মাঝ আকাশে বিমানের দরজা খোলা বা ছোট্ট সোনামনির নিজের অজান্তেই বাবার মোবাইল থেকে লাখ টাকার খাবার অর্ডারের ঘটনা প্রায়ই আমাদের সামনে পড়ে। বিশ্বে প্রতিদিনই এমন অসংখ্য ঘটনা ঘটছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আর গণমাধ্যমের কল্যাণে এর গুটি কয়েক আমাদের সামনে আসে। আমাদের প্রতিদিনের জীবনে তেমন প্রভাব না থাকলেও, আজব এসব ঘটনা কখনো আমাদের হাসির খোরাক হয়, আবার কখনো বিস্ময়ের জন্ম দেয়। বছরজুড়ে ঘটে যাওয়া এমন আজব সব ঘটনা নিয়েই এই আয়োজন।
১৯৯ সদস্যের এক পরিবার, এক বাড়িতেই থাকেন সবাই
একটা সময় ছিল যখন পরিবারের সবাই এক ছাদের নিচেই থাকতেন। সময় সঙ্গে তাল মিলিয়ে সে চিত্র অনেকটা পাল্টেছে। ধীরে ধীরে একান্নবর্তী পরিবারের ধারণা থেকে সরে আসছে মানুষ। তবে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য মিজোরামে এমন এক পরিবারের সন্ধান মিলেছে, যে পরিবারের সদস্য সংখ্যা ১৯৯ এবং তারা সবাই এক বাড়িতেই বাস করেন।
সাগরে ভাসবে না, তবুও জেমস বন্ডের জাহাজ কিনে ১৫ বছর ধরে মেরামত
শখের বশে মানুষ অনেক কিছুই না করে। তাই তো বলা হয়, ‘শখের তোলা লাখ টাকা’। এমন শখ পূরণেই জনপ্রিয় মুভি সিরিজ জেমস বন্ডের বন্ডের ‘ফ্রম রাশিয়া উইথ লাভ’ সিক্যুয়েলে ব্যবহৃত বিশাল ক্রুজ শিপ ২০০৮ সালে কিনেছিলেন এক মার্কিনী। কখনো সাগরে নামবে না জেনেও গত ১৫ বছর ধরে করাচ্ছেন সংস্কার ও সাজসজ্জার কাজ। তার স্বপ্ন, সাগরে না গেলেও একদিন এটি মানুষের বিনোদনের কেন্দ্রে পরিণত হবে।
২৯৩ ফুট ও প্রায় আড়াই হাজার টনের ওই জাহাজের তিনটি ডেক, বিশাল সুইমিং পুল, ৮৫টি কেবিনসহ নানা বিলাসবহুল সুবিধা রয়েছে। ২০০৮ সালে অনলাইনে বিজ্ঞপ্তি দেখে এটি কিনেছিলেন মার্কিন নাগরিক ক্রিস্টোফার উইলসন।
পুকুরের পানি হঠাৎ হয়ে গেল উজ্জ্বল গোলাপী
চারদিকে বিস্তৃর্ণ সবুজ, মাঝে এক টুকরা উজ্জ্বল গোলাপী পানির জলাধার বা পুকুর। কী ভাবছেন, বার্বি বা হলিউডের কোনো সিনেমার দৃশ্যের কথা বলছি? মোটেই না। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই রাজ্যে এমন বিচিত্র এক পুকুরের সন্ধান মিলেছে, যার পানির রঙ গোলাপী।
হাওয়াইয়ের মাউইর কেইলিয়া পন্ড ন্যাশনাল ওয়াইন্ডলাইফ রেফিউজ নামে বন্যপ্রাণির জন্য সংরক্ষিত এলাকায় ৩০ অক্টোবর থেকে এ ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। প্রথমে তারা ভেবেছিলেন কোনো অ্যালগি বা শৈবালের প্রভাবে সেখানকার পানি গোলাপী বর্ণ ধারণ করেছে। কিন্তু পরে পরীক্ষা করে দেখা যায়, পুকুরের পানির লবণাক্ততার মাত্রা সমুদ্রের পানির প্রায় দ্বিগুণ। প্রচণ্ড গরম ও লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় সেই পানিতে এক ধরনের এক কোষী ব্যকটেরিয়া জন্মেছে। এর প্রভাবেই পানির রঙ উজ্জ্বল গোলাপী হয়ে গেছে।
পাসপোর্টের পাতায় ভিসার বদলে ফোন নম্বর, হিসাব-নিকাশ
