শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৮ অপরাহ্ন

ফ্রান্সের যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে লাগবে না আইইএলটিএস

  • আপডেট সময় শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি এবং ফান্ডিং প্রোগ্রামের কারণে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত অধ্যয়নের গন্তব্য হিসেবে অন্যতম ফ্রান্স। পশ্চিম ইউরোপের একটি দেশ ফ্রান্স। বিজ্ঞান ,শিক্ষা, প্রযুক্তি এবং সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ এদেশের খ্যাতি ছড়িয়ে আছে বিশ্বজুড়ে। উন্নত জীবনযাত্রা, শক্তিশালী অর্থনীতি ও মানসম্মত সময়োপযোগী শিক্ষার পরিবেশ থাকায় উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে ইউরোপের এই দেশ। তাই প্রতি বছর প্রচুর বিদেশি শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা গ্রহণে পাড়ি জমাচ্ছে ফ্রান্সে।

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি এবং ফান্ডিং প্রোগ্রামের কারণে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত অধ্যয়নের গন্তব্য হিসেবে অন্যতম ফ্রান্স। এর মধ্যে কিছু বৃত্তি আইইএলটিএস ছাড়াই শিক্ষার্থীদের দেওয়া হচ্ছে। ২০২৩ সালে যারা ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়া দুইটিই শুরু করেছেন কিন্তু ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণে আইইএলটিএস নিয়ে হয়তো পিছিয়ে পড়ছেন অনেকে। তবে তাদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে দেশটিতে।

চলতি বছর ফ্রান্সের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তি নিয়ে পড়তে যাওয়ার জন্য আবেদন করা যাবে। ফ্রান্সসহ ইউরোপের বেশির ভাগ দেশেই ব্যাচেলর পর্যায়ে বৃত্তি পাওয়ার সুযোগ কম। তবে ফ্রান্সে বর্তমানে মাস্টার্স ও পিএইচডি ছাড়াও ব্যাচেলরের ক্ষেত্রেও বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।

* আমেরিকান বিজনেস স্কুল, প্যারিস
* ইবিএস প্যারিস
* ইপিআইটিএ গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব কম্পিউটার সায়েন্স
* ইএসএআইপি স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ার্স
* ইএসসি রেনেস স্কুল অব বিজনেস, ফ্রান্স
* ইএসজিসিআই, প্যারিস
* ইএসএলসিএ বিজনেস স্কুল
* আইইএসএ ইন্টারন্যাশনাল
* আইএনএসইইসি বিজনেস স্কুল
* আইএসসি প্যারিস
* এনইওএমএ বিজনেস স্কুল
* প্যারিস স্কুল অব বিজনেস
* এসকেইএমএ বিজনেস স্কুল
* টৌলৌসে বিজনেস স্কুল

আইইএলটিএস ছাড়া ইউরোপের যেসব দেশে যাওয়া যায়

অনেকে ভাবছেন আইইএলটিএস ছাড়া ফ্রান্সে পড়াশোনা করা সম্ভব কিনা? উত্তরটি হলো হ্যাঁ। আইইএলটিএস বা ইংরেজি দক্ষতার প্রমাণপত্র যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো অনেক দেশে প্রয়োজন হলেও ফ্রান্সের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য অত্যাবশ্যকীয় না। তবে এ ক্ষেত্রে আপনি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কোন ভাষায় শিক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন তার প্রমাণপত্র (এমওআই) জমা দিতে হবে।

উল্লেখ্য, ফ্রান্সে পড়াশোনা অনেক প্রতিযোগিতামূলক। গবেষণাধর্মী বিষয়ে পড়ার চাপ বেশি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সপ্তাহে পাঁচ দিন সকাল আটটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ক্লাস থাকে। এর মধ্যেই ক্লাস, ল্যাব, প্রেজেন্টেশন, সেমিনার ও প্রজেক্ট ওয়ার্ক থাকে। ফ্রান্সে একজন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজের সুযোগ পান। ৮০ থেকে ১২০ ইউরো পর্যন্ত সপ্তাহে আয়ের সুযোগ থাকে।

কোনো শিক্ষার্থী যদি পড়াশোনা ভালোভাবে শেষ করেন ও ভাষার দক্ষতা অর্জন করেন, তাহলে ফ্রান্সে চাকরি পাওয়া সম্ভব। উদ্যোক্তা হিসেবেও কাজ করতে পারেন। ফান্সে একটানা ৫ বছর বৈধভাবে থাকার পর শর্ত সাপেক্ষে স্থায়ী বসবাসের (পিআর) জন্যে আবেদন করতে পারবেন। সব শর্ত রক্ষিত হলে পেয়ে যাবেন ফ্রান্সের নাগরিকত্ব।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com