বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সুসংহত অবস্থানের অন্যতম কারণ বাংলাদেশে প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থের জোগান।বলা যায়, বিভিন্ন সময়ে ক্রান্তিকালে জাদুকরিভাবে রেমিট্যান্সই বাংলাদেশের অর্থনীতিকে জিইয়ে রেখেছে।সেই ‘রেমিট্যান্স ম্যাজিকে’ গত দুই মাসে ভাটার টান।
কিন্তু কেন? রিজার্ভ যথেষ্ট শক্তিশালী, কিন্তু ডলারের দাম গেছে বেড়ে।হঠাত্ ডলারের চাহিদা বৃদ্ধির নেপথ্যে জানা গেল, হুন্ডি বেড়েছে।বিশ্ব যোগাযোগব্যবস্থা খুলে যাওয়ায় ব্যক্তিগত ভ্রমণও বেড়েছে।পাশাপাশি আমদানি ব্যয় বেড়েছে।আমদানি ব্যয় বাড়ার পরও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।যা টাকায় ৪ লাখ ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, প্রবাসী আয় কমেছে। কোনো কোনো দেশে করোনার কারণে প্রবাসীদের আয় কাটছাঁট হয়েছে।অনেক দেশ এখনো পুনরুদ্ধারের গতি লাভ করেনি।করোনার সময় যদিও রেমিট্যান্সের প্রবাহ ছিল উত্সাহব্যঞ্জক।প্রবাসীরা বাধ্য হয়েই অফিসিয়াল চ্যানেলে টাকা পাঠিয়েছে।
সরকারঘোষিত ইনসেনটিভের কারণেও ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বেড়েছে।তবে সামনের দিনগুলোতে রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার শঙ্কা করছে অনেকেই।