নতুন জীবনের শুরুতে এই কোয়ালিটি সময়টুকু খুবই জরুরি। তাই ছোটাছুটি না করে ছিমছাম প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে তোলা রিসোর্ট হতে পারে হানিমুনের আদর্শ জায়গা। সাগর, পাহাড়, চা বাগান, অরণ্য বা নদীর কোলে প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে তোলা বেশ কয়েকটি রিসোর্টের মধ্য থেকে বেছে নিতে পারেন পছন্দের যেকোনো একটি।
মারমেইড ইকো ও বিচ রিসোর্ট
ভিড়ভাট্টা-কোলাহল এড়িয়ে অনেক দূরে নিরিবিলিতে আয়েশ করে সমুদ্র দেখতে চাইলে মারমেইড রিসোর্টের বিকল্প নেই। কক্সবাজার শহর থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে হিমছড়ি ও ইনানী বিচের মাঝামাঝি পেঁচার দ্বীপে মারমেইডের অবস্থান। এখানে রয়েছে মারমেইড ইকো রিসোর্ট ও মারমেইড বিচ রিসোর্ট নামের দুটি আলাদা রিসোর্ট। সাগরের তীর ঘেঁষে অনেকটা জায়গা জুড়ে তৈরি এই রিসোর্টে অনেক কটেজ ও বাংলো রয়েছে। দুটি রিসোর্টেই প্রাকৃতিক পরিবেশ যথাসম্ভব প্রাকৃতিক উপকরণে সাজানো হয়েছে। বাংলোগুলোতে রয়েছে সব রকমের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। এ ছাড়া আছে বিচ লাগোয়া বিশাল ডাইনিংয়ে সমুদ্রের গর্জন শুনতে শুনতে সুস্বাদু সব খাবারের ব্যবস্থা। স্কুবা ডাইভিং, সার্ফিং, কায়াকিংসহ সমুদ্রে বিনোদনের সব সুবিধাই রয়েছে মারমেইডে। অবশ্যই বুকিং দিয়ে যেতে হবে। রিসোর্টে চেক-ইন দুপুর ১টা আর চেক-আউট সকাল ১১টার মধ্যে।
যোগাযোগ : ০১৮৪১৪১৬৪৬৪, ০১৮৪১৪১৬৪৬৯।
দুসাই রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা
অত্যাধুনিক ও অভিজাত বিলাসবহুল পাঁচতারা ইকো রিসোর্ট দুসাই রিসোর্ট ও স্পা। চা বাগান ও বিশাল জলাশয় পরিবেষ্টিত রিসোর্টটি মৌলভীবাজারের গিয়াসনগরে। প্রাকৃতিক উপকরণ সাজানো রিসোর্টের সবখানে। অবকাশযাপন মধুময় করতে এখানে রয়েছে লেকে নৌকাভ্রমণ ও মাছ ধরার ব্যবস্থা। আছে সুইমিংপুল, সিনেপ্লেক্স, স্পা, গলফ, ক্যাফে, বার, লাউঞ্জসহ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট। দুসাইয়ে কটেজ সংখ্যা কম থাকায় কয়েক দিন হাতে রেখে বুকিং দিতে হবে।
যোগাযোগ : ০১৬১৭০০৫৫১১-৩ (অফিস সময়ে), ০১৬১৭০০৫৫১৫-৬ (ছুটির দিনে)।
গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ
শ্রীমঙ্গল শহর থেকে অল্প দূরে রাধানগর এলাকায় চা বাগানের টিলায় গড়ে উঠেছে অত্যাধুনিক অবকাশযাপন কেন্দ্র গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ। পাঁচতারা মানের এই রিসোর্টে চা বাগানের পাশাপাশি রয়েছে সুইমিংপুল, স্পা, জিম, মুভি থিয়েটার, লাইব্রেরি, ব্যাংকুয়েট হল ও করপোরেট মিটিং হল, গলফ কোর্স, বাস্কেটবল কোর্ট, পুল, টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন কোর্ট ও চিলড্রেন প্লে জোন। অতিথিদের জন্য সুস্বাদু দেশি-বিদেশি সব খাবার পাওয়া যাবে। আছে আকর্ষণীয় গ্র্যান্ড হানিমুন প্যাকেজ।
যোগাযোগ : ০১৭৩০৭৯৩৫০১-৪।
দ্য প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট
প্রকৃতির সান্নিধ্য উপভোগ করার সব রকম সুবিধা রেখে বানানো হবিগঞ্জের দ্য প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট। চা বাগান লাগোয়া বিশাল হ্রদে প্রকৃতিপ্রেমীদের ভুলিয়ে দেবে সব ক্লান্তি। অবকাশযাপনের সব ধরনের সুযোগ পাবেন এখানে। থাকার জন্য বেশ কয়েক রকম রুম ও ভিলা রয়েছে। মধুচন্দ্রিমার জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে হানিমুন ভিলা। যোগাযোগ : ০১৯১০০০১০০০, ০১৯৯০০০১০০০।
নীলগিরি রিসোর্ট
মেঘের রাজ্যে মধুচন্দ্রিমার জন্য নীলগিরি রিসোর্ট আদর্শ। বান্দরবান শহর থেকে ৪৭ কিলোমিটার দূরে চিম্বুক পাহাড়ের চূড়ায় নীলগিরি রিসোর্ট। দেশি-বিদেশি খাবারের পাশাপাশি বাড়তি পাওনা পাহাড়ি খাবারের মেন্যু। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত রিসোর্টটিতে থাকার জন্য বান্দরবান ডিসি অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।
ওয়েবসাইট : www.nilgiriresort.com
নবাব হাসান আলী রয়াল রিসোর্ট
দেশের একমাত্র হেরিটেজ রিসোর্ট গড়ে তোলা হয়েছে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর জমিদারবাড়িতে। শত বছরের পুরনো এই রাজবাড়ি। রাজকীয় এই রিসোর্টটি মধুপুর ন্যাশনাল পার্কের কাছে। থাকার জন্য প্যালেস বা জমিদারবাড়ির ঘর ছাড়াও রয়েছে বাংলো ও কটেজ। আছে দিঘিতে মাছ ধরা কিংবা নৌকাভ্রমণের পাশাপাশি ঘোড়ায় চেপে রাজকন্যা নিয়ে বেড়ানোর সুযোগ। যোগাযোগ : ০১৬২৫৭১১০৮৭, ০১৬২৫৭১১০৫৭।
যমুনা রিসোর্ট
ঢাকা থেকে ৯৫ কিলোমিটার এবং টাঙ্গাইল থেকে ১৯ কিলোমিটার দূরে বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে আধুনিক অবকাশযাপন কেন্দ্র যমুনা রিসোর্ট। হাতে তেমন সময় না থাকলে হানিমুনের জন্য যমুনা রিসোর্ট বেশ ভালো। যমুনার তীর ঘেঁষে তৈরি এই রিসোর্টেও আধুনিক সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
যোগাযোগ : ০১৭১১৮১৬৮০৭।