সম্প্রতি পাশের দেশ ভারতে ঘটে যাওয়া এমন এক ঘটনা হইচই ফেলেছিল নেট দুনিয়ায়। দেশটির সংশ্লিষ্ট অফিসে রিনিউয়ালের জন্য আসা একটি পাসপোর্ট খুলেই চোখ কপালে উঠেছে কর্মকর্তাদের। এর খালি পাতায় ভিসার পরিবর্তে ফোন নাম্বার থেকে শুরু করে নানা হিসাব-নিকাশ লিখে ভরে রেখেছেন ব্যবহারকারী।
প্রশান্ত নায়ার নামে এক ব্যক্তির এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, ওই পাসপোর্টের পাতায় কোনো দেশের ভিসা বসানো নেই। বরং পাতাগুলোতে বিভিন্ন ফোন নাম্বার লেখা। এমনকি শেষের পাতায় লেখা রয়েছে ছোট ছোট সব হিসাব-নিকাশ।
কনে পেতে খুশি করতে হয় গ্রামবাসীকে
গত ২০ অক্টোবরের এক বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়া বরের গাড়ি আটকানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায়, তাইজু গ্রামের শতশত প্রবীন বাসিন্দা গাড়িটি ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন। বরের কাছে তারা টাকা আর সিগারেট চাচ্ছেন।
রীতি অনু্যায়ী, বরের পরিবার গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি পূরণ করে খুশি করবেন। এই দাবি চিনি, সিগারেট এমনকি লাল খামভর্তি টাকারও হতে পারে। আর তা না হলে কনের কাছে যেতে দেরি বা কনের সাক্ষাৎ থেকে বঞ্চিত হতে পারেন বর।
ভুল খাবার পরিবেশনই যে রেস্তোরাঁর রীতি
বিশেষ কোনো দিনে পরিবার বা পছন্দের মানুষের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় গেলেন। মেন্যু থেকে খাবার পছন্দ করে অপেক্ষাও করলেন দীর্ঘসময়। এরপর দেখলেন টেবিলে ভুল খাবার পরিবেশন করেছেন ওয়েটার। তখন আপনার প্রতিক্রিয়া কেমন হবে? রেগে যাবেন নিশ্চয়ই! জাপানের টোকিওতে এমন একটি রেস্তোরাঁ আছে, যেখানে ভুল খাবার পরিবেশন করাটাই রীতি। এমনকি সেখানে যারা খেতে আসেন, তারাও জানেন অর্ডার করা খাবারটি পরিবেশনের সম্ভাবনা খুবই কম।
‘দ্য রেস্টুরেন্ট অব মিসটেইকেন অর্ডারস’ নামে ওই রেস্তোরাঁয় কাজ করা সবাই ‘ডিমেনশিয়া’ বা ‘স্মৃতিভ্রম’ রোগে আক্রান্ত। এ রোগে আক্রান্তরা নিকট অতীতের কোনো কিছু সহজে মনে রাখতে পারেন না। তাই টেবিল থেকে রান্নাঘরের দিকে যেতে যেতেই সব ভুলে যান।
‘ডিসপ্লে ডল’ সেজে শপিংমলে দফায় দফায় চুরি যুবকের
ভাবুন তো, কেমন হবে যদি দেখেন- কাপড়ের দোকানের সামনে রাখা পুতুল দোকানে ঢুকে চুরি করছে? অবাক হবেন হয়তো। এমনটাই ঘটেছে পোল্যান্ডের ওয়ারশতে। ২২ বছর বয়সী ওই যুবক মলের নিরাপত্তা ক্যামেরা ফাঁকি দিতে পুতুল সেজে দোকানের সামনে দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থাকতেন। একদমই নড়াচড়া করতেন না। শপিং মল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বিভিন্ন দোকানে ঢুকে চুরি করতেন। এভাবে কয়েক দফায় স্বর্ণ, পোশাক, এমনকি খাবারও চুরি করেছিলেন। একদিন বিষয়টি চোখে পড়লে ওই যুবককে ধরে পুলিশের কাছে দেন এক নিরাপত্তা কর্মী।
মানুষের দাঁত-চুল দিয়েও তৈরি হয় গহনা
