বর্তমানে মেঘের রাজ্য সাজেক বেশ জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। পরিবার, বন্ধু নিয়ে সময় কাটাতে, প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে অনেকেই আসেন এখানে। আর এই পর্যটকদের ঠিকঠাক ভাবে আপ্যায়ন করতে প্রস্তুত আছে রিসোর্টগুলো। আর এমনই এক রিসোর্ট হলো ‘ফদাং থাং রিসোর্ট’। ফদাং থাং রিসোর্টটি সাজেকের মেঘ ভিউ রিসোর্টগুলোর একটি। তাহলে জেনে নেয়া যাক এর অবস্থান আর আদ্যোপান্ত-ফদাং থাং শব্দের অর্থ হলো ‘ভোরের আলো’। রুইলুই পাড়া সাজেকের মূল পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। আর এই রিসোর্টটিও রুইলুই পাড়াতেই অবস্থিত। রিসোর্টটি মূল সড়কের পূর্ব পাশে অবস্থিত। এটি মূলত একটি তিন তলা রিসোর্ট যার দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় করা হয়েছে অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা। আর নিচ তলায় করা আছে খাবারের ব্যবস্থা। রিসোর্টটি নির্মাণ করা হয়েছে একটি নিরিবিলি পরিবেশে। পরিবার নিয়ে থাকার মত উপযুক্ত পরিবেশও আছে এই রিসোর্টটির।ভোর বেলা রিসোর্টের বারান্দা থেকে দেখা যায় সুর্যোদয়। রুমের পেছনের বারান্দা থেকে দেখা মেলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অবস্থিত শিলসুরি আর মিজোরামের পাহাড়ের দৃশ্য, আর এই উপর দিয়ে ভেসে যাওয়া মেঘের সাগর। মৌসুম ভেদে দক্ষিণের হিমেল হাওয়াও মেলে এই রিসোর্টে । রিসোর্টের রুমগুলোর সাজসজ্জায় নজরে পরে শৈল্পিক ভাব। বাঁশ, পাটি আর কাঠ দিয়ে সাজিয়ে গুছিয়ে তৈরী করা হয়েছে রুমের ভেতরের সাজসজ্জা। প্রতিটি রুমের সাথে সংযুক্ত বাথরুম।রিসোর্টেররুমওভাড়াসংক্রান্ততথ্য :রিসোর্টের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার প্রত্যেকটিতে ৪টি করে মোট৮ টি রুম আছে।
এই রিসোর্টের অতিথি ধারণক্ষমতা মোট ২৪ জন।
প্রতি ফ্লোরে ২টি করে কাপল রুম আছে।
ডাবল রুমে ৪ জনের থাকার জন্য ২ বেডের ব্যবস্থা করা আছে।
রুমভাড়া : কাপল রুম আর ডাবল রুমের ভাড়ার কিছুটা পার্থক্য আছে। আবার কিছুটা পার্থক্য আছে সিজন ভেদেও।
কোথায়খাবেন : খাবারের ব্যবস্থা এই রিসোর্টেই করা আছে। রিসোর্টে খাবার খেতে হলে আগেই মেনু সেট করে বলে দিতে হবে। এতে করা কতৃপক্ষ খাবার তৈরির ব্যবস্থা করবে। রিসোর্টের নিচ তলাই আছে অতিথিদের খাবার গ্রহণের ব্যবস্থা। আবার চাইলে বাইরের হোটেল, আদিবাসী খাবার ঘর গুলোতেও মেনু থেকে খাবার গ্রহণ করতে পারেন।
কীভাবেযাবেন : ঢাকা থেকে খাগড়াছড়িগামী বাসে করে আগে যেতে হবে খাগড়াছড়িতে। ঢাকার বেশ কয়েকটি স্থান থেকে এসি-নন এসি বাস সার্ভিস চালু আছে। তালিকা নিম্নরূপ :
এস.আলম সার্ভিস, শ্যামলী পরিবহন ছেড়ে যায় ফকিরাপুল থেকে।
সেন্ট মার্টিন পরিবহনের বাস ছাড়ে আরামবাগ থেকে।
গাবতলী থেকে ছাড়ে ঈগল পরিবহন, সৌদিয়া, শান্তি পরিবহন, হানিফ পরিবহন, ইকোনো পরিবহন, হিমাচল পরিবহনের বাস। শান্তি পরিবহনের বাস দীঘিনালা পর্যন্ত সার্ভিস দেয়।
খাগড়াছড়ি থেকে আপনাকে লোকাল বাস, চাঁদের গাড়িতে করে যেতে হবে দীঘিনালা যেতে হবে। তারপর দীঘিনালা থেকে চাঁদের গাড়িতে করে যেতে হবে সাজেক। কেননা সাজেক পর্যন্ত বাস সার্ভিস চালু নেই।