একজন ফ্যাশন ডিজাইনার পোশাক-পরিচ্ছদের ডিজাইনে মূল ভূমিকা পালন করেন। এ পেশায় কাজ করতে হলে আপনাকে আঁকাআঁকিতে দক্ষ হবার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের মানুষের জীবনযাত্রা, চিন্তাভাবনা ও রুচির সাথে পরিচয় থাকতে হবে।
সাধারণ পদবী: ফ্যাশন ডিজাইনার
বিভাগ: গার্মেন্টস ও ফ্যাশন
প্রতিষ্ঠানের ধরন: প্রাইভেট ফার্ম, কোম্পানি, ফ্রিল্যান্সিং
ক্যারিয়ারের ধরন: ফুল-টাইম, পার্ট-টাইম, চুক্তিভিত্তিক
লেভেল: এন্ট্রি, মিড, টপ
এন্ট্রি লেভেলে অভিজ্ঞতা সীমা: ১ – ৩ বছর
এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য গড় বেতন: ৳১৫,০০০ – ৳২০,০০০
এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য বয়স সীমা: ২২ – ২৫ বছর
মূল স্কিল: ক্যাড (CAD), পোশাক-পরিচ্ছদ সম্পর্কিত জ্ঞান, সৃজনশীল চিন্তা করার ক্ষমতা, আঁকাআঁকির দক্ষতা
বিশেষ স্কিল: সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, যোগাযোগের দক্ষতা
প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজ করার পাশাপাশি বহু ফ্যাশন ডিজাইনার কনসালট্যান্ট হিসাবেও কাজ করে থাকেন।
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ ফ্যাশন ডিজাইনের উপর ডিপ্লোমা বা ব্যাচেলর ডিগ্রিপ্রাপ্ত প্রার্থীরা নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য হবেন।
বয়সঃ প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষে বয়সের সীমা নির্ধারিত হয়। সাধারণত আপনার বয়স কমপক্ষে ২২ বছর হতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে বেশি বয়সী ও অভিজ্ঞ প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়া হয়।
অভিজ্ঞতাঃ সাধারণত ১ থেকে ৩ বছরের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়।
বিশেষ শর্তঃ নিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু সময় নারী অথবা পুরুষের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা থাকে। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে নারীরা অগ্রাধিকার পেতে পারেন।
ডিজাইনের সফটওয়্যার: Adobe Illustrator, Adobe Photoshop, AutoCAD, CorelDRAW
কারিগরি জ্ঞানের পাশাপাশি আপনাকে যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে। এছাড়া নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করতে পারা জরুরি।
সৃজনশীল পেশা হবার কারণে কাজের পোর্টফোলিও থাকা আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে আপনার আঁকাআঁকি ও ডিজাইনের দক্ষতা সম্পর্কে নিয়োগদাতা খুব সহজে পরিষ্কার ধারণা পাবেন।
আমাদের দেশে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফ্যাশন ডিজাইনের উপর পড়াশোনার ব্যবস্থা রয়েছে।
মাসিক আয় কাজ ও প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষ। সাধারণত মাসিক বেতন ৳১৫,০০০ – ৳২০,০০০ হয়। বড় প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মাসিক আয় ৫০ হাজার টাকা হতে পারে।
ক্যারিয়ার হিসেবে আমাদের দেশে ফ্যাশন ডিজাইনিং এখনো চ্যালেঞ্জিং। তবে সৃজনশীলতা ও কর্মদক্ষতা থাকলে একজন ফ্যাশন ডিজাইনার ম্যানেজার বা সহকারী ম্যানেজার পদে কাজ করার সুযোগ পান।