দটাই মাটিতে মিশতে যাচ্ছিল। কিন্তু অবশেষে রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় অন্য আবহ তৈরী হল শৈলশহরে। অনাবিল আনন্দে মেতে ওঠেন পর্যটকেরা।
কোভিড প্রোটোকল মেনেই পাহাড়ে আসছেন পর্যটকেরা। কলকাতা-সহ রাজ্যের অন্যান্য জেলা তো বটেই, ভিন রাজ্য থেকেও ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকরা। মেঘলা আবহাওয়া, বৃষ্টি সব ম্লান করে দিয়েছিল গত ৩ দিন। মুখ ভার ছিল পর্যটকদেরও। অবশেষে এল স্বস্তি।
হালকা ঠাণ্ডা। সমতলের ভ্যাপসা গরম থেকে রেহাই পেতেই তো এই অসময়ে পাহাড়ে ছুটে আসেন পর্যটকরা। দম বন্ধের পরিবেশ থেকে মুক্তির টানেই তাঁরা চলে আসেন দার্জিলিংয়ে। বর্ষার পাহাড় তাদের কাছে আরও যেন সুন্দর হয়ে উঠেছে। সন্ধ্যেয় পাহাড়ের চারপাশের আলোয় মুগ্ধ হয়ে ওঠেন পর্যটকরা। পর্যটকদের ঘুরতে আসার উৎসাহ দেখে খুশি পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। সামনেই পুজোর মরসুম। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলে কিছুটা হলেও মাথা উঁচু করে হাঁটতে পারবে পর্যটন শিল্প বলে আশাবাদী তাঁরা।
সন্ধ্যের ঠিকানা যখন ম্যাল, তখন সকালের প্ল্যানও তৈরি পর্যটকদের কাছে। ঘুম থেকে উঠে সোজা দার্জিলিং স্টেশন। টয়ট্রেনে জয় রাইড। দার্জিলিং থেকে বাতাসিয়া লুপ হয়ে ঘুম স্টেশন। পাহাড়ি পাকদণ্ডীতে হেলতে দুলতে টয়ট্রেন সাফারি। আবহাওয়া সঙ্গ দিলে ঘুরতে আসার মজা লুফে নিতে পারছেন পর্যটকরা। তাই পুজোতেও করোনা পরিস্থিতি ঠিক থাকলেও পর্যটকরা যে ফের ভিড় জমাবেন তা বলাই বাহুল্য।