কখনো শুনেছেন, মানুষের দাঁত বা চুল দিয়ে গহনা বানানো হতে পারে? শুনতে অবাক লাগলেও অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে এমন গহনা তৈরি করছেন এক নারী। জ্যাকুই উইলিয়ামস নামে ওই নারী ২০১৬ সালে মেলবোর্ন পলিটেকনিক থেকে গহনা তৈরির কৌশল রপ্ত করেন। কিন্তু এরপর তিনি এ ধরনের কাজ পাচ্ছিলেন না। পরে করোনাকালে ঘরবন্দি সময়ে পুরোদমে শুরু করেন গহনা তৈরি। এ সময় বিভিন্ন গ্রাহকের চাহিদা অনুসারে তাদের দাঁত বা চুল দিয়ে তৈরি করতেন এসব গহনা।
অফিসের লিফটে আটকা তিন ঘণ্টা, খোয়ালেন বেতন
ভারতের দিল্লিতে এক ব্যক্তি অফিসে প্রবেশের সময় বিল্ডিংয়ের লিফটে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে আটকে ছিলেন। তাই নির্ধারিত সময়ে অফিসে হাজির হতেও পারেননি। বিস্ময়কর বিষয় হলো, এ ঘটনা অফিসে জানানোর পরও ওইদিন তাকে অনুপস্থিত দেখিয়ে বেতন কাটার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। তিনি ওইদিন ছুটি নিতে চাইলেও অফিসে কর্মী কম থাকায় তাকে বাড়ি ফিরে যেতেও দেওয়া হয়নি।
এক ঘড়িতে মহাবিশ্বের ১২ অমূল্য পাথর
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘কসমোপলিস’ নামে একটি বিশেষ হাত ঘড়ির ভিডিও শেয়ার করে গিনেজ ওয়াল্ড রেকর্ডস। এতে দেখা যায়, ঘড়িটির ওপর ১২টি পাথর বৃত্তাকারভাবে বসানো হয়েছে। পোস্টের ক্যাপশন অংশে লেখা হয়েছে, মহাবিশ্বের সর্বোচ্চ সংখ্যক পাথর খচিত ঘড়ি। ১২টি পাথর বসিয়েছে লেস অ্যাটেলিয়ার্স লুইস মইনেট। এর মধ্যে রয়েছে চাঁদ, মঙ্গল ও উল্কাপিন্ডসহ অমূল্য সব কাপড়। রেকর্ড সৃষ্টিকারী এ ঘড়ির দাম ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৯০০ মার্কিন ডলার বা ২ কোটি ৭২ লাখ ৩৬ হাজার ৫৬২ টাকা।
কুকুরের জীবন বাঁচালো কুমির
‘ডাঙ্গায় বাঘ, জলে কুমির’ বা ‘খাল কেটে কুমির আনা’ প্রবাদগুলো আমরা হরহামেশাই শুনি। প্রচলিত এ প্রবাদগুলোই বলে দেয় কুমির কতটা হিংস্র আর বিপজ্জনক। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো, সম্প্রতি সে কুমিরই একটি অসহায় কুকুরের প্রাণ বাঁচিয়েছে। একটি নয়, দুটি নয়, তিনটি কুমির মিলে অবাক করা এ কান্ড ঘটিয়েছে পাশের দেশ ভারতে।
আসলে ঘটনা হলো মহারাষ্ট্র রাজ্যের সাবিত্রী নদীর কাছে বেশ কয়েকটি বন্য কুকুর ধাওয়া করছিল আরেক কুকুরকে। জীবন বাঁচাতে অসহায় কুকুরটি এক পর্যায়ে নদীতে নেমে যায়। কিন্তু তখনও এটি দেখেনি, কাছেই তিনটি কুমির ছিল। এরপরই অসহায় কুকুরটিকে নাকের ডগা দিয়ে ঠেলে নদীর অন্য পারে তুলে দেয় কুমিরগুলো।
পর্তুগালের রাস্তায় রেড ওয়াইনের ‘বন্যা’
পর্তুগালের ছোট্ট শহর লেভিরা। ২০২৩ সালে এ শহরের বাসিন্দারা অদ্ভুত এক ঘটনার সাক্ষী হন। এ দিন শহরের রাস্তা দিয়ে বয়ে যায় রেড ওয়াইনের বন্যা। মূলত শহরের উপরিভাগে অবস্থিত লেভিরা ডিস্টিলারি নামে একটি ওয়াইন কোম্পানির দুটি ট্যাংক বিস্ফোরিত হয়ে ২ দশমিক ২ মিলিয়ন বা ২২ লাখ লিটার রেড ওয়াইন পড়ে যায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়, লাল রঙের ওয়াইনের প্রবাহ শহরের একটি ঢালু সড়ক বেয়ে নেমে যাচ্ছে নদীর স্রোতের মতো। এমনকি ওই প্রতিষ্ঠানের পাশের একটি বাড়ির বেজমেন্টও ওয়াইনে ভরে যায়।
