শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:৪৩ অপরাহ্ন
Uncategorized

প্রবাসীদের আয় বৃদ্ধির পেছনে যেসব কারণ

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৬ জুলাই, ২০২১

প্রবাসী আয় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনীতির অন্যতম বড় চালিকা শক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনার মধ্যে গত ২০২০ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবাসী আয় বেড়েছে ৫ দশমিক ২ শতাংশ। করোনার মধ্যে যখন বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের প্রবাসী আয় যখন কমেছে, তখন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর আয় বেড়েছে। গত ১৩ জুলাই প্রবাসী আয় বৃদ্ধির বিষয়ে একটি মতামত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক।

সেখানে প্রবাসী আয় বৃদ্ধির ছয়টি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। কারণগুলো হলো- প্রবাসীদের সঞ্চয় দেশে পাঠানোর প্রবণতা বৃদ্ধি, বৈধ পথে দেশে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বৃদ্ধি, দেশে থাকা পরিবারের প্রতি সহানুভূতি, অর্থ প্রেরণের নতুন নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন, কর ছাড় ও বড় দেশের প্রণোদনার অর্থের কিছু অংশও আসা।

গত বছরে বাংলাদেশ মোট ২ হাজার ১৭৫ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ রেমিট্যান্স হিসেবে পেয়েছে। করোনার মধ্যেও তখন প্রবাসী আয়ে ১৮ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হয়। আর বর্তমানে প্রবাসী আয় পাঠানোয় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। এ ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের ওপরে আছে কেবল ভারত ও পাকিস্তান। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রবাসী আয় দক্ষিণ এশিয়ার গরিব পরিবারগুলোর দারিদ্র্যসীমার ওপরে ওঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
বিশ্ব ব্যাংকের করা প্রতিবেদনে প্রবাসীদের আয় বৃদ্ধিতে ছয়টি কারণ চিহ্নিত করা হয়-

১. করোনার কারণে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে প্রবাসী শ্রমিকদের কাজের সুযোগ কমেছে। ফলে প্রবাসে বহু শ্রমিক চাকরি হারিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। তারা নিজেদের সঞ্চয় দেশে নিয়ে এসেছেন। দেশে নিয়ে আসা এই সঞ্চয় যুক্ত হচ্ছে রেমিট্যান্স হিসেবে।

২. করোনাকালে বৈধ উপায়ে পাঠানো অর্থের পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে পাঠানো রেমিট্যান্স সরাসরি দেশীয় অর্থনীতিতে যুক্ত হচ্ছে।

৩. মহামারির এই সময়ে দক্ষিণ এশিয়ার প্রবাসী শ্রমিকদের দেশে থাকা পরিবারগুলো নানা সমস্যায় পড়েছে। তাই পরিবারের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে তারা আগের চেয়ে বেশি অর্থ পাঠিয়েছেন।

৪. প্রবাসী আয় দেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রতিনিয়তই নতুন নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবিত হচ্ছে। নানা ধরনের আর্থিক চ্যানেল তৈরি হয়েছে। জিপে ও আলিপের মতো অর্থ প্রেরণের অ্যাপস এসেছে। ফলে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে প্রবাসী আয় পাঠানো সহজ হয়েছে।

৫. কর ছাড় বা আর্থিক প্রণোদনা দিয়ে বৈধ চ্যানেলে প্রবাসী আয় পাঠানোকে উৎসাহিত করেছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো। এ ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বৈধ চ্যানেলে প্রবাসী আয় পাঠালে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়া হয়।

৬. করোনাকালে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলো নানা ধরনের আর্থিক প্রণোদনা দিয়েছে। সেই প্রণোদনার অর্থের কিছুটা অংশ দক্ষিণ এশিয়ার প্রবাসী শ্রমিকেরাও পেয়েছেন। সেটা অনেকেই দেশে নিজেদের পরিবারের কাছে পাঠিয়েছেন। ধনী রাষ্ট্রগুলোর দেওয়া এই প্রণোদনা অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৫ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার, যা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এ রিজার্ভ দিয়ে ১১ মাসের বেশি দেশের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

বাংলা পত্রিকা

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com