শিলং উত্তর-পূর্ব ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪ হাজার ৯০৮ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত শিলং-এ প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। ফলে প্রকৃতি ও বর্ষা উপভোগ কিংবা শিলং-এর দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করতে এখানে প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটে।
শিলংয়ের দর্শনীয় স্থান :
এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রাম মাওলিননং ভিলেজ ছাড়াও শিলংয়ে রয়েছে উমিয়াম লেক, এলিফ্যান্ট জলপ্রপাত, শিলং পার্ক বা শিলং ভিউপয়েন্ট, গল্ফ লিঙ্ক, ওয়ার্ড’স লেক, লাইটলুম ক্যানিয়ন, অল সেন্টস চার্চ, চেরাপুঞ্জি এবং কেনাকাটার জন্য প্রসিদ্ধ পুলিশ বাজার।
শিলং ভ্রমণের সময় :
বর্ষাকাল এর আগে আগে এবং তার পর পর্যন্ত শিলং ভ্রমণের আদর্শ সময়। বর্ষাকালে শিলংয়ের পাহাড় গুলো সবুজের ভরে থাকে এবং ঝর্ণাগুলো পূর্ণতা পায়।
শিলং কিভাবে যাবেন :
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে সরাসরি বিআরটিসি এবং শ্যামলী পরিবহণের বাসে চড়ে শিলং যেতে পারেন। প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে শিলংয়ের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
অথবা ঢাকা থেকে বাস বা ট্রেনে করে সিলেট আসতে পারেন। সিলেট হতে বাস কিংবা সিএনজিতে চড়ে তামাবিল। এরপর ইমিগ্রেশন শেষ করে ডাউকি থেকে ট্যাক্সি নিয়ে সরাসরি শিলং চলে আসতে পারবেন।
যদি ভারতের অন্যান্য স্থান থেকে ট্রেনে করে আসতে চান তবে মনে রাখুন মেঘালয়ে কোনও রেলপথ নেই। তবুও রেলপথকে যদি বেছে নেন তবে সর্বোচ্চ গুয়াহাটি রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনে আসতে পারবেন। গুয়াহাটি থেকে শিলং যাওয়ার জন্য প্রচুর বাস এবং ক্যাব পাবেন। গৌহাটি থেকে গাড়িতে শিলং যেতে সাড়ে তিন ঘন্টার মতো সময় লাগে।
শিলং এ কোথায় থাকবেন :
শিলং শহরে বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে। আপনি যদি বাজেট ট্রাভেলার হয়ে থাকেন তবে হোটেল নাইট ইন্, পাইন সুইটস হোটেল কিংবা শিলং ক্লাব গেস্টহাউসে সহজেই রাত্রিযাপন করতে পারবেন। আর মাঝারি মানের হোটেলের মধ্যে হোটেল সেন্টার পয়েন্ট এবং হোটেল আ্যলপাইন কন্টিনেন্ট্যাল বেশ জনপ্রিয়।