চীনের মহাপ্রাচীর কেটে ‘শর্টকাট’ রাস্তা বানিয়েছিলেন দুই শ্রমিক
প্রতিদিনের কাজ সহজ করতে মানুষ কত কৌশলই না বের করে। কিন্তু কেমন হবে যদি বলি, যাতায়াতের ‘শর্টকাট’ পথ বের করতে চীনের মহাপ্রাচীরের একাংশ খুঁড়ে রাস্তা বানিয়েছেন দুজন! এমনটাই ঘটিয়েছেন চীনের সাংশি রাজ্যে। এক্সক্যাভেটর (মাটি খোঁড়ার যন্ত্র) নিয়ে যাওয়ার পথ কমাতে মহাপ্রাচীরের একাংশ খুঁড়ে রাস্তা বানিয়েছিলেন দুই নির্মাণশ্রমিক।
বাবা-মাসহ ৭ সন্তানের জন্ম একই তারিখে
পাক দম্পতি আমির আলি ও খুদেজার জন্ম তারিখ ১ আগস্ট। তারা বিয়ে করেছিলেনন ১৯৯১ সালের এই তারিখে। এর ঠিক এক বছর পর ১৯৯২ সালের ১ আগস্ট প্রথম সন্তানের জন্ম দেন খুদেজা। এরপর তাদের কোলজুড়ে আসেন জমজ বোন সাসুই ও স্বপ্না, আমির, আম্বার ও জমজ ভাই আম্মার ও আহমার। তাদের সবার জন্মদিনও ১ আগস্ট।
পরিবারের ৯ সদস্যের সবার জন্মদিন একই তারিখে হওয়ার পাশাপাশি একই তারিখে জন্মানো সর্বোচ্চ সংখ্যক ভাই-বোনের রেকর্ডও এখন তাদের দখলে। এর আগে পাঁচ সন্তানের জন্ম তারিখ মিলে যাওয়ায় এই রেকর্ড আরেকটি পরিবারের দখলে ছিল।
বিয়ের পুরোহিত যখন চ্যাটজিপিটি
ধারণা করা হয়, একটা সময় আসবে যখন মানুষের অধিকাংশ কাজ করবে আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্ট (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। সেই পথে মানবজাতিকে অনেকটা এগিয়ে নিয়েছে মেশিন লার্নিং মডেল- চ্যাটজিপিটি।
২০২৩ সালের শেষ ভাগ। তাড়াহুড়ো করে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারতে গিয়ে বিপদে পড়েছিলেন রিচ ওয়েঞ্চ ও ডেটন টুইট দম্পতি। শেষ সময়ে এসে দেখেন বিয়ের অনুষ্ঠানে আসতে পারছেন না পুরোহিত। এমন পরিস্থিতিতে পুরোহিতের পরিবর্তে চ্যাটবট ব্যবহারের প্রস্তাব দেন কনের বাবা। কলারাডোতে বিয়ে করাতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত কর্মকর্তার থাকা নিয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকায় সে পথই বেছে নেয় এ দম্পতি।
৯৬০ বার চেষ্টায় লাইসেন্স পেয়েছিলেন তিনি
‘একবার না পারিলে দেখ শতবার’-কবি কালীপ্রসন্ন ঘোষের কবিতার পঙক্তিটি শোনেনি এমন বাঙালির খোঁজ মেলা ভার। সবাই জানলেও খুব কম মানুষই আছেন, যারা ব্যর্থতা পেরিয়ে সফলতার খোঁজে শেষ পর্যন্ত লেগে থাকেন। তেমন একজন উত্তর কোরিয়ার চা সা-সুন। মোট ৯৬০ বার পরীক্ষা দিয়ে আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়েছিলেন তিনি। এর ১৫ বছর পর আবারও নেট দুনিয়ায় একাগ্রতার উদাহরণ হিসেবে ভাইরাল হয়েছেন তিনি।
২০০৫ সালেরএপ্রিলে প্রথম লিখিত পরীক্ষায় বসেন চা সা-সুন। সে সময় সপ্তাহে পাঁচ দিন এবং টানা তিন বছর লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। অবশেষে ৮৬০তম বারে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে প্র্যাক্টিকাল পরীক্ষাসহ পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে মোট ৯৬০ বার পরীক্ষায় বসেন। আর এ তিন বছরে ফি বাবদ তার খরচ হয়েছিল প্রায় ১১ হাজার পাউন্ড।