শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন
Uncategorized

ফেসবুক নিয়ে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের অভিযোগ

  • আপডেট সময় বুধবার, ৬ অক্টোবর, ২০২১
এবার মার্কিন আইনপ্রণেতাদের তোপে মুখে ফেসবুক। সামাজিক যোগাযোগের এ মাধ্যমটি শিশুদের জন্য ক্ষতিকারক, এটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকেও দুর্বল করে দেয়, এমনই সব অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়া তথ্য ফাঁসের অভিযোগও দিন দিন জোরালো হচ্ছে। এমন নানামাত্রিক অভিযোগে তদন্তের দাবি তোলা হয়েছে মার্কিন সিনেটে।

যতই দিন যাচ্ছে ফেসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাল্লা কেবল ভারি হচ্ছে। ফেসবুকের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলার অভিযোগ যেমন রয়েছে তেমনি সবচেয়ে বড় অভিযোগটি হলো, শিশুদের শৈশব কেড়ে নেওয়ার আর তাদের শিক্ষা ও কোমলমতি জীবন ঝুঁকিতে ফেলার। ফেসবুক উস্কে দিচ্ছে বিভেদও- এমন তথ্যও উঠে এসেছে।

টানা কয়েক ঘণ্টা ফেসবুক বন্ধ থাকা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনার মধ্যেই এবার যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের কাছ থেকে আরেক দফা তুলোধুনো হলো ফেসবুক। সাবেক ফেসবুক কর্মী ফ্রান্সেস হাউগেন তথ্য ফাঁসের যেসব অভিযোগ করেছেন তার তদন্তেরও দাবি করেছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নয় বরং মুনাফাকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্য ফেসবুক সিইও মার্ক জাকারবার্গের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তারা।

ডেমোক্র্যাট দলীয় সিনেটর রিচার্ড ব্লুমেনথাল বলেন, ফেসবুক জানতো যে তাদের এই সাইটটি আসক্তির সৃষ্টি করবে। অনেকের মধ্যে আমাদের শিশুরা ফেসবুকের ক্ষতির শিকার হচ্ছে। কিশোরীরা আজ আয়নায় নিজেদের দেখে সংশয়ে ভোগে, অনিরাপত্তা বোধ করে। মার্ক জাকারবার্গের উচিত নিজের চেহারাটা আয়নায় দেখা।

ফেসবুক ও এর দুই প্রধান সার্ভিস ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ বিভ্রাটের একদিন পর মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে কংগ্রেসের শুনানিতে সাক্ষ্য দিতে যান ফ্রান্সেস হাউগেন। সেখানে তিনি বলেন, অন্তত ৬ ঘণ্টার জন্য ফেসবুক বিভেদ বাড়ানো, গণতন্ত্রকে অস্থিতিশীল করা এবং তরুণীদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কাজে ব্যবহার হয়নি।

ফেসবুকের সাবেক কর্মকর্তা ফ্রান্সেস হাউগেন বলেন, আমি এখানে এসেছি ফেসবুক নিয়ে কিছু সত্য তুলে ধরতে। আমি জানি ফেসবুক শিশুদের ক্ষতি করে। গণতন্ত্রের জন্যও এটা হুমকির। এখানকার নেতৃত্ব এটা জানে কি করে এটা নিরাপদ করা যায়। কিন্তু তারা শুধু অর্থের পেছনেই ছোটে। আর কোনো দায়বদ্ধতা তাদের নেই।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে দুই দলেরই একসঙ্গে কোনো বিষয়ে সরব হওয়া যখন বিরল ব্যাপার, ঠিক তখনই ফেসবুক নিয়ে কংগ্রেসের শুনানিতে তীব্র সমালোচনা করতে দেখা গেছে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দু’পক্ষকে।

ফেসবুক সিইও মার্ক জাকারবার্গকেও কংগ্রেসে কমিটির সামনে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার দাবি জানান সিনেটর রিচার্ড। সেইসঙ্গে স্যোশাল এই মিডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও ফেডারেল ট্রেড কমিশনকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com