1. [email protected] : চলো যাই : cholojaai.net
‘ফিমেল ফরেস্ট’ বা নারীদের অরণ্য,প্রবেশ করতে পারে শুধু মেয়েরাই
বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০১:০২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
স্বপ্নভঙ্গের হতাশা আর আতঙ্কে যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশী শিক্ষার্থীরা ইমিগ্রেশনের সময় এই ৭ কথা ভুলেও বলবেন না, ভেস্তে যেতে পারে ভ্রমণ চীনে বাড়ছে নারীদের আবাসিক ক্লাব, পুরুষ প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাইল্যান্ড ভ্রমণে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করতে পারবেন পর্যটকেরা ছুটি হোক কর্মক্ষমতা বাড়ানোর চাবিকাঠি কেবিন ক্রুদের ধর্মঘটে এয়ার কানাডার সব ফ্লাইট স্থগিত ৬ হাজারের বেশি বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র আগামী বছর ভালুকায় চালু হচ্ছে পাঁচ তারকা হোটেল ‘ম্যারিয়ট’ ঘুরতে গেলে বাজেট শেষ? কয়েকটি টিপসেই মিলবে সমাধান ইউরোপে ‘অবাধ্য’ পর্যটকদের গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা

‘ফিমেল ফরেস্ট’ বা নারীদের অরণ্য,প্রবেশ করতে পারে শুধু মেয়েরাই

  • আপডেট সময় বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়ায় এক ম্যানগ্রোভ অরণ্যে শুধু মেয়েরাই প্রবেশ করতে পারে। নাম টোনোটিওয়াট। যার অর্থ ‘ফিমেল ফরেস্ট’ বা নারীদের অরণ্য।

নারীদেরও অবশ্য জঙ্গলে প্রবেশের বেশ কিছু নিয়ম আছে।এখানে মেয়েরা সম্পূর্ণ নিরাবরণ হয়ে প্রবেশ করেন।

জঙ্গল, জলাভূমিতে দলবেঁধে ঘোরেন। জঙ্গলে প্রবেশের পর একত্রিত হয়ে শপথ নেন জঙ্গলে থাকাকালীন কেউ কাউকে ছেড়ে যাবেন না।

পাপুয়ার বাসিন্দাদের পছন্দের খাবার ঝিনুক এবং নানারকম ফলের জোগান দেয় এই অরণ্য। সেসব সংগ্রহ করে আনার কাজও মেয়েরাই করে থাকেন।

প্রদেশটির রাজধানী জয়পুরার ক্যামপাং এনগ্রোসের মাঝামাঝি ওই ম্যানগ্রোভ অরণ্য ছড়িয়ে আছে প্রায় ৮ হেক্টর এলাকাজুড়ে।

তবে এই অরণ্যে পুরুষেরা প্রবেশ করতে পারেন শুধু কাঠ সংগ্রহের জন্য। তবে তার আগে তাদের নিশ্চিত হতে হয় যে জঙ্গলে কোনো নারী নেই।

নারী থাকাকালীন যদি কোনো পুরুষ জঙ্গলে প্রবেশ করে ধরা পড়েন, তবে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় উপজাতি আদালতে। অপরাধ প্রমাণ হলে শাস্তির পাশাপাশি দিতে হয় জরিমানাও।

জরিমানার পরিমাণ নেহাৎ কম নয়। জঙ্গলে প্রবেশ করার জন্য ১০ লাখ রুপাইয়া (স্থানীয় মুদ্রা) জরিমানা দিতে হয়, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় পাঁচ হাজার টাকার কাছাকাছি।

এই নিয়ম কবে থেকে চলে আসছে তা কেউ জানেন না। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তারা তাদের মা, দাদিদের কাছেও এই একই কাহিনি শুনেছেন। প্রচলিত কাহিনি থেকেই জেনেছেন— এই জঙ্গলের সঙ্গে স্থানীয়দের সখ্যতা না কি ১৮০৮ সাল থেকে।

সমুদ্র লাগোয়া জঙ্গলের জলাভূমিতে নেমে ঝিনুক সংগ্রহ করেন মেয়েরা। কাদাজলে এবং গাছের শ্বাসমূলে পোশাক নষ্ট হতে পারে ভেবেই হয়তো চালু হয়েছিল পোশাক ছাড়ার নিয়ম।

স্থানীয় নারীরা জানান, যেহেতু মেয়েদের এই জঙ্গলে নগ্ন হতে হয়, তাই হয়তো পুরুষদের দূরে রাখার নিয়ম চালু হয়েছিল।

তবে কারণ যাই হোক, এই জঙ্গল পাপুয়ার নারীদের কাছে একটা খোলা আকাশের মতো। যেখানে তারা নিজেদের মনকেও অনাবৃত করতে পারেন।

৪৫ বছর নারী আগস্টিনা জানান, এখানে তারা চিৎকার করে নিজেদের মনের কথা বলেন। দুঃখের কথা— এমনকি না বলতে পারা যন্ত্রণার কথাও বলেন নিশ্চিন্তে। মনকে হালকা করতে পারেন। একে অপরের কাছে পরামর্শ চাইতে বা দিতে পারেন। এক কথায় জঙ্গল তার ভালো থাকার ঠিকানা।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Developed By ThemesBazar.Com