কক্সবাজারে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্রসৈকত, আছে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। এ ছাড়াও রয়েছে দৃষ্টিনন্দন সবুজ পাহাড়, দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ, বালুচরে লাল কাঁকড়ার ছোটাছুটিসহ পর্যটনের নানা উপকরণ। তবে এখনও প্রত্যাশিত পথে হাঁটেনি কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প। পর্যটকরা বলছেন, পর্যটকবান্ধব অবকাঠামো ও পর্যাপ্ত বিনোদনের ব্যবস্থা না থাকায় কাজে লাগানো যাচ্ছে না এ সম্ভাবনা।
বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত; সুনীল জলরাশি। প্রবাল পাথরের জলকেলি কিংবা উঁচু-নিচু সবুজ পাহাড় নিয়ে যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পসরা সাজিয়ে বসেছে পর্যটন নগরী কক্সবাজার।
সমুদ্রের কোল ঘেঁষে ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ, তারপাশে ঢেউয়ের সঙ্গে খেলা করে ডিঙি নৌকা। আর বালুকাবেলায় লাল কাঁকড়ার দল বেঁধে ছোটাছুটি করে।
তবে পর্যটকবান্ধব অবকাঠামো ও পর্যাপ্ত বিনোদনের ব্যবস্থা না থাকায় এসব সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না বলে দাবি পর্যটকদের। তারা জানান, কক্সবাজারকে পর্যটক বান্ধব করে গড়ে তুলতে হবে। বাড়াতে হবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা, কমাতে হবে হয়রানি। পাশাপাশি শিশুদের জন্য গড়ে তুলতে হবে বিনোদন কেন্দ্র।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি নানামুখী উদ্যোগ। কক্সবাজারের সী-গাল হোটেলের ম্যানেজার নুর মোহাম্মদ রাব্বী বলেন, বিদেশি পর্যটক বাড়াতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ নিতে হবে।
ট্রাভেল বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী আহসান রনি বলেন, শুধু ব্যবসায়িক মানসিকতা নিয়ে কাজ করার কারণে আগাতে পারছে না দেশের সম্ভাবনাময় এ খাত। এটিকে সমৃদ্ধ করতে সরকারি-বেসরকারি নানামুখী উদ্যোগ নিতে হবে।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, প্রতিবছর অন্তত ১৫ লাখ মানুষের সমাগম হয় সৈকত শহর কক্সবাজারে।