এয়ার ট্যাক্সির মতো খাড়াভাবে উড্ডয়ন এবং অবতরণযোগ্য যানবাহনের জন্য একটি ‘ভার্টিপোর্ট’ টার্মিনালের সম্ভাব্য নকশা প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত আর্কিটেকচার ফার্ম ফস্টার+পার্টনার্স। যেটি দুবাইয়ের সর্বাধিক জনপ্রিয় স্থানগুলোকে সংযুক্ত করবে এবং উচ্চ গতি ও শূন্য কার্বন নির্গমণের মাধ্যমে ভ্রমণ নিশ্চিত করবে।
ফস্টার+পার্টনার্সের তথ্য অনুসারে, স্কাইপোর্টস ইনফ্রাসট্রাকচার নামের একটি অ্যাডভান্সড এয়ার মবিলিটি (এএএম) কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে এই নকশাটি তৈরি করা হয়েছে। পুরো প্রকল্পটির পেছনে দুবাইরের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাখতুমের অনুমোদন ও পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে।
টার্মিনালটি দুবাই আন্তর্জাতিক বিনামবন্দরের খুব কাছেই তৈরি হবে এবং বিমানবন্দরের যাবতীয় যোগাযোগ ও পরিবহন সুবিধাও এখানে ব্যবহৃত হবে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ফস্টার+পার্টনার্সের কর্মকর্তা ডেভিড সামারফিল্ড বলেন, ‘উদীয়মান এএএম শিল্পের জন্য একটি ভার্টিপোর্ট টার্মিনালের নকশা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। নতুন এই যোগাযোগ ব্যবস্থা দুবাইয়ের ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকে পাল্টে দেবে।’
তিনি আরও বলেন, ”দুবাই শহরের ‘স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য নির্বিঘ্ন ও টেকসই যাতায়াত নিশ্চিত করার লক্ষ্যে’ এই ভার্টিপোর্ট দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও দুবাই মেট্রোর সঙ্গে যুক্ত থাকবে।’
ফস্টার + পার্টনার্স-এর সরবরাহ করা নকশার ছবিগুলো থেকে বোঝা যায়, এয়ার ট্যাক্সির মতো উড্ডয়নযোগ্য যানবাহনের উড্ডয়ন ও অবতরণের জন্য টার্মিনালটি ভূমি থেকে কিছুটা উঁচুতে থাকবে। টার্মিনালের পাশে থাকবে বিভিন্ন ভবন, যেগুলোতে আগমন ও বহির্গমন যাত্রীদের জন্য লাউঞ্জ থাকবে।
এ ছাড়া টার্মিনালের নকশা এমনভাবে করা হয়েছে, যাতে এর ভেতর থেকেই দুবাই শহরের চমৎকার সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
আকাশে উড্ডয়নযোগ্য ট্যাক্সি
গত ফেব্রুয়ারি মাসে শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাখতুম এক টুইটে ঘোষণা করেছিলেন যে আগামী ৩ বছরের মধ্যে দুবাইতে এয়ার ট্যাক্সি বা আকাশে উড্ডয়নযোগ্য ট্যাক্সি চালু হবে।
এয়ার ট্যাক্সি চালু করা দুবাইয়ের শাসকের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। ২০১৭ সালে দুবাইয়ের রোড অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি (আরটিএ) জানায়, তারা শহরে চালকবিহীন এক আসনের ড্রোন চালু করতে চায়। এ লক্ষ্যে দুবাই কর্তৃপক্ষ চীনা কোম্পানি ইহাং- এর সঙ্গে চুক্তিও করে।
২০২২ সালে দুবাইয়ের জিআইটিইএক্স টেকনোলজি এক্সপোতে চীনা এক্সপাং এক্স২ নামের একটি ২ আসনের ফ্লায়িং কারের টেস্ট ফ্লাইট সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছিল। পুরোপুরি বিদ্যুৎচালিত এই ফ্লায়িং কার ২ জন মানুষকে বহনে সক্ষম এবং এর সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৮০ মাইল। বাহনটি ৮টি প্রপেলারের সাহায্যে উল্লম্বভাবে উড্ডয়নে সক্ষম।
ফস্টার+পার্টনার্স জানিয়েছে, প্রস্তাবিত এই ভার্টিপোর্ট তৈরির জন্য দুবাই শহরের ৪টি স্থানকে বিবেচনা করা হচ্ছে। দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশের যে স্থানটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেটি হচ্ছে প্রস্তাবিত ৪টি স্থানের একটি।
সূত্র: সিএনএন